irregular due to unavoidable circumstances of my own, hope will be back and continue soon.............. have patients for a while.

Friday, May 31, 2013

কেন এই শুন্যতা

আবার যেতে হচ্ছে দেশের বাইরে। কাল শুক্রবার যাচ্ছি ঢাকায়, পরশু ফ্লাইট। এবারও থাকতে হবে প্রায় পনেরো দিন। যেতে হবে তাই বাধ্য হয়ে যাওয়া, ইচ্ছে না থাকলেও কিছু করার ক্ষমতা আমার নাই। অবশ্য নিজের উপর আমার নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনা সবই আমি বিসর্জন দিয়েছি সেই জানুয়ারিতে। যে জানুয়ারিতে আমি হারিয়েছি আমার জীবনের সেরা সম্পদ, সেরা অর্জন, সেরা প্রাপ্তি, সেরা সময়। এখন বাঁচতে হয় বলেই বেঁচে আছি। এই বাঁচাতে নেই কোন আগ্রহ, নেই কোনও আনন্দ, নেই কোন কিছু প্রাপ্তির আশা। সময় গড়িয়ে চলেছে সময়ের তালে, আমিও সেই তালে গা ভাসিয়ে চলেছি। জীবনটা কেমন যেন বড়ই জটিল হয়ে আসছে, অথচ এমন জটিল জীবন আমি চাইনি কখনোই। খুব সাধারণ আর সহজ একটা জীবনের স্বপ্ন দেখে এসেছিলাম সবসময়। নিজেকে সেইভাবে তৈরি আর রাখার চেষ্টা করেছি সবসময়। মানুষের সাথে কোনদিন পারতপক্ষে ঝামেলা বাঁধানোর পক্ষে আমি ছিলাম না এটা যেমন সত্যি তেমনি কেউ যেচে আমার ক্ষতি করতে আসলে তাকে নিবৃত করার চেষ্টা ব্যর্থ হলে ছেড়ে কথা বলিনি। আজ জীবনের হিসেব যখন করতে বসি তখন একটাই ফলাফল আসে আর সেটা সীমাহীন শুন্যতা। কিন্তু কেন এই শুন্যতা?? যার কারনে আমার এই শুন্যতা, যার কারনে আজ আমার প্রতিটা মুহূর্ত রক্তাক্ত তার প্রতি কি আমার অপরাধটা খুব বেশী ছিল? তাকে ভালোবেসে বুকে আঁকড়ে ধরে রাখার ইচ্ছেটাই কি আমার সবচাইতে বড়ো অপরাধ? চিরকাল তার কাছ থেকে অমলিন ভালোবাসা চাওয়াটাই কি আমার অপরাধ? ভালোবাসা পাওয়ার মতো কোন যোগ্যতা, ক্ষমতা, গুন আমার কোনদিক থেকে নাই জানি তবু সবারই তো ভালোবাসার অধিকার থাকে। আমার এই মনের সেই চাহিদা থাকাটাও কি অপরাধ? এমনি হাজারো প্রশ্ন এসে ভিড় করে এই অপরাধী আর উচ্চাকাঙ্ক্ষী(?) আমার এই মনে। যেগুলোর কোন উত্তর আমার জানা নাই, দিতে পারিনা নিজেকে। শুধু এটা জানি যাকে ভালবেসেছি, ভালবাসি এখনো, ভালবাসবো আমার শেষ যাত্রা পর্যন্ত। তাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি দূরে। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

