irregular due to unavoidable circumstances of my own, hope will be back and continue soon.............. have patients for a while.

Sunday, June 30, 2013

আমার ঝড় দেখোনি- ২

‘আ’ নামের একটি প্রানির জন্য কতগুলো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে গেলো, বুঝে নিয়েছিলাম ‘jami’ কে গলা টিপে শ্বাসরোধ করা তোমার জন্য স্বাভাবিক সেই ‘আ’র জন্য। অতঃপর তুমি আবার ফিরে এলে। হয়তোবা কিছু কষ্ট দেয়া তখনো অবশিষ্ট রয়ে গিয়েছিলো তোমার হাসি ঠাট্টার প্রেম প্রেম খেলায়। তাই এবার তুমি এলে নতুন কোমলতায়। নতুন চেহারায় নতুন স্বপ্নের ডাকবাংলোতে নতুন হাসি আর দুষ্টুমির পসরা বসানো এক ঝাঁক স্বপ্নের রঙিন ডালি নিয়ে মন মর্তলীলায়। আর আমায় দেখালে তোমায় নিয়ে এক সাথে বাঁচার মহেন্দ্রাণী স্বপ্ন। আমিও দেখলাম বিভোর হয়ে, একটা ছোট্ট ফুলের বাগানে থোকা থোকা ফুল আর মাঝখান থেকে বয়ে চলা ভালোবাসার অমিয় ধারা। তোমার কাল্পনিক বাহুর শক্ত বাঁধনে দুটি প্রাণ এক সাথে যুগল বন্দী। তাই নরবে নিভৃতে তোমার বুকের জলের জোয়ারহীন নদীতে চুমু দিয়ে জল টেনে নেবার আকাঙ্ক্ষায় হয়েছিলাম ঠিক গলা পর্যন্ত তৃষ্ণার্ত। অথচ তুমি ভেবেছিলে তোমার শেষদিকের আচরণগুলো আমি বুঝতেই পারবো না। তুমি কি করে ধরে নাও মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখে চন্দ্রিমা তার শুকতারাকে ভুলে যাবে? নিষ্ঠুর মহাকালের যাঁতাকলে চিরচেনা উপমার দল পুরনোর ছন্দের সুর হারাবে? যেখানে আত্মা ছুঁয়েছিল আত্মাকে, সে কি নশ্বর দেহের মতন মৃত্তিকার কঠিন আঘাতে সুক্ষ সুক্ষ ধুলি কণা হয়ে মিশে যাবে, তাই কি হয়? আমি তো তোমায় চিনে নিয়েছি অলিন্দের স্পন্দিত অতীন্দ্রিয় কোন অনুভূতির খাজে শুকনো পাতার দল মড়মড় করে বাতাসে গুঞ্জন তুলে বলে তুমি এসেছো। আমি যে ছায়াতেও তোমাকে চিনি। তাইতো তোমার মিথ্যাচারের নষ্ট মুখোশের লাল নীল আঁকিবুঁকি প্রলোভনের পাকাপোক্ত রহস্যজড়িত তোমার মুখোছবি দেখে তোমার ভালোবাসা নিয়ে হয়েছিলাম দ্বিধান্বিত, হয়েছিলাম সন্দিহান। আমার সেই সন্দেহকেই তুমি কঠিন বাস্তবতার শক্ত চিবুকটি দেখিয়েছো। তুমি বলেছো তোমাকে ভুলে যেতে। আবারো নষ্ট শপথের জ্বলন্ত কয়লায় ভস্মীভূত ভোরের মগ্নতা। আবারো রাত, অসীম রাত। আবারো ছলনার ছলাকলে নিষ্পেষিত নিখাদ ভালোবাসা। সবই তোমার ইচ্ছের অধীন, এই মৌনতা, মেঘ, রোদ, বৃষ্টি, ঝড়। কিন্তু তুমি জানো কি? তোমার ভালোবাসায় আমি অভ্যস্থ, সেই ভালোবাসার অলঙ্ঘনীয় সিঁড়িটি আমি পার করে এসেছি যে ফিরে যাবার পথ ক্রমশ সঙ্কীর্ণ হয়ে বেঁকে গেছে নিঃশেষিত পরাজয়ের দিকে। বলো কি করে আমি তোমায় ভুলে যাবো? এরপর.........। এরপর কি হয়েছে শুনলে উপন্যাসের পাতায় ঘুমিয়ে পড়া শব থেকে মানবেতর ট্রাজেডিটিও চমকে জেগে উঠবে। এরপর আমার চিরকালের অসীম ধৈর্য কাচের মতো ভেঙ্গে হয়েছে টুকরো টুকরো। আর আমি কতো খণ্ডে খণ্ডিত হয়েছি সে নাই বা বললাম। জানো ভালোবাসার উপর বিশ্বাসও মরে গেছে চিরতরে। মরে গেছে জগত সংসার ভুলে প্রেমের লালিমায় কাউকে রঙ মাখানোর স্বপ্ন বা ইচ্ছা। শুধু বেঁচে আছে তোমার শেষদিকের ছলাকলার বিভ্রম স্মৃতিগুলো, যারা হিংস্র প্রেতাত্মা হয়ে প্রতিনিয়ত ধারালো ছুরি দিয়ে খুবলে খুবলে পুরনো ব্যাথাগুলোকে চাষাবাদ করে আমার বুকের জমিনে। আর আমি হই ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত। কখনো কখনো কষ্টের তীব্র আঘাতে নিজেই নিজের মাঝে গুমরে গুমরে কেঁদে উঠি। আবার কখনো স্মৃতি ভ্রষ্টের মতো নিজের মাঝে নিজে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে রই। যেন পৃথিবী থেমে গেছে দুঃসহ কষ্টের নির্দয় সীমানা ধরে। বার বার একটা ভাবনায় স্তম্ভিত হই- তুমি তো ছিলে ধর্মপ্রেমী নীতিবুলি আওড়ানো এক মানবী যাকে আমি দেবীর মতো হৃদয় অলিন্দে পুজো করতামধর্মহীন ভীতুদের মতো সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া অন্তসার শুন্য মানবী তুমি নও। তুমি কি করে এতোটা নিচে নেমে এলে যে রাত্রির উচ্চশিখরে আরোহিত মাংসাশী পিশাচও তোমাকে দেখে লজ্জায় মুখ লুকিয়ে নেবে। বলো আর কাকে করবো আমি বিশ্বাস??? শুনেছি তুমি খুব সুখেই আছো, মনে নতুন নতুন রক্তকরবী আর কৃষ্ণচূড়ার রঙ মাখাচ্ছ। অথচ এক সময় তোমার বুকের লাল গোলাপটিই ছিলাম আমি। কিন্তু এখন সেই বুকের পাঁজর অন্য গোলাপের প্রতীক্ষায়, বলো কি দিয়ে আমি এই ব্যাথা ঢাকবো?? কষ্টগুলো যে আমার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে রাখে, আর আমি বার বার ফুঁপিয়ে উঠে ভাবি যদি এই নিয়তি মিথ্যে হয়ে যেতো। যদি এই জনমেই তুমি আমার হতে, তবে কি খুব বেশী ক্ষতি হয়ে যেতো??? পরিশেষে এতোটুকু অনুনয়, তোমার স্মৃতিগুলোকে তুমি ফিরিয়ে নিও। ওদেরকেও নিয়ে যেও তোমার সাথে। আমিও যে চাই তোমার স্মৃতিছাড়া একটা জ্যোৎস্না উপচানো রাত। তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে, ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।


