irregular due to unavoidable circumstances of my own, hope will be back and continue soon.............. have patients for a while.

Saturday, August 31, 2013

ভালোবাসা ও ঘৃণা

কারো জন্য মনে একসাথে দুটো অনুভুতি থাকে না,
কাউকে একসাথে ভালোবাসা ও ঘৃণা করা যায় না।
কাউকে ঘৃণা করতে অনেক কারনের প্রয়োজন হয়,
অনেক ব্যাথা-কষ্টের প্রয়োজন হয়।
তবে ভালোবাসা অনেক সহজ,
ভালোবাসতে কারনের প্রয়োজন তেমন নেই।
যেকোন মানুষকে যে কোন সময় ভালোবাসা যায়।
যেমন তুমিও তাই করেছিলে কোন কারণ ছাড়াই,
আরেকজনের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলে কারো প্ররোচনায়।
কখনো এই ভালোবাসা আরও গাড় হয়ে যায়।
কখন রূপ নেয় প্রেমের বেড়াজালে।
কিন্তু মনে রাখা উচিৎ প্রেম মানে টাইম পাস না,
প্রেম মানে ধোঁকা দেওয়া না, প্রেম মানে দেহভোগ না।
প্রেম হচ্ছে দুটো মনের নিঃস্বার্থ কাছে আসা,
প্রেম হচ্ছে পবিত্র সম্পর্কের মাঝে থাকা।
একে নিয়ে খেলা করা বা অবহেলা করা ঠিক নয়।
কারণ প্রেম থেকে তৈরি ঘৃণা সারাজীবনেও যায় না......
তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে,
ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Friday, August 30, 2013

তুই কি জানিস

দম বন্ধ করা কষ্ট কাকে বলে তুই কি সেটা জানিস?
জানিস কি কতোটা অভিমান বুকে জমা হলে নিজেকে নিস্প্রান মনে হয়?
কতোটা ভালোবাসলে কষ্টের সুনামিতে ভেসে ভেসে পথ চলা যায়?
জানিস কি? কতোটা ভালোবাসাহীনতায় আর স্বার্থপরতায়
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়ে অবিরাম......?
জানিস কি? কতোটা অবহেলায় আর উদাসীনতায়
সব কিছু শুন্য মনে হয়, বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই মরে যায়?
কতোটুকু ভালোবাসলে ভালোবাসা পাওয়া যায় বলতে পারিস?
জানি তোকে, কারো অভিমান, ভালোবাসা, মায়ামমতা
কষ্ট, রাগ কোন কিছুই স্পর্শ করে না
অন্তত আমার বেলায়, অন্য কারো বেলায় হলেও।
এমনকি তোর নিজের ভেতরও দম বন্ধ করা কোন কষ্ট স্থায়ী হয় না,
হয়তো তুই কোন মহীয়সী না কি মহাদানব কিংবা তোর কথায় রোবট!
অথচ মাঝে মাঝে এই রবোটটাই ভালোলাগা আর ভালোবাসার আবেশে
দূর থেকে খুব কাছে এসে যায় আমার......
আর আমিও বকার মতো সেখানে ভালোবাসা খুঁজে যাই।
হয়তো ক্ষনিকের কাছে পাওয়া সব কিছু ভুলিয়ে দেয়
কিন্তু পরক্ষনেই তুই হারিয়ে যাস, অচেনা হয়ে যাস কেমন করে!
কিন্তু কিন্তু কিন্তু... আমি তো সেই তোর মাঝেই ভালোবাসা খুঁজে ফিরি
প্রতিক্ষন, প্রতিদিন, প্রতিস্থানে সর্বত্রই ক্লান্তি বিহীন।
তুই কি সেটা জানতে চাস? নাকি বুঝতে চাস?
তোকে ছেড়ে কেমন করে থাকি দূরে,
ভালো থাকিস আমার ভালোবাসা।