Wednesday, May 29, 2013

ভাগাভাগিতে ব্যস্ত

হটাৎ করেই আবার লেখালেখি শুরু করলাম, অনেকটা নিজের অজান্তেই। অনেকদিন আগে দুটি প্রযুক্তি বিষয়ক সাইটে লেখালেখি করতাম অল্পসল্প। কিন্তু ঐ ঘটনার পর থেকে সেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিলাম, বলা যায় বন্ধই করে দিয়েছিলাম। যদিও প্রতিদিন সাইটে ঢুঁ মারতাম তবে লগইন না করেই। দীর্ঘদিন অনুপস্থিতির ফলে সাইটের নিয়ম অনুযায়ী আমার সদস্য পদ বাতিল করে দেওয়া হয়। সাধ্যমত চেষ্টা করেও সদস্যপদ উদ্ধার করতে না পেরে আবারো সাইন আপ করে সদস্য হয়ে নিলাম। মাথায় ভাবনা আসলো মাঝে মাঝে কিছু লিখি। আমিতো অন্যদের মতো প্রযুক্তিবিদ নই সেহেতু মাথায় যাই আসে তাই লিখি। লিখে ফেললাম একটি সতর্কতা মূলক পোস্ট যেটার ভিত্তি ছিল মোবাইলীয়। ঝোঁকের বশে পোস্ট করে দিলাম যথারীতি আর চলে গেলাম ঘুমরানীর কাছে। অফিসে গিয়ে সাইটে ঢুকেই টাসকি খাওয়ার মতো অবস্থা। পোস্টে মোট ভিউ পনেরো শো’র উপরে। সাইটের প্রথম পাতায় গুটি কয়েক সেরা হিট হওয়া পোস্টের মধ্যে আমারটি শোভা পাচ্ছে। ঠিক এই মুহূর্তে আমার পোস্টই হিটের দিক থেকে সেরা। খুব ভালোলাগা কাজ করছে, এতো অসাধারণ সাড়া পাবো কখনো ভাবিনি। যদিও ইতিমধ্যে আর দুএকটি সাইটে কাজ করে যাচ্ছি। আর নিজের একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। ভাবছি লেখার কাজ অব্যাহত রাখবো। নিতান্ত শখের বশে এবং নিজেকে ব্যস্ত রাখার তাগিদেই এই সিদ্ধান্তের অবতারণা। সাফল্য বা খ্যাতি কোনটাই আমার কাম্য নয়। কিন্তু এই খুশিটা আমি ভাগ করবো কার সাথে? কে করবে আমার এই খুশী অনুভব? যাকে আমি আমার সবকিছুর ভাগ দেয়ার উপযুক্ত মনে করেছিলাম সে এখন অন্যের সাথে ভাগাভাগিতে ব্যস্ত। তাই নিজের সাথেই করি আমি আমার সমস্ত কিছু ভাগাভাগি। নিজেকে বড়ো অসহায় আর তুচ্ছ মনে হয় ইদানিং। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Sunday, May 26, 2013

হেঁটেই চলেছি



আমার গন্তব্য অনেক দুরের পথ, আমি হাঁটছিলাম একা একা। মাঝ পথে তোমার সাথে দেখা, তুমি সঙ্গী হতে চাইলে। ভাবলাম অনেক দুরের পথ, একা পাড়ি দেওয়া আসলেই কঠিন। বললাম সবকিছুই আমার সাথে চলার সুবিধা-অসুবিধা, তবু তুমি যেতে রাজি হলে আমার রাস্তার শেষ সীমানা পর্যন্ত। পরম নির্ভরতায় আর বিশ্বাসে নিয়ে নিলাম তোমাকে আমার সাথে। তারপর কতো কথা, কতো গান, কতো হাসি, কতো প্রান, কতো মুহূর্ত, কতো ঘটনা। একসময় তুমি হাফিয়ে উঠলে, কিন্তু কি করি? পথ যে অনেক বাকি। তেমন সামর্থ্য ছিলো না আমার, পকেটে যা ছিলো তা দিয়ে একটা গাড়ি ভাড়া নিলাম। একসময় গাড়ির তেল ফুরালো, সেই সাথে আমার পকেটও। কিন্তু ততোক্ষণে তুমি গাড়ি চড়ার মজা পেয়ে গেছো, তবে আমিতো তোমায় সবসময় গাড়িতে নিয়ে চলতে পারবো না। তবে কি তোমার সাথে পথ চলা এখানেই শেষ? হটাৎ একটা গাড়ি এসে থামলো, লিফট দিতে চাইলো তোমাকে। আমাকে তুমি বলে উঠলে “তাহলে তুমি হেঁটে আসো, আমি যাই..."। আমার বলার কিছু ছিলো না...। কি বলবো, আমার তেলই তো ফুরিয়ে গেছে। তুমি চলে গেলে, আমি তাকিয়ে থাকলাম...। জানি তোমায় কখনোই পাবো না, হেঁটে হেঁটে কি গাড়ির নাগাল পাওয়া যাবে?? কখনোই না... তুমি এখন গাড়ির মানুষ আর আমি হেঁটে চলার মানুষ। তাই আজো হেঁটেই চলেছি আবারো একা একা, সেই সময়গুলো আমার বুকে সযত্নে লালন করে। তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি দূরে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

