অনেকদিন আগে, এক মানুষ তার প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাজারে যায়। সেখান থেকে
সে দেখে অনেককিছুর দোকান, প্রথমে সে সুখের দোকানে যায়। অনেক সুখ ছিলো কিন্তু
দোকানী সুখ বিক্রি করে না। মনে খারাপ করে সে তখন যায় আনন্দ কিনতে, কিন্তু আনন্দের
অনেক দাম থাকায় কিনতে পারে না। তারপর সে হাসি কিনতে যায়, কিন্তু হাসিগুলো মলিন হয়ে
গিয়েছিলো। সে তখন কি করবে ভেবে চুপচাপ একটি গাছের নিচে বসে পড়লো। দুপুর হয়ে গেলো।
সে তখন খুঁজতে লাগলো সবচেয়ে সস্তা কি আছে। দেখলো কিছু ভালোবাসা আছে, সেগুলো কিনেই
সে বাড়ি ফিরলো। কিন্তু সে জানতো না যে ভালোবাসার যত্ন নিতে হয়। মানুষটা তারপর
বসবাস করতে লাগলো, কিন্তু ভালোবাসা যত্নের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লো। এই জন্য সে আর
ভালোবাসাকে কাছে রাখতে চাইলো না। সে ভালোবাসাকে নিয়ে বাজারে গেলো এবং ভালোবাসাকে
বিক্রি করে দিলো। সে কিছু বেশী টাকা নিয়ে গিয়েছিলো। তাড়াহুড়ো করে সে সুখ, আনন্দ আর
হাসি কিনে নিয়ে ফিরে এলো। সে দেখে শুনে নেয়নি তাই সুখের সাথে দুঃখ, আনন্দের সাথে
বেদনা আর হাসির সাথে কান্না, সমাজ নামের দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিলো। মানুষটার জীবন তখনও
ভালোই চলছিল, কিন্তু একসময় সে এই সবকিছুর মধ্যে থাকতে চাইলো না। তার তখন কেবল
ভালোবাসার কথা মনে হতে লাগলো। সে সব কিছু নিয়ে আবার বাজারে এলো। সবকিছু বিক্রি করে
সে ভালোবাসা খুঁজতে লাগলো হন্যে হয়ে। কিন্তু হায়, ভালোবাসা ছিলো না। তখন সে আবার
অন্য জিনিসগুলো খুঁজতে লাগলো, সেগুলোও ছিলো না। কি করবে ভেবে না পেয়ে সে বাড়ি
ফিরছিলো, হটাৎ কেউ একজন তার পিঠে হাত রাখে। সে তখন পেছনে তাকায় আর বলে,
-তুমি কে?
-আমি অতীত।
-কি চাও?
-কেউ তোমার সাথে না থাকলেও আমি থাকবো।
-সত্যি?
-হ্যাঁ, সত্যি।
সেই থেকে ভালোবাসা না পাওয়া মানুষ অতীত আঁকড়ে ধরে বাস করছে। এখন সেই
মানুষটি কি আমি না তুমি? ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।
No comments:
Post a Comment