irregular due to unavoidable circumstances of my own, hope will be back and continue soon.............. have patients for a while.

Saturday, January 26, 2013

কি হলো আমার


আজ ইচ্ছে করছে কিছু একটা করতে, যা করলে শুধুমাত্র তোমাকে ভুলে থাকা যাবে। আজ আমি তোমাকে ভুলে থাকার জন্য সব কিছুই করতে রাজি। খুব দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছি তুমি আমার ভালোবাসা ছিলে না, ছিলে একটা দুঃস্বপ্ন। যেটা আমার জীবনকে তিলে তিলে নিয়ে যাচ্ছে ধ্বংসের দিকে। ভালোবাসা নামক একটা মিথ্যা খেলা নিয়ে আমার জীবনটাকে এলোমেলো করে দিয়ে গেছো। এতদিন ভালবেসেছি নিজের ইচ্ছায় আজ তোমাকে ভুলেও যেতে চাই নিজের ইচ্ছায়। তুমি যদি আমাকে ভুলে থাকতে পারো আমি কেন পারবো না নিজেকে শুধুমাত্র একটু ভালো রাখতে? মাঝে মাঝে কথাগুলো অনেক বেশী আসে মাথায়, কিন্তু পারিনা বলতে অন্য সবার মতো। তুমি না এলে একশ ভাবে মরনকে ডাকতে পারি। মৃত্যু তো তোমার মতো কঠিন হৃদয় নয় যে ডাকলেও সে আসবে না। কিছু মাথায় আসে না, মাঝে মাঝে মনে হয় তোমার সম্পর্কে আর চিন্তা করবো না। কিন্তু হায়, তোমার চিন্তা তো বারবার ঘুরে ঘুরে চলে আসে মাথায়। তুমিতো আমাকে ছাড়া দিব্যি সুখী আছো তবে আমি কেন সুখী থাকতে পারিনা? চলে যাওয়ার সময় আমার কথা একটিবারও ভাবলে না, তবে কেন শুধু তোমাকে ঘিরেই আমার জগত আটকা পড়ে আছে এখনো। তুমি যদি মুক্তি নিতে পারো তবে আমি কেন মুক্তি পেতে পারি না? কি হলো আমার? ভালোবাসা কি আমার একার ছিলো? তোমাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা। 

Friday, January 25, 2013

সত্যি বলছি আমি


সত্যি বলছি আমি অনেক চেষ্টা করেছি তোমাকে উপেক্ষা করতে।
সত্যি বলছি আমি অনেক চেষ্টা করেছি তোমার চলে যাওয়াকে মেনে নিতে।
সত্যি বলছি আমি অনেক চেষ্টা করেছি তোমায় ভুলে যেতে।
সত্যি বলছি আমি অনেক চেষ্টা করেছি সেই স্মৃতি মন থেকে দূরে সরাতে।
সত্যি বলছি আমি অনেক চেষ্টা করেছি তোমায় ভেবে না কাঁদতে।
সত্যি বলছি আমি অনেক চেষ্টা করেছি তোমার জন্য না ভাবতে।
সত্যি বলছি আমি অনেক চেষ্টা করেছি তোমায় না ভালবাসতে।
কিন্তু জানো আদরি সত্যি আমি পারিনি...........
কেননা, সত্যি তোমায় অনেক ভালোবাসি আজো।
এবং সত্যি তোমায় ছাড়া বাঁচতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।
এমনকি যখন আমি কষ্ট পাই, আর আমি কাঁদি...
আমার ভালোবাসা আরো গভীর হয় তোমার জন্য।
অনেক দূরে হারিয়ে গেছো তুমি আমার কাছ থেকে। এখন আর তোমার বসবাস শুধু আমার মনে নয়, আমার বাস্তবতায়ও বিদ্যমান। আমার একাকীত্ব- কষ্টের রঙগুলো মুছে ফেলতে আমি আর কখনোই তোমায় ডাকবো না আমার সঙ্গী হতে। আমি চাইনা তুমি পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে ফিরে আসো আমার কাছে। আর এও চাইনা বর্তমানের অতি বাস্তববাদী তুমি আমার কাছে এসে মিছে কল্পনাবাদী হয়ে যাও। হয়তো এখন নয়, আমার অনুপস্থিতি তোমাকে হটাৎ করেই একদিন কাঁদাবে। তবুও আমি তোমার খুব কাছাকাছি আছি, আর থাকবো ছায়া হয়ে। তোমাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

Thursday, January 24, 2013

প্রথম বারের মতোই


চলে গেছো আর তো ফিরে আসোনি, জানি ভুলে গেছো আমায়। ঘৃণা করে আমার সাথে কথা বলতে, যাওয়ার সময় এটা ছাড়া আর কিছু তো বলে যাওনি। পিছু ও ফিরে দেখো নি, আমিও তোমাকে পিছু ডাকিনি। জানি ডাকলেও ফিরতে না তুমি, কারণ তোমার যাওয়ার ঠিকানা ছিল তখন। তাই বাধা হয়ে তোমার পথে দাঁড়াইনি। আমার এতো ক্ষতি, এতো অঘটন যেখানে তোমাকে ফিরাতে পারেনি সেখানে আমি ডাকলেই তুমি ফিরতে বা তাকাতে সেটা অবিশ্বাস্য। কিন্তু আমি তোমাকে ভুলিনি, এখনো তোমাকে ভালোবাসি জেনে রেখো। এখনো আমি প্রতিটি মুহূর্তে তোমার প্রেমে পড়ি, এতদিন পরও কেন এমন হয়? স্মৃতির ঝুড়িতে তোমার প্রতিটি ফোন এখনো প্রথম প্রথম ফোনের অনুভুতির মতো। তোমার সাথে প্রতিটি ঝগড়া এখনো ২০০৫ এর মতোই ঝংকার তোলে। তোমার প্রতিটি বাজে ব্যবহার এখনো আমাকে পাগলামির চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যায়। তোমার প্রতিটি স্পর্শ সেই প্রথম স্পর্শের মতোই শিহরিত করে মনকে। প্রতিটি রাত প্রথম রাতের মতোই এখনো অচেনা আর ঘোর লাগা লাগে। এখনো সেই প্রথম বারের মতোই মনে হয় তুমি আমার, শুধু আমার। আমি আজও ভাবতে পারিনা কিভাবে তোমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে আমার সাথে এমন রুক্ষ আচরন করতে, আবার এটাও ভাবতে পারিনা কিভাবে সম্ভব তোমার দ্বারা আবার আরেকজনের সাথে সব কিছু বিনিময় করা যা কিছু হয়েছে আমার সাথে। তোমার সেই একান্ত ও বিশেষ মুহূর্তগুলোতে কি একবারও মনে পড়বে না অতীতের কথা, আমাদের কথা? হয়তো পড়বে না, নিশ্চয় এতদিনে নিজেকে সম্পূর্ণ তৈরি করে নিয়েছো নতুনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সব উজাড় করে নিজেকে সমর্পণ করে দিতে। নিংড়ে নিতে সব অনুভুতি, সব তৃপ্তি, সব সুখ, সব আনন্দ। আমিও চাই এই পরিক্রমায় তুমি যেন পূর্ণমাত্রায় সফল হতে পারো। আমি থাকবো আমাদের সেই স্বর্ণালি দিনের স্মৃতিকে আঁকড়ে, তোমাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা। 