Saturday, August 24, 2013

কিন্তু জেনে রাখিস

আমি জানি তুই কখনো ফিরবি না,
কিন্তু জেনে রাখিস তোর জন্য আমার দুয়ার সবসময় খোলাই থাকবে।
আমি জানি তুই কখনো ডাকবি না,
কিন্তু জেনে রাখিস আমার সেলফোন সবসময় তোর ফোনটিরই অপেক্ষায় থাকবে।
আমি জানি আর কখনো আমায় মনে করবি না,
কিন্তু জেনে রাখিস আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে তোর নামই মিশে থাকবে।
আমি জানি আর কখনো আমায় ভালোবাসবি না,
কিন্তু জেনে রাখিস আমার এক সমুদ্র ভালোবাসা সবসময় তোরই থাকবে।
আমি জানি তুই আমাকে কোনদিন খুঁজবি না,
কিন্তু জেনে রাখিস আমার সবকিছু সবসময় সর্বত্রই তোকে খুঁজবে।
প্রার্থনা হয়তো নিয়মিত করা হয় না। কিন্তু যখনই করি, স্রষ্টার কাছে এই প্রার্থনাই সবসময় করি- তিনি যেন তোর সমস্ত কষ্টের বিনিময়ে আমার সবটুকু সুখ তোকে দেন। তোকে সুস্থ-সবল আর উচ্ছল ও প্রাণবন্ত রাখেন।

কি করবো বল? ভালোবাসি তো......। তোকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে, ভালো থাকুক আমার অপূর্ণ ভালোবাসা।

Wednesday, August 21, 2013

মনটা বড়ই বিক্ষিপ্ত

মনটা বড়ই বিক্ষিপ্ত আজ, কেন জানি নিজেকে নিয়ন্ত্রন করা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। আমার এই অসময়ে সবচেয়ে বেশী মনে পড়ে তোমাকে। তুমি থাকলে হয়তো নিজেকে কিছুটা হাল্কা করা সম্ভব হতো। আর ভালো লাগে না এই জীবন, বড্ড হাঁপিয়ে উঠেছি আমি আমার বর্তমান জীবন নিয়ে। যেই জীবনে শুধুই যুদ্ধ আর যুদ্ধ। ঘরে বাইরে সবখানেই, কোথাও এতোটুকু স্বস্তি নেই। বাইরে যুদ্ধ করে আসি ঘরে একটু শান্তির জন্য কিন্তু এইখানে অবস্থা আরও মারাত্মক। তুমি আমাকে যেখানে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছো আর আত্মসন্তুষ্টির স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করছো তা আদৌ কি সফল হয়েছে এতোটুকু? সেইতো আবার কলহের সান্নিধ্য, সেইতো আবার অনিয়মের ঝড়। কি লাভ হলো বলতে পারো তাতে? বরং ক্ষতিই হয়েছে সবচেয়ে বেশী। আসলেই কি আমি কোন সম্পর্কে জড়িয়ে আছি? সত্যিকারের কোন সংসার নামক বস্তুটির কি দেখা বা নাগাল পেয়েছি আমি? অথচ সব কিছু নীরবে হজম করতে না পেরে তারই প্রতিক্রিয়ায় দুর্বিষহ দিনমান। আমিতো এইসব চাইনি, এটাও কি আমার অন্যায়? কাউকে মুখ দেখাতে চরম লজ্জাবোধ হয় আমার। আমার ভালোলাগা, হাসি, আনন্দ এগুলো কি অধরা হয়েই থাকবে আমার জীবনে? আমার মতো করে জীবন যাপন করা, আমার মতো করে সংসার গড়া, আমার ইচ্ছেমত আমার জন্য কাউকে তৈরি করে নিতে চাওয়া এবং তার সাথে আমৃত্যু কাটাতে চাওয়া কি আমার অপরাধ? আর কতো ছাড় দিয়ে যাবো আমি এই জীবনে? জানি এইসব প্রশ্নের উত্তর “শুন্য আর শুন্যতা” ছাড়া আর কিছুই না। জানিনা নিজের সাথে এবং বৈরী পারিপার্শ্বিকতার সাথে আর কতো যুদ্ধ করে চলতে হবে? আর কতো হার?? আর কতো কাল???