Thursday, May 23, 2013

অতৃপ্ত জীবন


পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা শত চেষ্টা করেও
কারও আপন হতে পারে না,
এদের হয়তো অনেক বন্ধু বান্ধব থাকে
কিন্তু হিসাব মিলাতে গেলে দেখা যায় এরা বহিরাগত,
এরা একাই চলে, একাই ঘুরে,
বেশী ভিড় এদের কখনোই ভালো লাগে না,
খুব সাধারণ জীবন যাপন করতে চায়,
থাকে না উচ্চাকাঙ্ক্ষা বা বিলাসী জীবনের চাহিদা,
চায় ভালোবাসার কানায় কানায় পূর্ণ একটি ঘর,
জীবন পাত্র উছলিয়া মাধুরী দান করিতে চায়,
কাউকে ভালোবেসে নিজেকে ধন্য মনে করে,
কাউকে আপন লাগলে তাদের সাথে বাচ্চাদের মতো হয়ে যায়,
তবু এতো সামান্য চাহিদা থাকা সত্ত্বেও,
এদের কেউই আপন ভাবে না, ভাবে যন্ত্রণা,
এইভাবে কষ্ট পেয়ে পেয়ে এই ধরণের
মানুষগুলো নীরবে সরে যায়, হারিয়ে যায়,
কিন্তু কেউই তাদের খোঁজ করে না...
এই অভিশপ্ত মানবের কাতারে যে আমাকেও পড়তে হবে
ভাবিনি কখনোই, অথচ তাই হলো তোমার জন্য,
তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে,
ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

Wednesday, May 22, 2013

অপরাধী ভালোবাসা


প্রাকৃতিক কারনে ঝড় বয়ে গেলে
তা একসময় থেমে যায় বা ধরে আসে,
কিন্তু আমার জীবনের এই ঝড়ের কোন শেষ নেই
পুব আকাশে ঘনিয়ে যে মেঘ এসেছিলো
তা এখন পরতে পরতে ঘন জমাট,
এই ঝড় কখনো থামবার নয়।
আমি কি জানতাম এমন ভাবে ভেসে যেতে হবে আমায়
এই ঘন জমাট বাধা বরফ স্তির করে দেবে জগত জীবন।
আক্ষরিক অর্থে কোন জীবনেই আমি নেই।
কেবল সময়ের সাথে পথ চলছি,
সময় আমায় কোথায় নিয়ে দাঁড়ায় দেখছি।
জীবনটাকে হাতে বিভিন্ন ভাবে খেলছিও আমি,
দেখছি কতোভাবে জীবন নিয়ে খেলা যায়।
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদুর......
বিশ্বাসে বোধহয় হারায়ও আর তাই
আমিও হারিয়েছি আমায়......
এভাবে হারাতে হারাতে একসময় শরীরটাও
নীরব আর নিথর হয়ে পড়ে থাকবে,
থাকবেনা পৃথিবীতে আমি নামক কোন চিহ্ন।
সে অবধি নাহয় আমার অপরাধী ভালোবাসাও
নির্বাক হয়ে ব্যক্ত করে যাক তার অনুভুতি।
তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে,
ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Tuesday, May 21, 2013

তোমার জন্য


সাদা মেঘেদের ভিড়ে অজস্র তারা তোমার জন্য...
স্বচ্ছ ঝিলের একরাশ নীলপদ্ম তোমার জন্য...
দূর সীমান্তের অগনিত প্রান্তর তোমার জন্য...
নিয়ন চাঁদের এক মুঠো আলো তোমার জন্য...
সবুজ ঘাসের শুভ্র একবিন্দু শিশির তোমার জন্য...
নিকুঞ্জ ভরা রক্ত লাল গোলাপ তোমার জন্য...
ভোরের সূর্যোদয়ের সুশীল বাতাস তোমার জন্য...
তপ্ত রোদে একপশলা বৃষ্টি তোমার জন্য...
বিনিময়ে হৃদয় নিংড়ানো এক ফোঁটা ভালবাসা...
চেয়েছিলাম শুধুই আমার জন্য...
কিন্তু না, তোমার ভালোবাসা আজ খণ্ডিত
পক্ষান্তরে আমার ভালোবাসা তেমনি নিখাদই
রয়ে গেছে আজো শুধুই তোমার জন্যে......
তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে
ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