Wednesday, January 23, 2013

স্বর্ণময় সময়


আদরি, রাতে দুজনে জোছনা দেখবো এ কথা বলেছিলে তুমি অনেকবার, কিন্তু হলো না পুরন তোমার সেই আশাটুকু। আমার ইচ্ছা ছিল তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমাবো সারারাত কিন্তু তাও হলো না পুরন। দুজনের অনেক ইচ্ছাই রয়ে গেলো অপূর্ণ। সব কিছু শেষে আমি পূর্ণতা পাই, কারণ তোমার শেষ ইচ্ছা পুরন হয়েছে (break up), এতেই আমি happy হতে চেষ্টা করি। নির্ঘুম নির্জন রাতে আজও ভেবে যাই তোমায়, তোমার সেই ইচ্ছাগুলো। জানি হয়তো ভাবছো না তুমি আমায়, তোমার সেই ইচ্ছাগুলো নতুনের সাথে পুরন করে নেবে বলে। রাতের নির্জনতার সাথে কথা বলি আমি তোমার, তাকে বুঝিয়ে যাই কখনো যেন তোমায় না ছোঁয়। তোমার জীবনের রঙিন সূর্যটাকে যেন কখনো বিলীন করে না দেয়। তাকে বলি আমি সব আঁধার রাতের কষ্টগুলো আমায় দিও, ভুল করেও আমার পুতুলটাকে ছুঁতে যেও না যেন কখনো। জানি রাতের নির্জনতা ফেলবে না কভু আমার কথা, অনেক পুরনো বন্ধুত্ব যে আমার তার সাথে। আমার জীবনে আর কখনো অতীতের মতো স্বর্ণময় সময় আসবে না, সত্যি কথা বলি তোমার মতো আর কাউকে কাছে টানা হবে না। আমি পারবো না আর কারো সাথে মনের অনুভুতি বিনিময় করা। ভালোবাসা তো অনেক দুরের কথা, ভালোবাসা তো replace বা  exchange হয়না। পরম সুখে আলতো করে কারো হাত ধরা হবে না, নির্ভরতা নিয়ে নিশ্চিন্তে কোন কথা শেয়ার করা হবে না। স্বচ্ছ মন নিয়ে কারো রাগ ভাঙ্গানো হবে না, মন খারাপ হলে কাউকে ফোন করে বলা হবে না। সমস্ত লেনদেন শুধুই নিজের সাথে। আমার অজান্তেই তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি আমি। তবু আমার সবকিছুর অস্তিত্তে শুধুই তুমি মিশে আছো, তোমাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা। 

Tuesday, January 22, 2013

মুহূর্তের কাছে চাওয়া


মুহূর্তের কাছে ছোট্ট একটা চাওয়া আছে আজ। মুহূর্তে হয় ভালোবাসা আবার মুহূর্তেই হয় মিছে আশা। স্বপ্নের গতি হয় মুহূর্তে আবার মুহূর্তে হয় চির ইতি। নিজেকে আজ বড্ড একা লাগছে। মনে হয় সবার কাছে বোঝা হয়ে যাচ্ছি, যেমনটা বোঝা হয়েছিলাম তোমার জীবনে। যে বোঝাটাকে তুমি মুহূর্তেই নিশ্চিহ্ন করে দিতে পেরেছো তোমার জীবন থেকে। স্বপ্নের ইতি এনেছি আজ, নিতান্তই তুচ্ছ প্রহরে ছুটে চলেছি একা। এই জীবনের সবকিছুর সাথে একা যুদ্ধ করতে হচ্ছে আমায় আজ। অথচ ইচ্ছে ছিলো সেই যুদ্ধ করে ক্লান্ত হয়ে যখন তোমার কাছে ফিরবো তুমি ভালোবেসে বলবে তোমার চেহারা খুব মলিন লাগছে কেন, খুব মায়া হচ্ছে দেখে। তোমার কথা শুনে আমি একটা ছোট্ট হাসি দিতাম, কিন্তু ভালোবাসাও আজ দিতে পারলো না অসীম সে ছোট্ট হাসি। মুহূর্তেই হলো আমার জীবনের নতুন প্রত্যয়ের সব আশা ধ্বংস। এ প্রহরে অনেক কিছু পেয়েছি, হারিয়েছি তার চেয়েও অনেকগুন বেশী। কিন্তু তা সত্ত্বেও খুশী বা থাকার চেষ্টা করেছি এমন কিছু প্রাপ্তির কারনে যা আশা করিনি কখনোই। কিছু মুহূর্ত আজ অব্দি আমায় খুব কাঁদায়, কিছু বাস্তবতাও তেমনি কাঁদায় আমায়। যেই বাস্তবতা ঘুরে ফিরে আমাকে আমার ব্যর্থতার কথা, আমার পরাজয়ের কথা, আমার অর্জন ছিনিয়ে নেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়। জানি তুমি ফিরে আসবে না আর এ ব্যাথাও কোনদিন আমি জয় করতে পারবোনা। তবে এমন কিছু চাই যা আমায় সত্যিই বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়াতে প্রেরনা আর সাহস জোগাবে। আমি যে সব শক্তি, সাহস আর মনোবল হারিয়ে নিতান্ত অসহায় একটা জড় পদার্থের ন্যায় এই মুহূর্তে। তাই মুহূর্তের কাছে চাওয়া আমার ঘুরে দাঁড়ানো আমার ভালোবাসাকে জড়িয়ে রেখে। যে ভালোবাসার সাথে তুমি মিশে আছো ওতপ্রোত ভাবে, তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Monday, January 21, 2013

ঘুড়ি উড়ানোর সখ


নিজেকে ঘুড়ি বানিয়ে কারো হাতে সে ঘুড়ির সুতো নাটাই ছেড়ে দেওয়াটা ঠিক কাজের কথা নয়। কিন্তু তবুও কেন যেন নিজের নিয়ন্ত্রন প্রিয় কারো হাতে ছেড়ে দিয়ে মনের আনন্দে আকাশে উড়তে মন চায়। মনে থাকে এই বিশ্বাস যে তার কাছ থেকে যতোই দূরে যাই না কেন একসময় সে ঠিকই সুতো গুটিয়ে তার কাছে টেনে নেবে। কিন্তু এটাও ভয় হয়, হয়তো হয়ে উঠতে পারি তার কাটাকাটি খেলার বিনোদনের মাধ্যম। হয়তো কেটে দূরে সরে গেলে একটু আফসোস করবে, আবার নতুন ঘুড়ি নিয়ে মেতে উঠবে নতুন খেলায়। আমার মনের সেই সুপ্ত ইচ্ছাটা তুমি পূর্ণ করেছিলে বটে আবার আমার শেষের আশঙ্কাটাও তুমি প্রতিফলিত করে দেখালে। যদিও আমি নামক ঘুড়িটার সুতো তুমি নাটাই থেকে নিজেই কেটে দিয়েছিলে নতুন রঙিন ও চটকদার ঘুড়ি পেয়েছিলে বলে তোমার আত্মীয়দের সহায়তায়। আর কয়টা ঘুড়ি উড়ানোর সখ তোমার মনের আকাশে আমার জানা নেই, হয়তো তুমি নিজেও জানো না। তুমিতো নিজের নিয়ন্ত্রনে চলতে পারো না, তাদের অধীনেই তোমাকে থাকতে হবে আর হয়তো এটাই তোমার ইচ্ছা। অবশ্য তাদের মাধ্যমে নিত্য-নতুন ঘুড়ির আমদানি হয় তোমার বিনোদনের জন্য, আর পূর্ণ হয় তোমার মনোবাসনা। এই তো কদিন আগেও ছিল আমার কাধে তোমার নিঃশ্বাস, খুব আপন ছিলে তুমি তখন। তোমার সেই নিঃশ্বাসকে বড়ো বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু এখন তোমার নিঃশ্বাস আমার কাধ স্পর্শ করে না, তোমাকে আপন করে নিতে পারিনা। আজও আমার কাধ থাকে তোমার নিঃশ্বাসের অন্বেষণে। তুমি অনেক দূরে কিন্তু তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা। 