Friday, August 16, 2013

আমার জম্মদিন


ঘড়িতে রাত ১২টা, সবার মতো আমারও জম্মদিন শুরু হয়, তার অনেক আগে থেকেই তাকিয়ে আছি মোবাইলের দিকে অনেক ফোন আসে, মেসেজ আসে... কিন্তু বেরসিক ফোনে কেবল তোমার কণ্ঠস্বরটাই ভাসে না, আসেনা তোমার কোন মেসেজও আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসলেই বুকটা ধক করে ওঠে- এই বুঝি তুমি সেই চির পরিচিতহ্যালোবলবে... নাহ... তুমি বলো না, বলে অন্য কেউ কিন্তু আমিতো তোমাকেই খুঁজি, তোমাকেই প্রত্যাশা করি...... তবু তোমার কল আসে না তুমি এতো নিষ্ঠুর হও কিভাবে? যদিও জানি এসবের কিছুই করবেনা তুমি, কারণ তুমি এখন এক হুকুমদাসী আধুনিকা যার নিজস্বতা বলতে কিছুই নেই। জানো, আগে প্রতিদিন তোমার জন্য অপেক্ষা করতাম, ভাবতাম তুমি এই বুঝি ফোন দিবে, দিতে না রাগ করতাম, আবার নিজেকে বোঝাতাম, তুমি হয়তো অনেক ব্যস্ত, একটু ফ্রি হলেই ফোন দিবে, আমার সে আশায় গুড়েবালি...... দেখতে দেখতে অপেক্ষার অনেকগুলো মাস, বছর পার করে ফেললাম না তোমার ব্যস্ততা এখনো কমেনি, আমাকে ফোন করার এখনো সময় হয়নি তোমার অথচ আগে মন দিনে আগেই বলে রাখতে ঠিক বারোটায় যেন তোমার ফোন রিসিভ করি, তার আগে যেন কোন ফোন না ধরি আর একদিন ফোন দিতে দেরি হলে তুমি অস্থির হয়ে যেতে, এখন কি আগের মতো অস্থিরতা আছে তোমার?? আমার জন্য না হোক কারো জন্য?? খুব জানতে ইচ্ছে করে...... তোমাকে দেখে দেখে আমিও ব্যস্ত হয়ে গেছি, এখন আর ততোটা অপেক্ষা করিনা তোমার জন্য হয়তো রাতে ঘুমানোর আগে অথবা ঘুম থেকে উঠে মরিচা পড়া স্মৃতিগুলোকে খুঁজি...... তোমাকে সবচাইতে বেশী মনে পড়ে, যখন পৃথিবীটাকে কঠিন আর জটিল মনে হয় একদিন এই কঠিন পৃথিবীতে তোমাকেই শেষ আশ্রয় মেনেছিলাম কিন্তু সেই তুমি আমার শেষ আশ্রয়টুকু নিয়ে চলে গেলে! তুমি একদিন বলেছিলেআমাকে ছাড়া একা থাকতে পারবে, আমি যদি চলে যাই?” সেদিন আমি তোমার মুখ চেপে ধরেছিলাম, আর আজ......?? যেটা আমি কল্পনায়ও ভাবিনি সেটাই আজ মেনে নিতে হচ্ছে তোমাকে ছেড়ে যেখানে এক মুহূর্তঅসম্ভব ছিলো, আজ সেখানে আমি বাকিটা জীবন একাই চলার প্রস্তুতি নিচ্ছি, আশ্চর্য না আদরি?? জানো, তোমার প্রতি মাঝে মাঝে অনেক রাগ হয়, কেন তুমি আমাকে একা চলতে শিখাওনি? এখন যে একা চলতে অনেক কষ্ট হয়...... আমি কাকে বলবো সেকথা? আমারতো তুমি ছাড়া কেউ ছিলো না, সেই তুমি আমাকে ছেড়ে গেলে এমন সময় যেটা আমার জন্য বিনা মেঘে বজ্রপাতের চেয়েও বেশী অনেক কেঁদেছি, পৃথিবীতে কান্নার কোন দাম নেই, কোন লাভ হয়নি আমি জানিনা ভালোবাসা কি, আমি এখনো বুঝিনা তবে মনে হয় তোমাকে ছাড়া আমার অস্তিত্ব সত্যি নয়, কোন যে মোহ তুমি আমি বুঝিনা... তোমাকে নিয়ে যখন যা করতে ইচ্ছে করেছে তাই করেছি, যা বলতে ইচ্ছে করেছে তাই বলেছি, যা চাইতে ইচ্ছে করেছে তাই চেয়েছি। কাউকে অনুকরণ বা অনুসরন করে কিছু করিনি কোনসময়। অথচ পৃথিবীতে যার কাছ থেকে সবচাইতে বেশী কষ্ট পেয়েছি তাকেই ভালোবাসি সবচাইতে বেশী, আর সেই তুমিই আছো আমার অস্তিত্তে আজো আমি আধুনিক, স্মার্ট হতে চাইনা, পান থেকে চুন খসলেই আমি ইমোশন পরিবর্তন করতে পারবো না আমি সেকেলে, আমি নিরামিষ সব মানি অফিস, সাইট বাসা সব মিলিয়ে অনেক ব্যস্ত আমি, তারপরেও সবসময় তোমার কথা ভাবি, তোমাকে খুঁজি আজ আমার জম্মদিন, দুজনেরই আনন্দের যে দিনটার জন্য অপেক্ষা করতে তুমি, যে দিনে আমাকে খুশী রাখার জন্য তুমি কি না করতে, আজ সেই দিনে আমি মোবাইল নিয়ে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি সবার আগে না করো, সবার শেষেও কি ফোন করবে না? আমাকে উইশ করবে না? বলবে নাভালোবাসি’??? তাহলে কেন অভ্যস্ত করিয়েছিলে? কেন এতো আপন করেছিলে? তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে ভালো থেকো আমার ভালোবাসা