Sunday, May 19, 2013

ক্ষমতা ছিলোনা



ঠিক নয়টি বছর আগে......
নিজেকে ধরে রাখার ক্ষমতা ছিলোনা তোর কাছে,
ক্ষমতা ছিলোনা আমারও ছোট্ট দুটি হাতে...
কেউ শুনতে পায়নি তোর আর্তনাদ...
কেউ করতে পারেনি তোকে অনুভব......
এক অস্বাভাবিক জীবনে ছিলো তোর ঘুরপাক...
শুধু আমার কানেই এসেছিলো তোর সেই ভয়ানক আর্তনাদ...
শুধু আমিই অনুভব করেছিলাম তোর স্বপ্নগুলো...
তখন আমার ক্ষমতা ছিলো না, বন্ধ ছিলো মুখ...
অন্যরকম অস্বাভাবিক ঘেরাটোপে ছিলাম আমিও...
সব তুচ্ছ করে প্রাণান্তকর চেষ্টা ছিলো তোকে ঘুরে দাঁড় করানোর...
আজ তুই স্বাভাবিক বিচরনে আর আমি সেই ঘেরাটোপে...
যখন আমার ক্ষমতা ছিলো তোকে নিয়ে বাঁচবার...
তুই অবহেলায় বা ছলনায় শরীর ডুবিয়ে রাখলি...
আত্মসমর্থনে আর স্বইচ্ছায় তোকে কেড়ে নিয়ে,
শুধু কেড়ে নিয়ে গেলো সব সুখ...
বিশ্বাসের আদালতে আপিল করে...
পথভোলা মনটা ছিলো দূরে দূরে...
আদালত অনেকদিন পর রায় জানিয়েছে...
দেউলিয়া এই আমি! হা...হা...হা।
খোলা দরজায় বসে আছি একা...
শুধু তুই নেই আর আমার পৃথিবীটায়...
ভালো থাক আমার ভালোবাসা...।

Friday, May 17, 2013

কৃতজ্ঞতা জানাই


আমার সবটুকু বিশ্বাস যে দিয়েছে ভেঙ্গে
তাকে কৃতজ্ঞতা জানাই,
সে দিয়েছে আমার অন্ধ চোখে আলো।
যার বিশালতার মাঝে আমি একটুকু ঠাই পাইনি
তাকে কৃতজ্ঞতা জানাই,
সে যে দিয়েছে আমায় মহাশূন্যে আশ্রয়।
আমার সব অপূর্ণতাই যেন হয়
আমার শুন্য পথের প্রতি শ্রেয়তম আশীর্বাদ।
যখন স্বর্গদ্বারে একা দাঁড়াবো তার অপেক্ষায়
যেন আমার অভ্যর্থনা তাকে করে অনুতপ্ত।
জানি তখনও সে আমার হবেনা
তবুও ঐ অপ্রাপ্তিটাই যেন আমায় করে পরিতৃপ্ত।
আজ কোন অনুভূতির গভীরে যেতে চাইনা আর কখনো
যেখানে নিঃশব্দ কান্নায় রচিত হয় একান্ত শোক......
যা কিছু তার নির্দয় স্পর্শে দিচ্ছে সৃষ্টি নিয়তই
নিভৃত অত্যাচার আমার প্রশান্ত কল্পনার ঘরে আর
যন্ত্রণার শিবিরে যে অবাধ্য কান্না দেয় প্রতি রাতে
আমার এই লেখায় আজ উৎসর্গ হোক তার প্রতি তীব্র ঘৃণা...
তবু স্বর্গদ্বারে একা থাকবো তার অপেক্ষায়
যেন আমার অভ্যর্থনা তাকে করে অবনত।
জানি তখনও কিচ্ছুই আমার হবেনা
তবুও ঐ অপ্রাপ্তিটাই যেন আমায় করে পরিপূর্ণ।
ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Tuesday, May 14, 2013

আর একটিবার


আমি আর একটিবার তোমার প্রেমে পড়তে চাই......
আমি আর একটিবার তোমাকে ভালবাসতে চাই...
আমি আর একটিবার তোমাকে ছুঁয়ে দেখতে চাই...
আমি আর একটিবার
তোমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে চাই...
আমি আর একটিবার তোমাকে
আলিঙ্গন করে শরীরের উষ্ণতা নিতে চাই...
আমি আর একটিবার
তোমার বুকে মাথা রেখে হৃদস্পন্দন শুনতে চাই...
আমি আর একটিবার তোমার হাতে হাত রাখতে চাই...
আমি আর একটিবার আমার কাঁধে
তোমার মাথা রাখার অনুভুতি নিতে চাই...
আমি আর একটিবার তোমার ভালোবাসার
নিঃসীমে হারিয়ে যেতে চাই...
ভুলে যেতে চাই সব জমানো কষ্ট আর যন্ত্রণা...
আর বার বার বলতে চাই ভালোবাসি শুধু তোমায়...
আর একটিবার ভালোবেসে তোমার বুকে শক্ত
করে জড়িয়ে ধরো আমায়...
করে দাও বিলীন আমার সব অপূর্ণতা আর শুন্যতা...
তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে...
ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