Saturday, January 19, 2013

নির্ঘুম চোখে একা


ঘুমিয়ে পড়েছে ব্যস্ত শহর, থেমে গেছে সমস্ত কোলাহল। মেঘের আড়ালে মুখ ঢেকেছে চাঁদ। তুমিও হয়তো গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, নির্ঘুম চোখে একা একা জেগে আছি এই আমি। ভালোবাসা বুঝি এমনই হয়, কাউকে ভালোবাসার ফল বুঝি এটাই। দিনে দিনে চলে যাবে আরও দূরে, নাগালের আরও অনেক বাহিরে। তোমার স্মৃতির পাতায় ধুলো জমতে জমতে একসময় হয়তো বিলীন হয়ে যাবো আমি। হয়তো ইতিমধ্যে হয়ে গেছি কারণ সুখ-আনন্দ আর তৃপ্তির আতিশয্যে আছো তুমি এখন। সবই মনে শুধুই ঘুমের ঘোরে দেখা এক স্বপ্ন তোমার কাছে, আর আমার জীবনের পথ খোঁজা এভাবেই হয়তো শেষ হবে। ভালোবাসা বুঝি এমনই হয়। আর এমনিতেও এক শ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষের কষ্ট দেখে মজা পায়, আর সেটা যদি ভালোবাসার কষ্ট হয় তাহলে তো পুরোপুরি লুটে নিতে কার্পণ্য করেনা এতোটুকু। অনেক কিছু লিখতে গিয়েও লিখতে পারলাম না কারণ লিখতে গেলেই মনে পড়ে তোমার কথা, মনে পড়ে সেই দিনগুলোর কথা যেগুলো ছিলো আমার জীবনের সবচাইতে সুখের দিন। যে দিনগুলো ছিল আমার জীবনের সেরা প্রাপ্তির দিন, ছিল প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগের। কিন্তু আমিতো চাই না সেগুলো মনে করতে কারণ সেগুলো মনে আসলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে সেই দৃশ্য যখন তুমি আমাকে ফেলে চলে গিয়েছিলে। ভেসে উঠে আমার এতো সাধনার মানুষ যাকে আমি তিল তিল করে কাছে পেয়েছিলাম আর অন্যের কাছে যেন হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় এমন নিতান্ত সহজলভ্য হয়ে যাওয়া তার। নিরন্তর চেষ্টা করে চলি যাতে সেই কলঙ্কগুলো আমার মনে আর ভেসে না উঠে কিন্তু সেখানেও আমি ব্যর্থ হই। সর্বদা যে তুমি আমার কাছেই আছো, তোমাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

Thursday, January 17, 2013

নির্লজ্জ সাক্ষী


মাঝে মাঝে আমার সবকিছুকে হারিয়ে ফেলি। কেমন জানি হয়ে যাচ্ছি দিনের পর দিন, ভালো লাগে না কোন কিছুই। প্রান তো আছে কিন্তু কোন স্পন্দন নেই এই প্রাণে। মলিন হয়ে গেছে সব চাওয়া পাওয়া, কেমন জানি ফ্যাকাশে বর্ণহীন লাগে নিজের জীবনটা। যেখানে সব কিছু অপরিচিত লাগে। মাঝে মাঝে নিজেকে চিনি না, ভুলে যাই আমি আমার আমিকে। বিষাদ ভর করে এ মনে, হৃদয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় রক্ত ক্ষরন হয়। এ যে কি যন্ত্রণা তা বলে বোঝাতে পারবোনা, শুধু এ দুচোখ তার জলন্ত সাক্ষী হয়ে রয়ে গেছে। যাকে সবকিছু উজাড় করে ভালবেসেছিলাম তার নির্লজ্জভাবে চলে যাওয়ার নির্লজ্জ সাক্ষী এ দুচোখ। এতদিন হয়ে গেলো তার চলে যাওয়ার তবু আমার পোড়া এ শরীরের কোনকিছুই ভুলতে পারেনি, নির্লজ্জভাবে সব বিদ্যমান রয়ে গেছে আজ অবধি। জানি না আদৌ সম্ভব হবে নাকি ভুলে যাওয়া বাকি জীবনে, শুধু জানি কিছু গোপন কষ্ট আছে যা রয়ে যাবে এ মনের ছোট্ট একটা অংশ জুড়ে যা কেউ জানবে না। কেউ কোনদিনও বুঝবে না, যা একান্ত্র আমারই হয়ে থাকবে। আর মাঝে মাঝে আমাকে যত্ন করে হৃদয় ভাঙ্গার আগুনে পোড়াবে। একদিন তো শেষ হবেই এ জীবন, সেদিন মুক্তি নেবে কষ্টগুলো এ হৃদয় থেকে। শেষ হবে প্রাপ্তি আর হারানোর এক হিসাব। সে আমার কাছে নাই, কিন্তু তার সবই তো আমার কাছাকাছি এখনো। তাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

Wednesday, January 16, 2013

বেশ তো আছো


দিনটি তো কেটে যায় নানা কাজে আর ব্যস্ততায়, এই কাজ আর ব্যস্ততার মাঝেও মনে পড়ে আমাদের সেই দিনগুলো বিশেষ করে কখন তুমি কি করতে কি বলতে আমায় এসব। শুধু রাতটি কাটে না আমার ভাবনায়...। যতো রাত গভীর হতে থাকে ততোই তোমার স্মৃতিগুলো আমাকে কষ্ট দেয়। মুহূর্তের মধ্যেই মনে পড়ে যায় তোমার সাথে রাত জেগে জেগে কথা বলার স্মৃতি। আমি তোমাকে বলতাম আর তুমি শুনতে। শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে যেতে তুমি বুঝতেই পারতাম না। আমি শুধু একা একা বলেই যেতাম, আর তোমার ঘুমের নিঃশ্বাস শুনতে পেতাম। নিজে নিজে পাগলী বলে ফোন রেখে দিতাম। আমার সাথে কথা না বলে তুমি ঘুমাতেই পারতে না। আজ কতদিন হয়ে গেলো তোমার সাথে কথা হয় না, তুমি কি আগের মতো ঘুমাতে পারো? নিশ্চয় হ্যাঁ, কারণ তুমি আজ ঘুমাতে পারো বলেই আর আজ আমি তোমাকে ঘুম পারিয়ে দিতে হয়না। হয়তো আমার চেয়ে ভালো তোমাকে ঘুম পাড়াতে পারে এমন কাউকে খুঁজে পেয়েছো। আমাকে অনুভব করে কখনো কি মাঝরাতে আচমকা ঘুম ভেঙ্গে গেছে তোমার? নিশ্চয় না... কারণ আমাকে তাড়াতে পেরে তুমি তো খুব খুশী হয়েছো। হয়তো যার সাথে আছো সে তোমাকে এমন সন্তুষ্ট রেখেছে যে আমার কথা মনে পড়ার ফুসরতই হয় না তোমার। বেশ তো আছো দেখছি। যাক... সাজিয়ে নিয়েছো তাহলে নিজের জীবন। বড্ড ভয় হতো তোমাকে নিয়ে। এখন আর হয়না, বুঝে নিয়েছি পারছো থাকতে আমায় ছাড়া। বেশ তো চলছে তোমার সময়। দেখোনা কি বোকা আমি, এখনো থাকি একা একা। তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে, ভালো থেকো আমার ভালোবাসা। 

Tuesday, January 15, 2013

আকুতি বা প্রত্যাশা


কখনো আমার হাত কেটে গেলে সেখান থেকে রক্ত ঝরতে দেখেছো? গাড় টকটকে লাল রক্ত কণিকায় ফোঁটা ফোঁটা করে চুইয়ে পড়ে, যেন তোমার দেয়া সকল কষ্টগুলি রক্ত হয়ে ঝরে পড়ছে আমার বুকের ভেতর। অবিরাম এই রক্তক্ষরণ, বিরতি নেই এতোটুকু। নীল বেদনা দেখেছো কখনো? তোমায় হারানোর কষ্টে হয়েছে গাড় নীল আমার হৃদয়। আসলে তুমি কিছুই দেখোনি, শুধু অবুঝ ভালোবাসায় ভাসিয়ে নিয়ে গেছো আমাকে মরণের ওপারে। যেখান থেকে আর ফিরে আসা যায়না কোনকালে। আমিও আর ফিরতে চাইনা তোমার কাছে, চাইনা এই তুমিও ফিরে আসো আমার কাছে। তাই তোমার ফেরার জন্য আকুতি বা প্রত্যাশা কোনটাই করিনা। কারণ ফিরলেও তুমি আবার চলে যাবে একদিন, যেমনি করে গিয়েছিলে নি... আর আর কাছে। ভুল আমারই, তোমাকে বারবার জোর করে ফিরিয়ে এনেছিলাম আমার কাছে। যে মানুষটা একবার নয় বারবার বিশ্বাস ভঙ্গ করে তাকে ভালোবেসে কি লাভ? আমি একবার নয় বারবার সুযোগ দেই, আর প্রতিবারই ভগ্ন হৃদয় নিয়ে ফিরে এসেছি আমি। আমি চাইনা আর ঠকতে, চাইনা আর কেউ এসে আমার বিশ্বাস নিয়ে খেলুক। আমি ভুলে গিয়েছিলাম যে, সত্যিকারের ভালোবাসার দাম আজকাল কারো কাছে নেই। সবাই শুধু ভালোবাসা বেচা-কেনা করে। আমার ভালোবাসা এতো সস্তা নয় যে কারো কাছে বেচে দিতে হবে। তাই আমার ভালোবাসা আমার কাছেই থাক। সবাই থাক ভালোবাসা কেনা-বেচায় ব্যস্ত আর আমি থাকবো ভালোবাসাকে ভালোবেসে। তাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থাকুক আমার সেই ভালোবাসা। 