Wednesday, August 14, 2013

শুধু চেয়েছিলাম

আমি কি অসম্ভব কিছু চেয়েছিলাম? শুধু চেয়েছিলাম দুইজন একটি নৌকাতে সারা বিকেল আর সন্ধ্যা ঘুরে বেড়াতে। চাইনিজ অথবার রেস্টুরেন্টে না খেয়ে বাইরে ফুচকা, চানাচুর আর শেষে কোনও এক চায়ের দোকান থেকে চা খেতে। আমি কি চেয়েছিলাম ধুমধাম করে বিয়ে করতে? চেয়েছিলাম ছোট খাটো এক বিয়ে করে সেই রাতে তোমায় নিজেকে সমর্পণ করতে। আমি কি চেয়েছিলাম সবসময়ই আমাকে রান্না করে খাওয়াতে? শুধুই চাওয়া ছিলো মাঝে মাঝে যখন রান্না করবো, তখন কাজের মাঝে এসে মজা করে বাধা দিতে। আমি কি কখনো চেয়েছিলাম যে এমন ঝগড়া করি যেখানে না খেয়ে ঘুমাতে হবে? চাওয়া এতোটুকুই ছিলো যে সেই ঝগড়া করতে যাতে আমাদের রাগ দীর্ঘস্থায়ী না হয়। আজ তুমি বদলে গেছো, অনেক ব্যস্ত। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আমার জন্য তোমার সময় হয়না। আমার ইচ্ছেগুলো তোমার কাছে লাগতো ন্যাকামো আর সাইকো। আমাকে যে ভালোবাসতে তা নাকি ছিলো বোকামো এবং মোহ। আর আমি যে তোমায় এতোটা ভালোবাসি তা না পাগলামো। কথা দিয়েছিলাম কখনো ছেড়ে যাবো না, আজ আমি কি স্বার্থপর হয়ে গেলাম নাকি তুমি? ঘরের ভিতর তো বটেই সবকিছুতেই আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। তাই সবকিছু ছেড়ে বহুদূরে চলে যেতে ইচ্ছে করছে, যেন আমায় টানছে। কিন্তু তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে, ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

Monday, August 12, 2013

আর কিছু নয়

আর কিছু নয় তোমায় নিয়েই হয় আমার স্নিগ্ধ দিনের ভুমিকা......
আর কিছু নয় তোমায় ঘিরেই হয় মাধবী রাতের সমাপ্তি......
আর কিছু নয় তোমার দেওয়া কিছু মুহূর্ত আজ আমার অনাবিল প্রাপ্তি......
আর কিছু নয় তোমায় ভেবেই আমার সারা বেলা হয়ে যায় পার......
আর কিছু নয় তোমার জন্যই আমার হৃদপিণ্ডের স্পন্দন কেঁপে উঠে বারবার...
আর কিছু নয় আমার সকল অনুভুতিতে আজো মিশে আছো তুমি......
আর কিছু নয় আমার হিয়ার সবটুকু জায়গা তোমায় দিলাম আমি......
আর কিছু নয় তোমায় নিয়েই হয় স্বপ্নের শুরু তোমাতেই শেষ.........
আর কিছু নয় তোমার দেওয়া মধুর স্মৃতিগুলো সঙ্গী করে এইতো আছি বেশ...
আর কিছু নয় শুধু তোমাতেই আমি থাকিব লীন তুমি না থাকো.........
আর কিছু নয় আমার ভালোবাসা দীর্ঘশ্বাস ফেলবে কিন্তু মরবে নাকো......
আর কিছু নয় তুমিই আমার চাপা কান্নার মাঝে এক ঝিলিক হাসি...
আর কিছু নয় দূরে থাকলেও আমি শুধুই তোমায় ভালোবাসি......
তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে.........
ভালো থাকুক আমার অসমাপ্ত ক্রন্দিত ভালোবাসা।

