আজ বড্ড বেশী মনে পড়ছে তাকে, বার বার চোখ
ভিজে আসছে কেন জানি। নিয়ন্ত্রন করতে পারছিনা কিছুতেই। সারাদিন খুব অস্বস্তি লাগছে।
শুধুই মনে হচ্ছে সে ভালো আছে তো? সুস্থ আছে তো? সেও কি আমায় মনে করছে তাহলে আজ? না
হলে আমার এমন লাগছে কেন আজ? আজ হটাৎ করে তার সেই ঢাকা যাওয়ার কথাটা মনে পড়ছে বেশী।
সেই যে শেষ বার তাকে বিদায় দিতে গেলাম, অথচ আমি পৌঁছানোর আগেই ট্রেন প্লাটফরম ছেড়ে
চলে গিয়েছিলো। কি যে শুন্যতা আর হাহাকার আমার হৃদয় জুড়ে বয়ে গিয়েছিলো কাউকে বুঝাতে
পারিনি, দেখাতে পারিনি। তাকে ঢাকা যেতে রাজি
করানোর জন্য আমি বলাতে সে বলেছিলো- ‘আমি দূরে গেলে যদি তুমি শান্তি পাও তবে আমি
যাবো”। তখন কি আর জানতাম তার ঐ যাওয়া সত্যিকার অর্থে শেষ যাওয়া হবে। সে ঢাকা থাকা অবস্থায় আমি দেখা করতে গেলে তার মধ্যে অনেক কিছু আমি
লক্ষ্য করি, আমি সব নীরবে হজম করে গেছি। মনে মনে অগনিত দীর্ঘশ্বাস পড়েছে যদিও তাকে
স্পষ্ট করে কিছুই বলিনি। আকার ইঙ্গিতে বলা হলেও তখন তার বোঝার মতো পরিস্থিতি ছিলো
না সঙ্গত কারনেই। তাকে যখন তার আত্মীয়ের বাসার সামনে নামিয়ে দিতে যাই তখন বৃষ্টি
হচ্ছিলো, সে ছটফট করে আমাকে ফোন করলো যদি আমি ভিজে যাই। আর তার বোনদের কাছে জানতে
চাইছিলো আমি সেখানে গিয়ে অপেক্ষা করতে পারবো নাকি। তার বোনরা কি উত্তর দিয়েছিলো
আমি শুনলেও অবাক হয়েছিলাম এই ভেবে যে তারা কিভাবে ভাবলো যে আমি তাদের বাসায় যাবো!!
কোন ধরণের পরিস্থিতিতেই আমি সেখানে উঠতাম না। যাই হোক, আমি হারিয়ে ফেললাম আমার জীবনের
সেরা সম্পদ, সেরা অর্জন। তার ফেরার দিন উম্মাদের মতো ছুটে গিয়েছি তাকে দেখতে। সে
ফিরে আসলো ঠিকই কিন্তু ব্যাপক প্রভাব নিয়ে ফিরলো, যা আমি প্রতিনিয়তই লক্ষ্য করেছি।
ধীরে ধীরে সে আমায় এড়িয়ে চলা শুরু করলো। যার নিদারুণ পরিনতি সম্পর্কে ভাঙ্গন।
ভেঙ্গে গেলো আমার জীবনের প্রতি মোহ, বিষাদ আর বিষণ্ণতা গ্রাস করে বসলো আমায়। আমার
জীবনে আমি আর কারো প্রতি এমন টান বা অনুভুতি অনুভব করিনি যা ছিলো আর এখনো আছে তার
জন্য। তাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে, ভালো থাকুক আমার সেই অনন্য ভালোবাসা।
No comments:
Post a Comment