Sunday, January 13, 2013

কতোটা কদর্য


কতো রঙ্গ জানোরে মানুষ, কতো রঙ্গ জানো। তুমি এই হাসো এই কাঁদো, হায়রে একি দন্ধ। চক্ষু দুইখান হাত দুইখান আছে সবার সমান সমান, তবু কেন নানা রকম চলন বলন মনের ধরণ, বুঝিনা তার মর্ম। ঘুরলাম কতো দেখলাম কতো, পাইলাম না মন মনের মতো। আমি অধম আর কি বলি, জ্ঞানের ডিব্বা রইলো খালি, বৃথা সাধের এই জম্ম। জানিনা কি নিয়ে মানুষ এতো বড়াই করে, কি জাহির করতে চায় এরা। বারবার ডিঙ্গি পরিবর্তন করে এরা কি চায়, আসলেই কি এবং কতোটুকুই বা পায়? এর সঠিক হিসাব কি মানুষ করে? প্রতিনিয়ত দেখে যাচ্ছি সৃষ্টির সেরা হয়ে মানুষ কতোটা কদর্য হতে পারে। সামান্য স্বার্থের জন্য এরা কতো নিচে নামাতে পারে নিজেকে। ভালোবাসা আজ হয়ে গেছে স্ট্যাটাসের পরিমাপক, যার যেমন ইচ্ছে ব্যবহার করে যাচ্ছে একে। সব কিছুই এখন ডিজিটাল, মনও তাই আজ ডিজিটালাইজড। যেন সবার ভালোবাসাও ডিজিটাল। এই ডিজিটালাইজের কারণে মুহূর্তেই নিজের মনে আরেকজনকে প্রতিস্থাপন করছে এতোটুকু হেরফের হলেই। কিন্তু রিপ্লেস কয়বার করা যায়?? ভালোবাসার চিত্র কি এমন হওয়া উচিৎ? সমস্ত মানবতা পিষ্ট হচ্ছে মুহূর্তে মুহূর্তে পায়ের তলায়, এর শেষ কোথায়? কি দিয়ে এর শেষ পরিনতি? সাপ বিষ রাখে তার দাঁতে, কুকুর তার বিষ নিজ জিব্বায় রাখে। কাঁকড়াবিছে বিষ তার লেজে রাখে, মানুষই একমাত্র জাত যে কিনা তার বিষ নিজ অন্তরে রাখে। কথাগুলো বিস্ময়কর, কিন্তু সত্য। তবু ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

কাঁদাতে পারি


আগের সেই আমি আর নেই এখন, জানিনা কি হলো আমার। আগের সেই হাসিমুখ কথায় যেন হারিয়ে গেছে। সারাক্ষণ শুধু তার কথাই মনে পড়ে। খেতে বসলে মনে হয় সে আমাকে ডেকে বলছে একা একা তুমি আমাকে ছাড়া খেতে পারবে? সারাক্ষণ মনে হয় সে কি যেন বলছে আমায়, আগে ঠিক যেমনি করে বলতো এমন সময়ে। এমনকি ঘুমাতে গেলেও মনে হয় সে আমার কাছেই শুয়ে আছে। জানি না কেন এমন হয়, সে বলতে পারবে এর মানে কি? যদি বলতেই না পারে তাহলে কেন সারাক্ষণ আমার মনের ভিতর বার বার আসে? তার সাথে করা দুষ্টুমিগুলো, খেয়ালিপনা গুলো আজো খুব বেশী করে মনে নাড়া দিয়ে যায়। যখন মনে পড়ে সব কিছু তখন মনে হয় শূন্যতার সাম্রাজ্যে আমি প্রদীপহীন এক অচল পয়সা, নিজের প্রতি ঘৃণা আর গ্লানিতে চোখের কোনে জল জমে যায়। কিন্তু তাকেও কাঁদানোর মতো আমার অনেক কিছুই আছে, চাইলেই কাঁদাতে পারি আমি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তার চোখের জল আমি সহ্য করতে পারিনা, তার চোখে জলের দেখা পেলে সে জল যে আমাকেও ছুঁয়ে যায়। যে আমাকে হাসার অধিকার দিয়েছিলো, তার এখন খুব সখ আমাকে কাঁদানোর। যে একদিন সমুদ্রের ঢেউ থেকে ছিনিয়ে এনেছিলো আমায়, সে আজ অপেক্ষা করে আমার ডুবে যাওয়ার। হায়রে ভালোবাসা, এরকম ভালোবাসার কি প্রয়োজন আছে? তবু তাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

Saturday, January 12, 2013

একাকীত্বকে নিয়ে


একাকীত্বকে নিয়ে খুব ভালো আছি এটা বললে নিজের সাথে মিথ্যে বলা হবে, তবে হয়তো ভালো আছি। মাঝে মাঝে একজনকে এতো বেশী মনে পড়ে যে নিজের আবেগকে প্রশ্রয় দিতে বাধ্য হয়ে পড়ি। হয়তোবা এটাকেই সত্যিকারের ভালোবাসা বলে। কিন্তু সত্যি মিথ্যে ভালোবাসা দিয়ে আমি কি করবো? যে ভালোবাসা আমার জীবনের চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যে ভালোবাসা আমার সুখগুলো কেড়ে নিয়ে কষ্ট দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছে সে ভালোবাসা তো আমি চাইনি, চাইনা। কিন্তু এই ভালোবাসার জন্য আমি একসময় মরিয়া ছিলাম। আজ সে ভালোবাসা কঠিন বাস্তবতা হয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আমাকে একটু একটু করে ধ্বংস করে দিচ্ছে। কিন্তু আমি জানি ভালোবাসা কোনদিন কারো কোনকিছুর জন্য দায়ী হতে পারেনা, দায়ী সেসব মানুষরাই যারা ভালোবাসার নামে ক্ষণিক মোহে পড়ে ভণ্ডামি প্রয়োগের মাধ্যমে একজনের জীবন লণ্ডভণ্ড করতে বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ করেনা। একজনকে আবেগের বর্ষণে সিক্ত করে একটা ছুতো ধরে আবার মরুভুমি করে দিয়ে ঝুঁকে পড়ে আরেকজনের কাছে। হয়তো পাগল আমি, হয়তো আমার মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে প্রকট হারে। হয়তো সত্যিই...। অবহেলা আর অনাদর ঘিরে রয়েছে আমার চারপাশ। ক্রমশই যেন আঘাত করছে আমার নিথর দেহের মস্তিস্কে। নিষ্ঠুরতার হিসেব শেষে আজ যে বড়োই অসহায় আমি। সুখী হবার অধিকাংশ উপলক্ষই হারিয়ে গেছে, বাকিটুকুও হারিয়ে যাচ্ছে আর আমি নীরব দর্শক হয়ে তাকিয়ে দেখছি আমার নিজের এই অনবরত ক্ষয়। হয়তো নিমিষেই নির্বাসিত হবো কোন অন্ধকার অধ্যায়ে। চারদিকে কতো কোলাহল কতো উচ্ছ্বাস তবুও আমি একা। হয়তো অভাবটা তারই, কারন তাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