ইতি---
এক পরাজিত প্রেমী।

Saturday, June 29, 2013

আমার ঝড় দেখোনি


প্রিয়া কেমন আছো? এই যা! তোমাকে ‘প্রিয়া’ বলে ডেকে ফেললাম। কেন যেন স্মৃতিভ্রংশ উদ্ভ্রান্তের মতো এ কথা বার বার ভুলে যাই এখন আর তোমাকে ‘প্রিয়া’ ডাকার অধিকার আমার নেই! কি অদ্ভুত তাই না? এক সময় যাকে পৃথিবীতে সব থেকে বেশী ভালোবাসতাম আজ তাকেই ‘প্রিয়া’ ডাকার অধিকার নিয়ে শঙ্কিত! আর ভালোবাসি বলা, সে তো পরাজয়ের খাতায় নতুন অঙ্ক কষার মতো! অথচ তুমি তো বেশ ভালো করেই জানো আমি অনেক ভেবে তোমায় ভালবেসেছি। তুমি বলেছিলে এখনো কিছু পাখি একসাথে জোড়া বেঁধে সূর্যস্নানে অবগাহন করে মেঘে মেঘে, এখনো অযুত কল্পনার নিযুত স্রোতে পরিশীলিত ভাবনার দল ঘাতপ্রতিঘাতে এক সাথে বেঁচে থাকার রঙিন স্বপ্নে প্রজাপতিরা ডানা মেলে স্বপ্নিল আকাশের সীমাহীন পরিধিতে। এখনো পৌষের শেষে বসন্তের পয়গাম নিয়ে হলুদাভ তিয়ে লাল টুকটুক ঠোঁটে কামাগ্নি প্রণয়িনীর মতো গভীর প্রশ্বাসে চুম্বন একে দেয় কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম আভাতে। আর তাই তো তোমাকে ভালবেসেছি। অতঃপর তুমি চলে গেলে, আমি পিছু ডেকে বলিনি আঁধারের নাভিশ্বাসে আর ভোর হবে না, দুঃসহ যাতনা মৌনতা ভাঙ্গিয়ে আছড়ে পড়বে তোমার পদচিহ্নে। মুখ বুঝে হজম করে নিয়েছি সব দুঃখ, অলঙ্ঘিত প্রতিশ্রুতির নিশ্চুপে পরাজয় বরণ। সহস্র দুর্বিষহ যন্ত্রণাতেও করিনি এতোটুকু উফ শব্দ অথবা গোপন চুক্তিতে প্রতিশোধের অভিলাষে ছুটে যাইনি নিষিদ্ধ সীমা লঙ্ঘন করে প্রিয়াহারা নাগিনের বেশে। আর্তচিৎকারে ভুবন কাপিয়ে বলিনি ধুমকেতুর মতো সব ত্রিমাত্রিক সীমানা ছেড়ে অসীমেও তোমায় খুঁজে চলবো জনম জনম ভর। আমি প্রতিশোধ নিয়েছি আমিত্তের সাথে, আর্তচিৎকার বুকে চেপে নীরবে বলেছি তবু তোমায় ভালবাসবো আজীবন। আমিতো অন্যসবই সয়ে নিয়েছিলাম, শুধু শেষ দিকে তোমার ব্যক্তিত্তহীনতা, তোমার হীনমন্যতা, তোমার কাপুরুষের মতো যমের দুয়ারে আমায় একলা ফেলে পালিয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারিনি। তারপর সব মেনে নিয়েছি, মেনে নিয়েছিলাম নিজের মাঝে গড়ে উঠা অপ্রতিরোধ্য সেই ঘৃণার দুর্গকেও যেখানে প্রতি নিয়ত তোমার স্পর্শ মেশানো স্মৃতির হিংস্র প্রেতাত্মারা হানা দিয়ে যেতো বিষাক্ত সাপের মতো। বিবেকের সামনে আঙ্গুল তুলে চিবিয়ে চিবিয়ে বলতো, “ওরে বোকা তুই এই কাপুরুষের জন্য জীবন বাজি রেখেছিস? হায়েনার তীক্ষ্ণ নখরের ভয় ভুলে গিয়ে তার মান বাঁচাতে একাকী ছুটে চলেছিস এই নিঃশব্দ গহীন বনে? সে তোর কাছে কোনদিন ফিরে আসবে না, সে তার ভোগবাদীতার এতোটুকু বিসর্জন দেবে না।“ আমি সব জেনে বুঝে ধিক্কারগুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। কেননা ভালোবাসা তো প্রতিদানের অন্য নাম, তাই আজো প্রতিদান দিয়ে চলেছি আমার মতো করে। এতো নয় স্বৈরাচারীর মতো প্রিয় মানস-মানসীর তনুতে গড়া সাম্রাজ্য। আমি যে নিঃস্বার্থভাবে তোমায় ভালবেসেছি, মন প্রান উজাড় করে ভালবেসেছি। তাই একটি বারের জন্যও পিছুটান হয়ে পিছু ডাকি নি। 

