irregular due to unavoidable circumstances of my own, hope will be back and continue soon.............. have patients for a while.

Tuesday, December 18, 2012

জ্বালাময় যন্ত্রণা


এই বুকের ভিতর প্রাণটা আমার খুব কষ্টে আছে, আমি আর সহ্য করতে পারছি না সেই কষ্ট। সেই কষ্টের সৃষ্টে আমি এই দুনিয়াতেই নরক ভোগ করছি। সেই কষ্ট আমার হাড় মাংসে, মজ্জায়, রক্তের কনায় কনায় মিশে গেছে। অসহ্য হয়ে তাই মৃত্যু কামনা করছি। এখন এই জীবন খুব দুর্বিষহ লাগছে, একটি শ্বাসও স্বস্থির নিতে পারছি না। বোধ করছি বুকটার ভিতর আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে, সেখানে মন-প্রাণ পুড়ছে, জ্বালাময় যন্ত্রণা ভোগ করছে। তুমি একবার এসে আমার গলায় ছুরি চালাও, আমি এই জীবন থেকে মুক্তি পেতে চাই। আমি যেতে চাই অন্য কোন ভিন গ্রহে, এই গ্রহে আমি এতো বৎসরেও একজন মানুষ খুঁজে পাইনি। সবাই মুখোশ পড়া মানুষ, মুখোশ খোলার পর দেখি সবাই স্বার্থপর। তারা নিজের সুখের জন্য আপনজনকে বলি করছে। বিশ্বাসীর মনে বিশ্বাস ঘাতক যে আগুন দেয় সেই আগুনে বিশ্বাসী আমৃত্যু পুড়ে, জ্বলে, আর তা দেখে বিশ্বাসঘাতক উল্লাস করে। এই অকৃতজ্ঞদের দেখে দেখে আমি ক্লান্ত হয়ে আছি, এদের সাথে আমি বাস করছি এক যুগেরও বেশী। এরাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভয়ঙ্কর প্রাণী। এরা নিমক হারামি, এদেরও সঙ্গীরাও তেমন। এরা যারটা খেয়ে পরে জীবন ধারন করে, নিজ সুখে তাদেরই মুখের উপর এরা কালিমা ছাপে। এমনকি তাদের এরা খুনও করে। আবার এরা অজ্ঞানতা বশত দম্ভভরে বিচরন করে সমাজে আর অপরাধ ঢাকার জন্য তারা আপনজনের সাথে রুক্ষ আচরণ করে। এদের করাঘাতে আপনজন প্রতি মুহূর্তে অসহ্য নরক যন্ত্রণা ভোগে। আর নীরবে বিশ্বাসী অশ্রুজলে ভাসে, দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে- ‘মানি, এই দুর্বিষহ জীবন আমারই সৃষ্টি, আমারই ভালোবাসার দান’। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

No comments:

Post a Comment