Wednesday, January 9, 2013

হাড়কাঁপানো শীতে


আমার বুকে মাথা রেখেছিলে কখনো, কখনো আমার কাঁধে। সেসব ভেবে কখনো কখনো হৃদয়টা হাহাকার হয়ে উঠে, মনের মাঝে ছটফট করতে থাকে তোমার সাথে একটু কথা বলার জন্য। হুহু করে কেঁদে উঠে তোমার ওই কণ্ঠ শোনার জন্য। বুকের ভিতর কেমন যেন মোচড় দিয়ে উঠে, তখন নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে রাখি অনেক কষ্টে। জানিনা তুমি মনে রেখেছো কিনা, তুমি একটুতেই আমায় বলতে আমার নাকি ধৈর্য নাই, নিজেকে নাকি শান্ত রাখতে পারি না। এমন হাড়কাঁপানো শীতে তুমিও অধৈর্য হয়ে বারবার ফোন দিতে আমাকে সতর্ক করার জন্য যাতে ঠাণ্ডা না লাগে। আর গতবছর এমন ঠাণ্ডায় শুধু মাত্র তোমার সাথে কথা বলার জন্য আমি যখন বাইরে অপেক্ষা করছিলাম এবং দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার পথ হেঁটে বাসায় ফিরতাম তখন তুমি আমার এসবের কোনকিছুরই তোয়াক্কা না করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা চালিয়ে গেছো তার সাথে যার কাছে তোমাকে তোমার বোনরা ঝুলিয়ে দিয়েছিলো। হয়তো সেই মানুষের কাছ থেকে তুমি আমার চাইতে অনেক বেশিকিছু পেতে যার জন্য আমাকে অবহেলা করতেও তোমার বিন্দুমাত্র আফসোস বা অনুশোচনা কাজ করতো না। যেকোনো একটা মিথ্যা বলে আমাকে বুঝিয়ে দিতে, আর যদিও বা কথা বলতে মাঝখানে বিরক্ত লাগছে বলে ফোন কেটে দিতে। এতোটাই বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম আমি, সবই স্পষ্ট মনে আছে আমার। আজ আমি কোন শীতের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা না নিলেও কেউ আমাকে ফোন করে খবর নেয়না, কারো বকার ভয়ও আর কাজ করে না আমার ভিতরে। সব বদলে গেছে, আমি এখন অনেক শান্ত হয়ে গেছি সেই ঘটনার আকস্মিকতায়। আর তাই আজ তোমার সাথে কাটানো সেই মধুর স্মৃতিগুলো আমার পথ চলার সাথী। তুমি আজ নেই আমার সাথে বা পাশে তবু আমি চাইবো তুমি সেরা যত্নটাই নেবে নিজের প্রতি। এতোটুকু অবেহেলাও যেন না হয়, আর কোনভাবেই ঠাণ্ডা যেন লাগে। আমিতো আছি তোমার কাছে ছায়া হয়ে, তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা। 

Tuesday, January 8, 2013

আদরির জম্মদিন


এখন বিকেল চারটা বাজে, আর কিছুক্ষনের মধ্যে তোমার অফিসের সামনে যেতে বলেছ তুমি আমাকে। আমি বের হচ্ছি আমার আদরির কাছে যাওয়ার জন্য, আজ যে আমার আদরির জম্মদিন। তার সাথে আমাকে দেখা করে তাকে সঙ্গ দিতে হবে। কয়েকদিন আগে তুমি আমায় বললে এই বছর তুমি দেখবে তোমার জম্মদিনটা আমি কেমন করে পালন করি। কথাটা শুনে আমার বুকের ভিতর হুহু করে উঠেছিলো, আমি থাকতে আমার জানটা এমন মন খারাপ করে কথা বলবে কেন। আমিও ঠিক করলাম আমার প্রানপন প্রচেষ্টা থাকবে তোমাকে এতোটুকু কুণ্ঠিত হতে দিবো না। তারপর তোমাকে নিয়ে অনেক ঘুরলাম, খেলাম। কিন্তু সত্যি বলতে যতটুকু দেওয়ার ইচ্ছে ছিল ততোটুকু দেয়া হয়নি আমার সামর্থ্যের কমতির কারনে। অনেক কথা বললে তুমি আমাকে রিক্সায় যেতে যেতে। এখানে নাহয় উল্লেখ করলাম না, নিশ্চয় তোমার মনে আছে সব। আবেগে আমার হাত জড়িয়ে বসেছিলে। কিন্তু তোমার সেই সময়ের কিছু আচরণগত অসঙ্গতি আমাকে দ্বিধান্বিত করে রেখেছিলো সর্বক্ষণ। তাই তোমার জম্মদিনে তুমি আমার পাশে থাকা অবস্থায়ও আমি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে পারিনি ঠিকমতো। আমার মনের ভিতর ঝড়টাকে চেপে রেখে নিজেকে স্বাভাবিক রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। তুমি বললে তোমার খিদে লেগেছে, আবারো আমার বুকে হুহু করে উঠলো। তোমার খাওয়া দেখতে থাকলাম অপলক চোখে। তুমি জানতে চাইলে কি দেখছি, মুহূর্তে নিজেকে সামলে উত্তর দিলাম কিছু না। আদতে আমার বুকে উতালপাতাল ঝড় চলছিলো এই ভেবে যে দিনের পর দিন তুমি আমার সাথে এমন আচরণ কিভাবে করে যেতে পারছো। ভাবছিলাম এই তুমি কি আমার সেই তুমি! যে তুমি আমায় ছাড়া কিছুই বুঝতে না কোনকিছুতে। সেদিন তোমাকে জানালাম আমার এই সাইটের জম্ম দেয়ার ব্যাপারে। কিন্তু তুমি হেসে উড়িয়ে দিলে, বুঝতে চেষ্টা করলেনা এই সাইটের জম্মের কারণ। অনুভব করার চেষ্টাও করলেনা আমার এই হাহাকার আর চলমান শূন্যতাকে। আর আমি প্রতি মুহূর্তে উপলব্ধি করে যাচ্ছিলাম আমার অনেক সাধনার এই সম্পর্কের ভাঙনের পূর্বাভাস। কথাগুলো গতবছরের। আজ আমার সেই আশঙ্কাই তুমি বাস্তবায়ন করে ছাড়লে নিতান্তই জিদ করে। তোমার জিদ আর তোমার বোনদের ফুসলানি শেষ পর্যন্ত কবর দিয়েই ছাড়লো আমার বেঁচে থাকার সেরা অবলম্বনকে। সেই ভাঙ্গন তোমার কোন ক্ষতি না করলেও আমার ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন করে। তবু তুমি ভালো থেকো সারাক্ষন, যেই আশা আর প্রত্যাশায় আমাকে ছেড়ে চলে গেছো তার বিন্দু পরিমাণও যেন অপূর্ণ না থাকে। তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা। শুভ জম্মদিন আদরি। 

শুভ জম্মদিন



আজও পারলাম না নতুন বছরের প্রথম দিনের মতো থাকতে। শুভ জম্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জান। জানি, এটা আমার অনধিকার চর্চা হয়ে গেলো, কিন্তু কি করবো বলো। আমি যে তোমার মতো হতে পারিনি আজো, তাই আমার মনও আজো আছে সেই আগের মতোই। প্রতিবছর এইদিনে সবার আগে আমিই শুভেচ্ছা জানিয়ে তোমাকে আদর করে দিতাম, আট বছরে এই প্রথম ব্যতিক্রম হলো। সত্যি বলতে গত বছরও সবার আগে তোমাকে জানাতে পারিনি আমি, আমার আগেই তুমি আরেকজনের কাছ থেকে শুভেচ্ছা নিয়ে নিয়েছিলে। আর আমি যখন ফোন করি তখন তুমি ঘুমে ঢুলু ঢুলু। ভীষণ খারাপ লেগেছিল সেদিন, কিন্তু বলার কিছুই ছিল না। তাই আজ ইচ্ছে করেই দেরি করে তোমাকে আমার অনেক অনেক আদর দিলাম, তুমি গ্রহন করবে না জেনেও না দিয়ে পারিনি থাকতে। আজ দেখা হবে না তোমার সাথে, যদিও খুব ইচ্ছে করছে তোমাকে একনজর দেখে আসতে অন্তত এই দিনে। কিন্তু আমার পায়ে যে তুমি বেড়ি পরিয়ে দিয়েছ সোনু, খুব কষ্ট হচ্ছে আমার সব ভেবে, সব মনে করে। কিভাবে তুমি পারলে আমাকে এইভাবে দূরে সরিয়ে দিয়ে থাকতে! ঘড়ির কাঁটায় যখন ঠিক ১২টা তখন নিজের অজান্তেই আমার হাতে মোবাইল উঠে আসে, এমনকি তোমার নতুন নাম্বার টা তুলেও ফেলেছিলাম। ডায়াল করতে যাবো, হটাৎ মনে হলো আমিতো সেই অধিকার হারিয়েছি। অসহনীয় কষ্টে দম বন্ধ হয়ে আসে আমার, বুকটা দুমড়ে মুচড়ে যায়। একে একে মনে পড়ে গেলো আজ সারাদিন তোমার সাথে জড়িয়ে গতবছরের এইদিনের স্মৃতিগুলো, মনে পড়ে বারবার তোমার বলা কথাগুলো। মুলত এদিনটিকে ঘিরেই ছিল আমাদের সুখের শেষ স্মৃতি, তাই না আদরি? তোমার কি একবারও মনে পড়েনি আমার কথা বারোটা বাজার সাথে সাথে? জানি পড়েছে, আর খুব বিশ্রীভাবেই পড়েছে। কিন্তু কেউ টের পাবে বলে নিমিষেই নিজেকে সামলে নিয়েছো। কেন মনে করেছো বলতো আমাকে যদি ভালো নাই বাসো? পাগলী, আমার কথা তোমার মনে পড়বে না এটাও কি সম্ভব বলো? একটুও মন খারাপ করোনা, খুব আনন্দের সাথে কাটিয়ো দিনটি। আমি নেইতো কি হয়েছে, তোমার পাশে নতুন আর অন্য সবাইতো রয়েছে। আমি কি চিরকাল বেঁচে থাকবো বলো? তোমার বার্থডে আসবে আবার চলেও যাবে। কিন্তু আমি থাকবো না তোমার পাশে, পারবোনা তোমাকে শুভ কামনা জানাতে। এদিনটিকে ঘিরে এতো কিছু বলার আছে যে কয়েকটা নির্ঘুম রাত ধরে লিখলেও তা শেষ হবার না। এমন কোন সময় বা মুহূর্ত নাই যখন তোমার উপস্থিতি আমি আমার হৃদয়ে টের পাইনা, তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। আজ তোমার জম্মদিন। শুভ জম্মদিন। ভালো থেকো আমার সোনামনিটা, ভালো থেকো আমার ভালোবাসা। 