Sunday, May 12, 2013

বার বার আতঙ্কিত

তোমাকে ভালোবেসে বুকে নিয়েছিলাম।
এখন বুঝেছি তা ক্ষনিকের সুখ,
বুঝতে পারিনি সেদিন বিরহের বেদনা।
আজ তোমাকে হারিয়ে আমি দূরে, বহু দূরে...
সুখের সূর্যটা ক্রমেই মেঘে ঢেকে যাচ্ছে।
শিশির বিন্দুগুলো আর প্রভাতের ডাক দেয় না।
ফুলের গন্ধে নেই সুভাস,
প্রকৃতিটা মনে হয় আজ নির্মম,
উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ উঠে এই বুকে
শান্ত করতে পারিনা কিছুতেই।
ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠে মন,
সান্ত্বনা দিয়ে নিবৃত্ত করার কিছুই নেই আমার।
কোন এক অজানা শঙ্কায় বার বার আতঙ্কিত
আদৌ সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবো কিনা......
একাকীত্ব আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে,
আজ বেঁচে থাকতে বড়ই কষ্ট হচ্ছে, ভীষণ কষ্ট...
কেউ বুঝেনা, কাউকে বোঝাতে পারিনা কিছু।
তোমাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে,
ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

Friday, May 10, 2013

কেউ কথা রাখেনি


একদিন তার চোখে চোখ রেখে বলেছিলাম
“তুমি সুখী হলেই আমি সুখী হবো”...
সে বলেছিল “তোমাকে পেলে আমি সুখী হবো”...
“আমাকে কি এখনো পাওনি”! অভিমান করে বলি আমি...
“না... পেয়েছি... তবে সার্টিফিকেট তো এখনো পাইনি,
যেদিন বিয়ে করে তোমার ঘরে যাবো সেদিন সত্যি সত্যি পাবো”...
“হুম”... হৃদয়ে অনেক উচ্ছ্বাস চেপে বলি আমি।
“একটা পচা কথা বলি”? লজ্জা মাখা গলায় বললো সে...
বলো, পাগলী!
“আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি”...
এটা তোমার পচা কথা! হাহ হাহ হা! বলি আমি।
“না আর একটা কথা... আমি... amm...
আমিই শুধু তোমার হার্টবিট শুনবো, পৃথিবীর আর কেউ না। জায়গাটা শুধু আমার”...
পাগলিটা সেদিন অনেক ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলো।
“হুম, শুধু তুমি, শুধু তোমার জায়গা... আমার জানটা”......
বলেছিলাম আমি মনে মনে অনেক ভরসা দিয়ে।
আমার ফেসবুক সহ অনেক কিছুর পাসওয়ার্ড ও জানতো...
ওরটা ও আমি... পাগলিটা আমাকে কোন মেয়ের ফ্রেন্ড হতে
বা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করতে দিতো না...।
করলেই চিৎকার করে কাঁদতো বা রাগ করে বসতো।
বকা দিতো, বলতো তুমি শুধু আমার... শুধুই আমার...
কোনও মেয়ের সাথে মিশতে পারবে না তুমি...।
কি অবাক কাণ্ড দেখতো!! আজ আমি তার ফ্রেন্ড লিস্টেই নেই!
আমাকে ব্লক করে রেখেছে, নতুন আইডি খুলেছে।
আমি আজো আমার পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করিনি... কেন জানি মনে হয়
ও এখনো আমার কথা ভাবে......
আমার আইডিতে ঢুকে দেখে আমি কি করছি...। জানি নাহ!!
আমার কষ্ট হয় খুব, বুকটা ছিঁড়ে যেতে চায়......। যে আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ ছিলো আজ সে আমার কেউ না, কিচ্ছু না। এতো সহজে একটা সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়!! আমি কাকে বলবো আমার এই কষ্ট? আমার পাগলীটা আর আমার না। সুনীলের ভাষায় বলি, বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি...... কেউ কথা রাখেনি, কেউ কথা রাখেনা। তবু ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