Wednesday, August 7, 2013

নির্বাক হয়ে যাচ্ছি

কিছু ব্যাপার দেখে আমি নির্বাক হয়ে যাচ্ছি দিন দিন, ভালোবাসা কি সস্তা হয়ে যাচ্ছে? নাকি আমরা বডি স্প্রের মতো মানুষকে উপভোগ করতে চাই? ভালোবাসার উপস্থিতিতে আমাদের ভালো লাগে। যখন থাকে না পেতে মন চায়, ছেড়ে যেতে চাইলে পাগল প্রায় হয়ে অনুনয় করতে থাকি। কিন্তু প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে ছুঁড়ে ফেলি নির্মম ভাবে। কখনো কখনো ছুঁড়ে ফেলাতে থাকে সীমাহীন নগ্ন আর নিচু রূপ। এমন কিছু বাকি থাকেনা তখন করতে পারেনা তারা। এখন প্রায় শুনি হৃদয় ভাঙার গল্প। আগে দেখতাম মানুষ ২-৩টা রিলেশান করতো, বেশির ভাগ মানুষ একজনকে ভালোবাসতো তবু অকারনে ছেড়ে যেতো না কাউকে যাকে সত্যি ভালোবাসতো, কিন্তু এখন!! এখন সবাই কেমন যেন আধুনিক হয়ে উঠেছে। এই আধুনিকতায় আমি নোংরামির গন্ধ পাই, এটা শুধু মানসিকতার পরিবর্তন না এটা নিশ্চিত। কারণ, মুঠোফোন, ফেসবুক, অবাধ মেলা মেশার সুযোগ থাকায় আমরা ভালোবাসার পবিত্রতা কে ভুলে যাচ্ছি। ভুলে যাচ্ছি অথবা জানিনা ভালোবাসার সঠিক সংজ্ঞা। তাই দেখা যায় একজন মানুষের প্রতি আকৃষ্ট থাকতে পারছেন না অনেকে। ভালোবাসা হয়ে গেছে ছেলের হাতের মোয়া। এখন আমরা বিশ্বাস হারিয়ে ফেলি সহজে, ভুল বুঝি অকারনে, ছেড়ে যাই ক্ষুদ্র কারণে। অথবা আরেকটু ভালো বা সুন্দর কাউকে পেলে বেহায়ার মতো তার কাছে চলে যাই। করে ফেলি নিজেকে ব্যক্তিত্বহীন খুব সহজেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ধারা বেশী পরিলক্ষিত হয় তথাকথিত উচ্চ শিক্ষিতদের মাঝে। কেউ বুঝতে চাই না ‘ইগো’ বড়ো না, বড়ো হলো ‘ভালোবাসা’। ভালবাসতে হলে আগে ভালোবাসা জানতে হবে, শিখতে হবে। ভালোলাগা আর ভালোবাসার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে। ভালো থাকুক সেই অমুল্য ভালোবাসা।

Tuesday, August 6, 2013

আমার হৃদয় স্পর্শ

তুমি আমার হৃদয় স্পর্শ করেছিলে তোমার মোহনীয় রুপের কোমল নীরবতায়, খুব বেশী রূপ যে তোমার ছিল তা নয়, কিন্তু আমার চোখে তুমি অপরুপা না হলেও রূপবতী ছিলে। তোমার আদেশই ছিলো আমার ইচ্ছা, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমার দৌড় ছিলো আমার ভালোবাসায়। আমি নিজেকে বলতে শিখেছিলাম তোমার আমি কিংবা আমি তোমার। প্রত্যাশিত আমাকে পেলেই তুমি ভুলে যেতে পারিপার্শ্বিকতা বা অন্য শত ব্যস্ততা। আজ তুমি ভুলে থাকো আমায়, ছুটে চলো অতি দ্রুতগামী, ক্রমাগত ভুল ঠিকানায়। অথবা ভুলে থাকো আমায় তোমার আপন নীরবতায়, ইচ্ছা এবং কল্পনায়। আমি খুবই অবাক হয়েছিলাম- হৃদয় কর্তন করবার সেরা অস্ত্রটি তোমার কাছে!! তুমি আমার হৃদয় কেটে ফেলেছিলে অন্যত্র এবং জীবন ধ্বংসমুখী করেছো। আমি যখন বন্ধুদের সামনে মিথ্যে হাসির ভান করি, আমি শঙ্কিত থাকি নিজেকে নিয়ে ভীষণ। এটা শুধু অভিনয় মাত্র আর আমি এক রঙ্গমঞ্চ। দিনে রাতে আমি অসংখ্যবার ফিরে যাই আমার তাৎপর্যহীন ভনিতায়- কিন্তু কিভাবে! কিভাবে পারি এই ছদ্মবেশ ধারণ করতে, আমার চোখ দুটি কি পারে?? সবকিছু জেনেও হৃদয় কর্তন করতে তুমি অদ্বিতীয়। আমি কিভাবে পারি চিরতরে নিরাময় হতে, আমি গভীর ভাবাবেগে চমকিত হই, তুমি সর্বদা আমার জীবন বিদীর্ণ করে হৃদয়কে করেছো প্রয়োজনীয় খণ্ডে চূর্ণ-বিচূর্ণ। আমি অনবরত চেষ্টা করেছি সেই কষ্টের দুর্গ থেকে বেরিয়ে আসতে, আমার ভিতরে প্রচণ্ড কষ্ট অনুভুত হয়েছে। তবু তোমার জীবন চূর্ণ করতে পারিনি। আজ আমি স্বপ্ন ছেঁড়া এক স্বপ্নবাজী, ভীষণ নীরব ব্যাথার ডোরে আপন ভুবন বেঁধে রাখি। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Sunday, August 4, 2013

মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে

মাঝে মাঝে কারো মন খারাপে নিজেকে অনেক বেশী কষ্ট দিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে কারো সুখগুলোতে নিজেকে আড়াল করতে ইচ্ছে করে। মাঝে মাঝে কারো কান্নার নিঃশব্দে নিজের হাত দুটো ভেজাতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে বুকটাও ভিজুক কারো দুচোখের অঝোর শ্রাবনে। মাঝে মাঝে কারো শুন্যতার মাঝে পূর্ণতা হতে ইচ্ছে করে। মাঝে মাঝে কারো একলা পথে রোদ ছায়া মাখামাখি করে তার সাথে বহুদুর যেতে ইচ্ছে করে। নিজের একটি হাত রেখে বলতে ইচ্ছে করে একলা নও তুমি রায়েছি এই আমি, কারো বিশ্বাসের নিঃশ্বাসের প্রতিটি স্পন্দনে। মাঝে মাঝে কারো অলস দুপুরে একটু ছায়া হতে ইচ্ছে করে। মাঝে মাঝে নিশব্দের বিকেলে ছাদের এককোণে প্রতিক্ষায় থাকতে ইচ্ছে করে। মাঝে মাঝে কারো সন্ধ্যে নামার পড়ে বৃষ্টি শেষে জোনাক উৎসবে আমন্ত্রন জানাতে ইচ্ছে করে। মাঝে মাঝে কারো ঘুমের দেশে স্বপ্ন হয়ে দুটি চোখের পাতায় আঁশটে পৃষ্টে জড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। মাঝে মাঝে কারো ঘুম ভাঙ্গা সকালে ঘুমহীন রাত পার করে বলতে ইচ্ছে করে ভালোবাসি জীবনের সকল শুভ্রতা দিয়ে, কিছু কষ্ট কিছু সুখ কিছু যোগ কিছু বিয়োগ দিয়ে। মাঝে মাঝে কাউকে বলতে ইছে করে তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থাকুক ভালোবাসা সব শুভ্রতা নিয়ে।