Monday, January 7, 2013

হাসির খোরাক


হয়তো তুমি অনেক ভালো আছো। নতুন মানুষ, নতুন হাতছানি, নতুন তৃপ্তি, নতুন সুখের দোলায় দুলছো প্রতিদিন। কিন্তু তুমি ছাড়া ভালো নেই আমি, ভালো নেই আমার এই মন। প্রতিটি ক্ষনে আমি ভীষণ মিস করছি তোমায়। আমার চলার পথে আজ সঙ্গী কেউ নেই, সাথে শুধু কষ্ট বেদনার ঢেউ আছে। প্রতিটা নির্ঘুম রাত আমাকে খুব কষ্ট দেয়। তুমি আমাকে ফেরাও না, কিন্তু আমি বারবার ফিরে আসি মনে মনে তোমার কাছে। আমার সুখে তোমার কিছুই যায় আসে না, আমার কষ্ট তোমার কাছে তাচ্ছিল্য। আমার অনুভুতি তোমার কাছে হাসির খোরাক, কিন্তু তবুও ভাবতে পারিনা কোন মুহূর্ত তুমি ছাড়া। যদি তোমার কোন অবসরে অনুভব করতে চাও আমার কষ্টকে তবে অনুভব করো কালো অন্ধকারকে। যদি আমায় সঙ্গী করতে চাও তবে সঙ্গী করো নিঃসঙ্গতাকে। যদি আবার ভালবাসতে চাও আমায় তবে ভালোবাসো নয়নের অশ্রুকে। যদি আবার আমায় আপন করে নিতে চাও তবে আপন করো কষ্টকে। তবেই বুঝবে কে আমি, কেমন আমি? তুমি আবার ফিরে এসো, অন্তত একটা ঘণ্টার জন্য, নয়তো এক মিনিটের জন্য, অন্তত একটা মুহূর্তের জন্য। না, আমি বলবো না তোমাকে আমার সাথে থাকার জন্য বা আমাকে ভালোবাসার জন্য। শুধু বলবো তোমার দেয়া স্মৃতিগুলো নিয়ে যাও। প্রতি রাতে এগুলো আমাকে একা থাকতে দেয়না। আর তাই তোমাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

Sunday, January 6, 2013

স্মৃতিগুলোর অত্যাচারে


স্বপ্নগুলো আমার আজ বর্ণহীন। যেন এক অর্থহীন বাস্তবতার সমাপ্তি। আমি আজ এক ক্লান্ত পথিক, পরাজিত সৈনিকের মতো মুখ থুবড়ে পড়ে আছি জীবনের রনক্ষেত্রে। হিমশীতল আলোহীন দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে চলেছি অনন্ত কাল ধরে। জানিনা কবে শেষ হবে আমার এই অন্তহীন আর অর্থহীন পথচলা, আমার কাছে জোছনা মানে মৃত্যুর ফ্যাকাসে রঙ। হয়তোবা উদ্বেল হয়ত থাকি সেই বহু প্রতিক্ষিত আর প্রত্যাশিত মহাপ্রয়াণের মুহূর্তটিকে দুবাহুর আলিঙ্গনে জড়িয়ে নেবার জন্য। যে আলিঙ্গনে তোমাকেই জড়িয়ে নেবার কথা আর দুর্দমনীয় ইচ্ছে ছিল, আর সেই আলিঙ্গনেই মৃত্যুকে হাসিমুখে বরন করার কথা ছিল। প্রেম আমার কাছে দুঃস্বপ্নের নির্ঘুম রাত, যেন অনন্তকাল আমি এই দুঃস্বপ্নের মাঝেই ভেসে আছি। দিনের আলোয় হাজার মানুষের ভিড়ে আমি এক অশরীরী প্রেতাত্মা। আজ আমি ভীষণ নিঃসঙ্গ, কাউকেই আমি সঙ্গী ভাবতে পারছিনা। এই ভয়ংকর একাকীত্ব আঁকড়ে ধরে তবুও আমি অপেক্ষা করি, কিসের জন্য আমি নিজেও জানিনা। হয়তো তোমার জন্য অথবা হয়তো ওপারে যাবার খেয়া নৌকার জন্য। আর দুইদিন পর তোমার জম্মদিন, কিন্তু তোমাকে শুভেচ্ছা জানানোর সুযোগ বা অধিকার কোনটাই আজ আমার নেই। অনেক কিছুই মনে পড়ে যাচ্ছে, কেন জানিনা আজ তোমাকে ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করছে। আমাদের সেই মধুর আর রঙিন সময়ের স্মৃতিগুলোর অত্যাচারে আমি অসহায়। এখন মাঝে মাঝে মনে হয় কাউকে বুঝি বেশী ভালবাসতে নেই, বেশী আপন ভাবতে নেই। আর বেশী ভালোবাসা আশা করতে নেই, হয়তো এতে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে হয়। যার প্রাপ্তি শেষ পর্যন্ত অবহেলা আর অপমান অনিবার্য। তবু তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা। 

Friday, January 4, 2013

সুখ আর ভালোবাসা


অনেকদিন আগে, এক মানুষ তার প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাজারে যায়। সেখান থেকে সে দেখে অনেককিছুর দোকান, প্রথমে সে সুখের দোকানে যায়। অনেক সুখ ছিলো কিন্তু দোকানী সুখ বিক্রি করে না। মনে খারাপ করে সে তখন যায় আনন্দ কিনতে, কিন্তু আনন্দের অনেক দাম থাকায় কিনতে পারে না। তারপর সে হাসি কিনতে যায়, কিন্তু হাসিগুলো মলিন হয়ে গিয়েছিলো। সে তখন কি করবে ভেবে চুপচাপ একটি গাছের নিচে বসে পড়লো। দুপুর হয়ে গেলো। সে তখন খুঁজতে লাগলো সবচেয়ে সস্তা কি আছে। দেখলো কিছু ভালোবাসা আছে, সেগুলো কিনেই সে বাড়ি ফিরলো। কিন্তু সে জানতো না যে ভালোবাসার যত্ন নিতে হয়। মানুষটা তারপর বসবাস করতে লাগলো, কিন্তু ভালোবাসা যত্নের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লো। এই জন্য সে আর ভালোবাসাকে কাছে রাখতে চাইলো না। সে ভালোবাসাকে নিয়ে বাজারে গেলো এবং ভালোবাসাকে বিক্রি করে দিলো। সে কিছু বেশী টাকা নিয়ে গিয়েছিলো। তাড়াহুড়ো করে সে সুখ, আনন্দ আর হাসি কিনে নিয়ে ফিরে এলো। সে দেখে শুনে নেয়নি তাই সুখের সাথে দুঃখ, আনন্দের সাথে বেদনা আর হাসির সাথে কান্না, সমাজ নামের দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিলো। মানুষটার জীবন তখনও ভালোই চলছিল, কিন্তু একসময় সে এই সবকিছুর মধ্যে থাকতে চাইলো না। তার তখন কেবল ভালোবাসার কথা মনে হতে লাগলো। সে সব কিছু নিয়ে আবার বাজারে এলো। সবকিছু বিক্রি করে সে ভালোবাসা খুঁজতে লাগলো হন্যে হয়ে। কিন্তু হায়, ভালোবাসা ছিলো না। তখন সে আবার অন্য জিনিসগুলো খুঁজতে লাগলো, সেগুলোও ছিলো না। কি করবে ভেবে না পেয়ে সে বাড়ি ফিরছিলো, হটাৎ কেউ একজন তার পিঠে হাত রাখে। সে তখন পেছনে তাকায় আর বলে,
-তুমি কে?
-আমি অতীত।
-কি চাও?
-কেউ তোমার সাথে না থাকলেও আমি থাকবো।
-সত্যি?
-হ্যাঁ, সত্যি।
সেই থেকে ভালোবাসা না পাওয়া মানুষ অতীত আঁকড়ে ধরে বাস করছে। এখন সেই মানুষটি কি আমি না তুমি? ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

