আমার ইচ্ছে করে একজনকে খুন করতে, ঠাণ্ডা
মাথায় খুন। খুন করার পর মনে হওয়া চলবে না যে- খুনটা না করাই বোধহয় ভালো ছিলো। বরং
কাজটা করার পর মনে যেন শান্তি শান্তি ভাব হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। খুনটা করার
জন্য নিউমার্কেট থেকে কালো বাটওয়ালা তীক্ষ্ণ ফলার একটা ছুরিও কেনা হয়েছে, আপেল
কাটার ছুরি। রাতে ছুরিটা বালিশের নিচেই রেখে শোয়া হয়, ঘুম আসতে চায় না। তখন
বালিশের নিচ থেকে ছুরিটা বের করে দেখি। জানালা দিয়ে আসা চাঁদের আলোয় ছুরিটাকে বেশ
জীবন্ত মনে হয়। আজ রাতে ছুরিটা হাতে নিয়ে আয়নার সামনে এসে দাঁড়িয়েছি। আমার জন্যে
অন্য একটা জগৎ অপেক্ষা করছে। সেই জগৎটা আয়নার স্বচ্ছ কাঁচের ওপাশে। সেই জগতে আমার
একটা অন্য ‘আমি’ বাস করে। অবশ্য সেই জগতে আমার নিজের কোনও ক্ষমতা নেই। আমি দেখলাম
হুবহু আমার মতোন সেই ‘আমি’টা একটা কালো বাটওয়ালা ছুরি হাতে প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে।
আপেল কাটার ছুরি, সেই ছুরির তীক্ষ্ণ ফলাটায় রক্ত লেগে আছে। আমি রক্তের ঘ্রান
পেলাম, ঘ্রাণটা খুবই পরিচিত। আয়নার ভেতর থেকে অপার্থিব সুরে অট্টহাসি আর চিৎকার
ভেসে আসছে-“হা হা হা হা হা!! খুন করেছি! আমি খুন করেছি!! তোর সুগভীর হৃদয়টাকে আমার
ছুরির ফলাটা একেবারে এফোঁড় ওফোঁড় করে দিয়েছে। এই দেখ, তোর চেনা রক্ত! শুকে দেখ,
ঘ্রাণটা কি চিনতে পারছিস না??” আমি কিছুই বলিনা, মুচকি হেসে আয়নাটা পর্দা দিয়ে
আবার ঢেকে দিই। খুন করা হয়ে গেছে। এবার আমি ঘুমাবো, আমার খুব ঘুম পাচ্ছে......। আহঃ শান্তির ঘুম......।
No comments:
Post a Comment