সাধারণ একটা মানুষ

এই আমি... খুব সাধারণ একটা মানুষ, নিরামিষ টাইপ। জম্মেছিলাম কোনো একদিন, এখন মৃত্যুর জন্য নিজেকে তৈরি করছি। জীবনের কাছে খুব বেশী কিছু চাওয়ার ছিলো না, ছিলো না প্রভাব-প্রতিপত্তি, যশ-ঐশ্বর্য, কিংবা ধনী হওয়ার কোন চাহিদা। ছিলো একটি সরল আর নির্মল একটি সম্পর্কের লোভ যা বজায় থাকবে আমার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। চেষ্টাও করে গেছি নিরন্তর সেই লক্ষ্যে কিন্তু আমার চাহিদায় বিধাতা বুঝি ব্যঙ্গ হাসি হেসেছে। তাই আমি ব্যর্থ আর পরাজিত এক মানব এই পৃথিবীতে। বুকের মধ্যে কোথায় যেন হাহাকার- মৃত্যু চিন্তার হাহাকার। এই হাহাকার আরও বেড়ে যায় জ্যোৎস্না রাতে। মমতাময়ী জ্যোৎস্না আর নিভু নিভু নক্ষত্রের রাতে নিজেকে খুব একা মনে হয়। গভীর একাকীত্ব গ্রাস করে আমাকে। আসলেই তো, আমার তো আসলেই কেউ নেই সবাই থেকেও। আমার মতন অনেক নিরামিষ মানুষ নিঃসঙ্গ, অনেকটা আকাশ ভরা তারার মতন। অযুত কোটি তারার মাঝেও প্রতিটা তারার চোখ ভরা গভীর বিষাদ, একাকিত্তের বিষাদ। একদিন সেইখানে ওদের মাঝে চলে যাবো, তাই পৃথিবীতে এখন আর বিষাদ খুঁজি না। নিস্পাপ শিশুর আদ্রতা মাখা হাসিমুখ খুঁজে বেড়াই...... এইতো আমি। আরও অনেক বিচিত্র ‘আমি’ কে আমি চিনি। যার দুঃখকষ্ট, হাসি-কান্না, ভাল-খারাপ লাগা শেয়ার করার বা সান্ত্বনা দেওয়ার কেউ নেই। যে ছিলো তাকে... সেই পুরনো তাকে আমি আজো খুঁজে বেড়াই, খুঁজে যাবো নিরলস আমৃত্যু। তাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি দূরে, ভালো থাকুক আমার আর্তনাদিত ভালোবাসা।

Saturday, August 3, 2013

আমি অনেক পুড়েছি

আমি বৃষ্টি দেখেছি বৃষ্টির ছবি এঁকেছি
আমি রোদে পুড়ে ঘুরে ঘুরে অনেক কেঁদেছি
আমার আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখার খেলা থামেনি
শুধু তুমি চলে যাবে আমি সপ্নেও ভাবিনি......
আমি অনেক স্রোতে বয়ে গিয়ে অনেক ঠকেছি
আমি আগুন থেকে ঠেকে শিখে অনেক পুড়েছি
আমি অনেক কষ্টে অনেক কিছুই দিতে শিখেছি
শুধু তোমায় বিদায় দিতে হবে সপ্নেও ভাবিনি......
জানি তুমি কাঁদবে না, মনে পড়বে না আমায়
দু’ফোঁটা অশ্রুও গড়িয়ে পড়বে না তোমার চোখে
তুমি সুখে থাকবে জানি সবাই থাকবে তোমার পাশে
থাকবো না শুধু আমি থাকবে না আমার কোন অস্তিত্ব
জানি ভাববে না আমায় নিয়ে তুমি ক্ষণিকের জন্য
হয়তো মরীচিকা আর আলেয়ার পিছনে ছুটেছি আমি
না না তা কিভাবে হয়, তুমি যে আমার বাস্তবতা।
তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে
ভালো থেকো আমার নির্বাক ভালোবাসা।