মৃত্যুর পরেও তোমাকে


আকাশকে বলেছিলাম তোমার বিশালতাকেও ছাড়িয়ে যাবে, সাগরকে বলেছিলাম তোমার গভীরতাও তলিয়ে যাবে আমাদের ভালোবাসার কাছে। সবই পড়ে রবে পাছে, মৃত্যু ভয় পাবে আমাদের কাছে এসে। শূন্যতাও হারিয়ে যাবে আমাদের ভালোবাসার কাছে, খুব আত্মবিশাস আর গর্ব করে কথা গুলো বলতাম তোমাকে তোমার ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হতে হতে। সেদিন বিচের বালুচরে তোমার পাশে বসে সাগরকে খুব তুচ্ছ মনে হয়েছিলো তোমার ভালোবাসার কাছে। কিন্তু কখনো ভাবিনি আমিও তো হারিয়ে যেতে পারি ভালোবাসার দৃশ্যমান পৃথিবী থেকে। আজ আমি জীবন নদীর এ পারে অবারিত শূন্যতার মাঝে আর তুমি বেঁচে আছো একলা মনে আমাদের ভালোবাসা বুকে নিয়ে। জানি তোমার পৃথিবীতে কেউ তোমাকে সান্ত্বনা দেবে না আমি তোমার পাশে নেই বলে। মৃত্যু নামের কালো অন্ধকারে আমি হটাৎ হারিয়ে গেছি, তোমাকে রেখে এসেছি কোলাহল ভরা প্রানবন্ত পৃথিবীতে। তোমাকে অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছি, অনেক আবেগী সুখের জাল বুনেছি। ভেবেছিলাম একসাথে কাটিয়ে দেবো জীবনের শেষ সময়গুলো। কিন্তু হলো না, মৃত্যু হতে দিলো না আমার ইচ্ছে বাস্তবায়ন করতে। আমি জানি, আর কখনো ফিরে যেতে পারবো না তোমার কাছে, তুমি আর কখনো দেখবে না কেউ তোমাকে দেখার জন্য চুপিচুপি এসে দাঁড়িয়ে থাকে। দেয়া হলো না তোমাকে গোলাপ আর বেলি ফুল, তুমি বলেছিলে তিনটি গোলাপের কথা যার একটি তুমি একটি আমি আর একটি আমাদের ভালোবাসা। তোমার সব স্বপ্ন হয়তো আমি ভেঙ্গে ফেলেছি, যদি কখনো পারো আমাকে ক্ষমা করে দিও। একটি কথা কিন্তু আমি ফেলে দেইনি, আকাশ সাগর আর মৃত্যু হার মেনেছে আমাদের ভালোবাসার কাছে। মৃত্যুর মাঝে হারিয়ে গেছি আমি তবে নিঃশেষ হয়ে যায়নি তোমার ভালোবাসা পৃথিবী থেকে। আমি জানি তুমি আজো ভালোবাসো আমাকে আর আমিও অনেক অনেক ভালোবাসি তোমাকে, শুধুই তোমাকে। তোমাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা। 

Thursday, January 3, 2013

ভালোবাসার জালে


একটি সত্য কথা বলবে? ভালো কি বেসেছিলে আমায় কোনদিন নাকি অন্যের চোখে আগুন ধরাতে ব্যবহার করেছিলে আমায়? ইদানিং এই প্রশ্নটি কেন জানি বারবার খোঁচা দেয় আমায়। কাউকে কি সুখী করতে পেরেছো নাকি তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে নিজেই সুখী হতে চেয়েছো? ভালোবাসার প্রলোভন দেখিয়ে কেন ডেকেছিলে আমায়? কেন দিয়েছিলে নিষ্ঠুর ভালোবাসার ছোঁয়া? আসলেই ভালোবাসার জালে আমি ছিলাম অনেক বোকা, নিজের বিবেককে প্রশ্ন করো- কেন আমায় দিয়েছিলে ধোঁকা? আমি আজো ভালোবাসি তোমায় অনেক বেশী ভালোবাসি। ঘৃণা করতে চাই তবু ভালোবাসি, ভালোবাসতে চাই অনেক। পারবে না কেড়ে নিতে তুমি, আমার এই ভালোবাসা আমার অধিকার। আকাশের দিকে তাকাও, দেখো চাঁদের পাশে সাদা মেঘ ঘিরে আছে। এই সাদা মেঘ হলাম আমি যে তোমাকে ভালোবাসে, সবসময় তোমাকে তার পাশে চায়। আর এই চাঁদটা হলে তুমি, যে আমার থেকে দূরে থাকতে চাও, আমায় ঘৃণা করো। আজব আমি আর আজব আমার ভালোবাসা। তুমি আমায় ঘৃণা করো তবু তোমাকেই কেন ভালোবাসি? তবু তোমাকেই কেন দেখতে ইচ্ছে হয়? আজো ভুলতে না পারা সেই স্মৃতি মনে পড়ে যায় বারবার, আমার বুকের মাঝে মুখটি গুজে বলতে ‘আমি শুধুই তোমার’। স্মৃতির দেয়াল জুড়ে তোমার ছবি, জোর করে কি সবই ভুলে থাকা যায়? সেই তোমাকে ছেড়ে কেমন করে বলো থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা। 

Wednesday, January 2, 2013

তোমারই কারনে


যে নামেই আজ ডাকো তুমি,
প্রবঞ্চক কিংবা প্রতারক – দুঃখ পাবো না।
যে সম্বোধনই আজ করো তুমি,
আপনি, তুমি কিংবা তুই -  অবাক হবো না।
জনসমুদ্রে দাঁড় করিয়ে যদি থুথু ছিটিয়ে আবার বলো,
ঘৃণা করি তোমাকে – কথা দিলাম কোন প্রতিবাদ করবো না।
অমৃত বলে যদি হিম শীতল মৃত্যু এনে দাও,
আকণ্ঠ পান করবো, না বলবো না।
তবে শর্ত একটাই,
বলতে হবে আমি কি সত্যি তোমার যোগ্য ছিলাম না...??
এই প্রথম মনের সাথে যুদ্ধ করছি শুধু তোমার জন্য, আর সেই যুদ্ধে আমি হেরে যাচ্ছি তোমারই কারনে। আজ আমি জানিনা তুমি কে? আর আমিই বা কি? তোমার কাছে তো আমার আর কোনও প্রত্যাশা নেই। আজ যখনই ‘ভালোবাসা’ শব্দটি আমার কান দিয়ে প্রবেশ করে তখন হৃদয়ে এক তীব্র ঝড়ের সৃষ্টি হয়। সেই হৃদয়ের বাসিন্দা আমি একজনকেই দেখি, সে আর কেউ নয় শুধু তুমি। এভাবেই ভালোবাসতে চাই চিরকাল, কিন্তু বিনিময়ে তোমার ভালোবাসা আমি চাই না। চাই না এই অরিন জাহানের নষ্ট ভালোবাসা, যে সহজেই সবার নিতান্ত সহজলভ্য হিসাবে সর্বদা উম্মুখ হয়ে থাকে। যে আমার হার্ট বিট ছিলো সে মরে গেছে তবুও তার ভালোবাসা আজো আমার হার্ট বিট হয়ে রয়ে গেছে আর থাকবে। যার ভালোবাসা সবার কাছে অধরা শুধু আমি ছাড়া। সেই তাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