ক্রমশ............

Monday, June 24, 2013

ভালোবাসার স্বীকৃতি

ভালোবাসার যতোটুকু স্বীকৃতি আছে সবটুকুই দিয়েছি তোমাকে। মিথ্যে বুলি, নাটক, অভিনয় অথবা কারো নিকটস্থ হওয়া, অথবা বন্ধুত্তের আলাপন, সব কিছুই দিয়েছি বিসর্জন শুধুই তোমারি জন্যে। নিজেকে করেছি গঠন তোমারি করে, যতোটুকু চাওয়ার ছিলো বা যতোটুকু পাওয়ার সব করে নিয়েছি পরিপূর্ণ তোমাকে আপন করে। নিজের যতো সপ্ন-সাধ আর ইচ্ছে ছিলো সব তোমারি মাঝে করেছি আবদ্ধ, নিজের জীবনকে চালিত করার চেষ্টা করেছি তোমারি মনের মতন করে। স্বপ্নগুলো গেঁথেছি তোমারি আপন চারিধারে নতুন করে, জীবনের প্রতিটি পদধ্বনি করেছি আবদ্ধ তোমার ইচ্ছার মাঝে। হাসি-কান্না, ঠাট্টা, মান অভিমান সকল কিছুকে সাজিয়েছি তোমারি চারিধারে, নিজের আমিত্বকে দূরে রেখে তোমার আপনকে করেছি আপন, তোমার পরকে করেছি পর। জীবনের প্রতিটি অনুভুতিকে তোমার করে জীবনকে গুছিয়েছি নতুন করে, উচ্ছলতাকে করেছি বদ্ধ। মনের গুন গুন সুরগুলোকে চালিত করেছি তোমার ইচ্ছার ডালে ডালে। আমার সুখগুলোকে করতে চেয়েছি তোমার, তোমার দুঃখে হয়েছি বিমর্ষ। তোমার সফলতাতে করেছি আনন্দ, পরাজয়ে দিয়েছি সান্ত্বনা। নিজের আপনজনের চাওয়াগুলোকে করেছি অবহেলা, তোমার একটু ভালোলাগার কারনে। সারাক্ষণ থেকেছি অন্বেষণে আবদ্ধ তোমার হাসি আর শান্তির জন্যে। সারা মন প্রান দিয়ে ভালোবেসে চেয়েছি তোমার ভালোবাসা সাড়া জীবন। নিজের ইচ্ছেগুলোকে করেছি মাটি, তোমার ইচ্ছের ছলে......। সারাটি জীবন শুধু তোমারি হতে চেয়েছি, তোমারি মনের মতন করে। এর পরেও যদি বলো কিছুই করিনি...... আমি তবে বাঁচবো কেমন করে? তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে, ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।