আজ বড্ড বেশী


আজ বড্ড বেশী মনে পড়ছে তাকে, বার বার চোখ ভিজে আসছে কেন জানি। নিয়ন্ত্রন করতে পারছিনা কিছুতেই। সারাদিন খুব অস্বস্তি লাগছে। শুধুই মনে হচ্ছে সে ভালো আছে তো? সুস্থ আছে তো? সেও কি আমায় মনে করছে তাহলে আজ? না হলে আমার এমন লাগছে কেন আজ? আজ হটাৎ করে তার সেই ঢাকা যাওয়ার কথাটা মনে পড়ছে বেশী। সেই যে শেষ বার তাকে বিদায় দিতে গেলাম, অথচ আমি পৌঁছানোর আগেই ট্রেন প্লাটফরম ছেড়ে চলে গিয়েছিলো। কি যে শুন্যতা আর হাহাকার আমার হৃদয় জুড়ে বয়ে গিয়েছিলো কাউকে বুঝাতে পারিনি, দেখাতে পারিনি। তাকে ঢাকা যেতে রাজি করানোর জন্য আমি বলাতে সে বলেছিলো- ‘আমি দূরে গেলে যদি তুমি শান্তি পাও তবে আমি যাবো”। তখন কি আর জানতাম তার ঐ যাওয়া সত্যিকার অর্থে শেষ যাওয়া হবে। সে ঢাকা থাকা অবস্থায় আমি দেখা করতে গেলে তার মধ্যে অনেক কিছু আমি লক্ষ্য করি, আমি সব নীরবে হজম করে গেছি। মনে মনে অগনিত দীর্ঘশ্বাস পড়েছে যদিও তাকে স্পষ্ট করে কিছুই বলিনি। আকার ইঙ্গিতে বলা হলেও তখন তার বোঝার মতো পরিস্থিতি ছিলো না সঙ্গত কারনেই। তাকে যখন তার আত্মীয়ের বাসার সামনে নামিয়ে দিতে যাই তখন বৃষ্টি হচ্ছিলো, সে ছটফট করে আমাকে ফোন করলো যদি আমি ভিজে যাই। আর তার বোনদের কাছে জানতে চাইছিলো আমি সেখানে গিয়ে অপেক্ষা করতে পারবো নাকি। তার বোনরা কি উত্তর দিয়েছিলো আমি শুনলেও অবাক হয়েছিলাম এই ভেবে যে তারা কিভাবে ভাবলো যে আমি তাদের বাসায় যাবো!! কোন ধরণের পরিস্থিতিতেই আমি সেখানে উঠতাম না। যাই হোক, আমি হারিয়ে ফেললাম আমার জীবনের সেরা সম্পদ, সেরা অর্জন। তার ফেরার দিন উম্মাদের মতো ছুটে গিয়েছি তাকে দেখতে। সে ফিরে আসলো ঠিকই কিন্তু ব্যাপক প্রভাব নিয়ে ফিরলো, যা আমি প্রতিনিয়তই লক্ষ্য করেছি। ধীরে ধীরে সে আমায় এড়িয়ে চলা শুরু করলো। যার নিদারুণ পরিনতি সম্পর্কে ভাঙ্গন। ভেঙ্গে গেলো আমার জীবনের প্রতি মোহ, বিষাদ আর বিষণ্ণতা গ্রাস করে বসলো আমায়। আমার জীবনে আমি আর কারো প্রতি এমন টান বা অনুভুতি অনুভব করিনি যা ছিলো আর এখনো আছে তার জন্য। তাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে, ভালো থাকুক আমার সেই অনন্য ভালোবাসা। 

Friday, August 2, 2013

ভাবতে ভাবতে

ভাবতে ভাবতে রাত দিন শেষ হয়ে যায়
তবু আমি নিথর হয়ে পড়ে থাকি একই অবস্থায়
সঠিক সময়ে নিতে পারিনি আমি সঠিক সিদ্ধান্ত
সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে আমি হয়েছি কঠিন রোগে আক্রান্ত
আমার অশান্ত মনে ছিলো অনেক আত্মবিশ্বাস
নিয়তি কেড়ে নিয়েছে আমার জীবনের সব উচ্ছ্বাস
আজ আমি মন দিয়ে করতে পারি না প্রার্থনা
স্বর্গ থেকে নরক হয়েছে আমার ঠিকানা
যে অতীত ভুলতে চাই আমায় সেই অতীত নিয়েই
সবচেয়ে বেশী প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় কেন?
নিজেকে সব কিছু থেকে দূরে রাখলাম
তুমি সুখে আর শান্তিতে থাকবে বলে
একা একা কাঁদি আমি তোমাকে ভেবে
তোমাকে বিরক্ত করি না আমি
আমাকে মনে করে কষ্ট পাবে বলে।
তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে,
ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

চোখের জলের দাম

চোখের জলের দাম দিতে গিয়ে
আমার আজ পুঁজিপাটা বলে কিছু নেই
বুকের গভীরে মানবতা আর ভালোবাসা নামক শব্দদুটো ছাড়া
আমার আর মূলধন বলে কিছু নেই
কয়েলের মতোন এই শব্দদুটো ভেঙ্গে আমি আর কদিন খাবো?
দিন যাবে তো আমার? জীবনের দিনগুলো??
ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি মরণের বিছানায়
যে বিছানা দুঃখ আর কষ্ট কর্তৃক সজ্জিত।
ইচ্ছে করে মাথার উপর নেমে আসা আকাশটাকে
টেনে ছিঁড়ে ঝুলিয়ে রাখি সদর দরজায়
নক্ষত্রগুলো ঝন ঝন করে গড়িয়ে পড়ুক মেঝেতে
আমার নীলাভ দুঃখের লাবন্য দেখে
চাঁদ লুকিয়ে রাখুক সাদা জ্যোৎস্না।
ছেঁড়া আকাশ ঝেড়ে খুঁজে নিতে চাই
আমার হারানো দীর্ঘশ্বাস.........।
তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে,

ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।