Tuesday, January 1, 2013

বছরের প্রথম দিন


নতুন বছরের প্রথম দিন আজ। মনে পড়ে যাচ্ছে গত বছরের অনেক ঘটনা। তেমন ভালো কোন ঘটনা ছিলনা মোটেও আমার জন্য। বছরের শুরুতেই আমার অনেক সাধের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের সমাপ্তি একতরফা ভাবেই। যার পরিনতি ছিল খুবই ন্যাকারজনক নোংরা প্রক্রিয়ায়। এমএফসি তে তার শেষ কথা শুনে মর্মাহত হয়ে সেখানেই আমার জিনিষ দুটাই ফেলে আসা এই ভেবে যে যেখানে সম্পর্কই রইলো না সেখানে কি হবে এই বস্তুগত জিনিসগুলো দিয়ে। ফেরত নিতে হলে তো সবার আগে মনটাই ফেরত নিতে হয়, সেটা কি ওই বোকাটার পক্ষে দেওয়া সম্ভব?? সম্পর্ক ভাঙার প্রতিক্রিয়ায় আমার আরো দীর্ঘদিনের অন্ধকার জীবন থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিসমাপ্তি। পরিনামে আবারো সেই সেন্টারে একমাসের স্বেচ্ছা বন্দী জীবন বরন করে চরম অসহায়ত্তের মধ্য দিয়ে দিন কাটানো। সেখানে থাকা অবস্থায় আমার ব্যবসায়িক দুইলক্ষ টাকা ছিনতাই হয়ে যাওয়া, এরপর বাবার পিড়াপীড়িতে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গিয়ে আমার হার্টে মারাত্মক সমস্যা নির্ণয় হওয়া ভিতর দিয়ে আমার ভবিষ্যৎ শারীরিক অবস্থা নির্ধারিত হয়ে যায়। এরপর আবারো মে মাসে আমার প্রতিষ্ঠান চুরি হয়ে নগদ আশি হাজার টাকা সহ প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি এবং এক ব্যবসায়িক অংশীদার পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়া একাধিক বার দুর্ঘটনায় আমার মৃত্যুর কাছে গিয়ে ফিরে আসা, সাথে সেই সংঘাতময় প্রতিটি দিন পারিবারিক জীবনে। সবমিলিয়ে প্রতিমুহূর্তে মোকাবেলা করতে হয়েছে প্রতিকুল পরিবেশ, সহ্য করতে হয়েছে চরম অপমান আর অবহেলা। এতসব ঘটনা একে একে ঘটতে থাকে আর আমি ব্যঙ্গ হেসে নিজেকে সান্ত্বনা দিতাম এই বলে যে এসব আমার প্রাপ্য। একের পর এক অনাকাক্ষিত ঘটনায় আমার চরম হতাশার মধ্যে নিমজ্জিত হওয়ার পরেও আমি ভেঙ্গে পরিনি মোটেও। শারীরিক, মানসিক, আর্থিক আর পারিবারিক সবদিকেই চরম বিশৃঙ্খলা ও অবনতি বিরাজ করে। চারিদিক সামাল দিতে আমাকে সীমাহীন হিমশিম খেতে হয়। এছাড়া আরও অনেক ঘটনা আছে যেগুলো মোটেও সুখকর নয়। তবে দুঃখ শুধু এটাই আমার এই চরম দুঃসময়েও আমার পাশে থেকে আমাকে একটু সাহস, সান্ত্বনা বা মানসিক সমর্থন দেওয়ার জন্য কাউকে পাইনি। অন্য সবার মতো এমন প্রাপ্তি আশা করাটা কি আমার জন্য খুবই অন্যায়? হয়তো আমাকে এসব মানায় না। কিন্তু আমিতো কখনো কারো দুঃসময়ে কাউকে ছেড়ে যাইনি তবে কেন আমার বেলায় এমন হয়? তবুও সবকিছুকে নিয়তি মনে করে আবার উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি একা একাই। এর ভিতরে বাবা-মায়ের অসুস্থতা আমাকে আরও দিশেহারা করে তুলে। সর্বশেষ ঘটনা ঘটে গত ২৭শে ডিসেম্বর মায়ের খাস্তগির স্কুলের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হওয়া। জানিনা এই নতুন বছর আমার জন্য আরও কতো বিরূপ পরিস্থিতির সম্মুখীন করে, যদিও জানি আর কোন ভালো আমার জীবনে আসবে না কোনদিন। আর আমিও জীবনের কাছে ভালো কোন প্রত্যাশা করিনা। আজ এই বছর শুরুর লগ্নে আমি কাউকে দায়ী করতে চাইনা আমার কোনকিছুর জন্য। আমার সবকিছুর জন্য আমি নিজেই দায়ী, কারন আমি সেরকম পরিবেশ তৈরি করতে পারিনি। সবাই ভালো থাকুক যার যার প্রত্যাশা মতোই, শুধু এই কামনা করি মনেপ্রাণে। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Happy New Year

পারলাম না মনের সাথে যুদ্ধ করে জিততে, হেরে গেলাম আমি। চেয়েছিলাম এই New Year এর শুভেচ্ছা না জানিয়ে থাকতে, কিন্তু মন আমাকে জোর করলো ক্ষনে ক্ষনে। যুদ্ধ করতে গিয়ে বারবার মনে পড়ে গেলো গত বছরের এইদিনের কথা। তুমি ওইদিনও আমাকে একটা মেসেজ কিংবা ফোন করে wish করোনি, মনে পড়ে তোমার? আমি একটু দ্বিধায় ছিলাম তাই মোবাইল চেক করে নিশ্চিন্ত হলাম। না তুমি ভুল করেও শুভেচ্ছা জানাও নি গতবছর। কারন তুমি নতুনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত আর ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলে। খুব বেশী আশ্চর্য আর আহত হয়েছিলাম সেদিন তোমার সেই আচরনে। তোমার সাথে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের ধারার সাথে মিলাতে পারছিলাম না কিছুই। তবু আমি চুপ করে মেনে নিয়েছিলাম, কারন তোমার এই ধরণের অনেক আচরন আমাকে সন্দিহান করে তুলেছিল যা আমি নীরবে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছিলাম শুধু নিশ্চিত হওয়ার জন্য। তোমার সেই অসঙ্গতিপূর্ণ আচরনগুলো বর্ণনা দিতে গেলে অনেক বড়ো হয়ে যাবে, তাই আমি সেইদিকে যাচ্ছি না। আরে পাগলি, তোমাকে বারবার বলেছিলাম নিতান্ত শখের বশে বা সময় কাটানোর জন্য তোমাকে ভালোবাসিনি আমি। তোমাকে মর্মে মর্মে উপলব্ধি করি বলেই আর আমার মনের ভিতর থেকে তাগাদা অনুভব করি বলেই তোমাকে ভালোবাসি আমি। সেই তোমার আচরণের কারন আমি বুঝবো নাতো কে বুঝবে বলো? যাই হোক এসব এখন নিতান্তই ইতিহাস। জানি, ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশ থেকে অনেক শুভেচ্ছা পেয়ে গেছো তুমি। আজ আমি এই দূরে থেকেও তোমাকে জানাচ্ছি- Happy New Year সোনু, আমার লক্ষ্মী। নতুন বছর তোমার জন্য বয়ে আনুক আরও পূর্ণতা, আরও পরিতৃপ্তি, আরও সুখ আর আনন্দ নতুনের সাথে। পৃথিবীর সব ঐশ্বর্য তোমার পায়ে এসে লুটাক, সব সাফল্য তোমার কাছে এসে ধরা দিক। হয়তো এ লেখাগুলো তোমার চোখে পড়বে না, তবু আমি জানিয়ে দিলাম। তুমি নাহয় পেরেছো কিন্তু আমাকেও যে পারতে হবে এমন তো কথা নেই। তুমি নাহয় আমাকে ঘৃণা করো, কিন্তু আমিতো তোমাকে ভালোবাসি তাই ঘৃণা করতে পারিনা কিছুতেই। সেই তুমি যাই করো না কেন আমি এমনটি করতে পারিনা, যাকে ভালোবাসা যায় তাকে কি ঘৃণা করা যায় বলো পাগলি? তোমাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে? ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।