Tuesday, May 7, 2013

এক অদ্ভুত তৃপ্তি


ভালোবাসা মানে হলো দুটি
মানুষের মনের আকর্ষণ।
দুটি হৃদয়ের অদ্ভুত পরশের
ছোঁয়ায় সবসময় কাছাকাছি থাকা।
হটাৎ করে কারো মনে যদি মরিচা ধরে
বা কোন কিছুর আকর্ষণ বা প্রভাবে কলুষিত হওয়া শুরু করে
তখন আর এই মনের আকর্ষণ থাকে না।
দুজন বিকর্ষিত হয়ে যায় চির জীবনের মতো।
কিন্তু খুব অবাক হওয়ার মতো বিষয় হলো,
মরিচা ধরা মনটির ভুলের জন্য
সাধারণ মনটিকে মাশুল দিতে হয়,
প্রতিটি মুহূর্তে সারাটি জীবন নীরবে......
আর এমনিভাবেই মাশুল দিয়ে যেতে হবে
আমাকে জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে, প্রতিটা মোড়ে......
যেটা দিতে গিয়েও এক অদ্ভুত তৃপ্তি পাই।
ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Friday, May 3, 2013

বেমানান কাপল


ফর্সা ও হ্যান্ডসাম একটা ছেলের সাথে
কালো, চাপা ভাঙ্গা একটি মেয়ে!
কিংবা খুব সুন্দরী একটি মেয়ের সঙ্গে
বোকা বোকা চেহারার একটি ছেলে!
সবার চোখে একদম বেমানান কাপল!
আমি কিন্তু খুব আগ্রহ নিয়ে দেখি এই ‘বেমানান’ কাপলদের,
আমার মতে আমাদের কাপলটিও ছিলো বেমানান।
কি প্রবল ভালোবাসা নিয়েই না একজন আরেকজনের দিকে তাকায়!
যেন তার সঙ্গীটিই রাজকুমার কিংবা রাজকুমারী।
পুরো দুনিয়ার কটাক্ষ তুচ্ছ করে
কতো যত্নেই না সঙ্গীর হাত আঁকড়ে ধরে রাখে!
যেন সবাই যা বলে বলুক না,
আমি তো বলছি ‘ভালোবাসি, শুধু তোমাকেই’।
কি যে চমৎকার লাগে সেই অনুভুতি.........
বেমানান কাপলগুলো মনে করিয়ে দেয় যে,
পৃথিবীতে আসল ভালোবাসা বলে অবশ্যই কিছু আছে...
সব ভালোবাসা শরীর কিংবা চেহারাকে ঘিরে আবর্তিত হয় না।
কিংবা যোগ্যতা বা অন্য কিছুর ধার ধারে না বলেই
এখনো অনেক সত্যিকারের ভালোবাসা আছে।
আর সেই বেমানান কাপলগুলোর কেউ একজন যখন ভাবে
জীবনের সবচেয়ে বড়ো ভুলটাই সে করে ফেলেছে
ঠিক তখনই ভালোবাসার গায়ে কলঙ্ক লাগে।
তবু আমার মতো অনেকেই প্রতারিত বা প্রত্যাখ্যাত
হয়েও চিরদিন হৃদয়ে পুষে রাখে সেই তৃষ্ণা......
তোমাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে।
ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Wednesday, May 1, 2013

পশু মানব


ওপর দিয়ে দেখলে মনে হয় জ্বলজ্বল করছে কতো আলো
মনের ভেতরে উকি দিয়ে দেখনারে মন কতো কালো।
মনে মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছে কতো স্বপ্ন কতো সাধ
খুব সংগোপনে মনের ভেতর লোলুপ তাকিয়ে আছে কতইনা পাপ।
দিনের আলোয় ডানা মেলা গাংচিলের ছানা,
রাতের অন্ধকারে ডানা ঝাপটায় শকুনের ডানা।
দিনের বেলায় দানবীরের মনুষ্যত্ব জেগে রয়
রাতের আঁধারে রিপুগুলো থাবা মেলে, বিবেক ঘুমিয়ে রয়।
দ্বৈত সত্ত্বার মাঝে বসবাস মানুষেরই
আমি, তুমি বা সে প্রায় সবাই।
কারো প্রকাশ প্রকট,
কেউ ঘুম পাড়িয়ে রাখে সত্ত্বার ভেতরের দানব।
খুব মাঝে মাঝে বের হয়ে
আসে নখ দন্ত বের হয়াও পশু মানব।
তার সাথেই করে বসে নির্লজ্জ বেইমানী
যার অস্থি মজ্জা সব শেষ করে দিয়েছে অভিনয়ে।
তবু কেউ কেউ চিরদিন ভালোবেসে যায়
সে বেইমানকেই, বুকে স্মৃতি লালন করে।
ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।