আমি যখন হারিয়ে যাবো,
শুন্যে যখন আমার অদৃশ্য কথামালা উড়ে বেড়াবে তখনও তুই কেবলই অস্পষ্টতায় হাবুডুবু
খাবি। বৈকালিক অবসাদে ভোঁতা হয়ে যাক আমায় ঘিরে থাকা তোর অনুভুতির ঘোর। আমি যে কেন
ছুটে চলি। বৃষ্টি মগ্ন হয়ে ডুবে থাকি অজস্র নিদ্রাচ্ছন্ন পাখিদের ঠোঁটে, তন্দ্রাহত
আমি তখনো মৃতদের চোখের স্ফুলিঙ্গ দেখিনি। যেদিন সব ফেলে চলে যাবো, এইসব মায়াহীন
অভিমান পিছনে ফেলে তখন আমায় খুঁজে নিস সহস্র প্রাচীন মৃতদের চোখে, তোর বারান্দার
ঘাসফুলের শুষ্ক পাতায়, অভিমানী সন্ধ্যার লাল আকাশের ছায়া-ঘেরা সিগ্যালের ঝাঁকে।
মহাকালের তন্দ্রাচ্ছন্ন হিমায়িত ডানাভাঙা চিলের দুঃখগাঁথা উড়ে এসে বাসা বাঁধে আমার
বাগানের কৃষ্ণচূড়ার ডালে। মেঘ ডাকে, সেই মেঘ, যার ভাঁজে ভাঁজে রেখে এসেছি তোর
চোখের বিষণ্ণ কাজলদানী, সেই মেঘ ফিরে আসে আমার কৃষ্ণচূড়ার ডালে। নিঝুম দ্বীপের
অরন্যরেখা আমায় ডাকে। সেই অরন্যের পাতায় পাতায় লিখে এসেছি আমার দুঃখগাঁথা, দিকভ্রান্ত
জ্যোৎস্না বিলাস। পথভ্রষ্ট কোন শিল্পী হয়ে এঁকে যাবো তোর চোখের বিষণ্ণতা, তোর
অনিচ্ছুক খোলা চুলের ঘ্রান আর তোর হাতে এঁকে দিবো মহাদুর্লভ কালো গোলাপ। মাঝরাতের
বিষাদ গায়ে মেখে বিষণ্ণ গানের লিরিক্স আর কালো গোলাপের নির্যাস মেশিয়ে রেখে যাবো,
তোর দেয়া নৈঃশব্দের বেদনা... রেখে যাবো সুগন্ধি তেজপাতার ঘ্রাণে। তোকেই আমি
বুঝিনা, না হয় তুই বুঝতে দিস না, না হয় আমি হয়তো তোকে ভুল বুঝতে ভালোবাসি। তোকে
ছেড়ে কেমন করে থাকি দূরে, ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।
No comments:
Post a Comment