ঘড়িতে রাত ১২টা, সবার মতো আমারও জম্মদিন শুরু হয়, তার অনেক আগে থেকেই তাকিয়ে আছি মোবাইলের দিকে। অনেক ফোন আসে, মেসেজ আসে... কিন্তু বেরসিক ফোনে কেবল তোমার কণ্ঠস্বরটাই ভাসে না, আসেনা তোমার কোন মেসেজও। আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসলেই বুকটা ধক করে ওঠে- এই বুঝি তুমি সেই চির পরিচিত ‘হ্যালো’ বলবে...। নাহ... তুমি বলো না, বলে অন্য কেউ। কিন্তু আমিতো তোমাকেই খুঁজি, তোমাকেই প্রত্যাশা করি......। তবু তোমার কল আসে না। তুমি এতো নিষ্ঠুর হও কিভাবে? যদিও জানি এসবের কিছুই করবেনা তুমি, কারণ তুমি এখন এক হুকুমদাসী আধুনিকা যার নিজস্বতা বলতে কিছুই নেই। জানো, আগে প্রতিদিন তোমার জন্য অপেক্ষা করতাম, ভাবতাম তুমি এই বুঝি ফোন দিবে, দিতে না। রাগ করতাম, আবার নিজেকে বোঝাতাম, তুমি হয়তো অনেক ব্যস্ত, একটু ফ্রি হলেই ফোন দিবে, আমার সে আশায় গুড়েবালি......। দেখতে দেখতে অপেক্ষার অনেকগুলো মাস, বছর পার করে ফেললাম। না তোমার ব্যস্ততা এখনো কমেনি, আমাকে ফোন করার এখনো সময় হয়নি তোমার। অথচ আগে এমন দিনে আগেই বলে রাখতে ঠিক বারোটায় যেন তোমার ফোন রিসিভ করি, তার আগে যেন কোন ফোন না ধরি। আর একদিন ফোন দিতে দেরি হলে তুমি অস্থির হয়ে যেতে, এখন কি আগের মতো অস্থিরতা আছে তোমার?? আমার জন্য না হোক কারো জন্য?? খুব জানতে ইচ্ছে করে......। তোমাকে দেখে দেখে আমিও ব্যস্ত হয়ে গেছি, এখন আর ততোটা অপেক্ষা করিনা তোমার জন্য। হয়তো রাতে ঘুমানোর আগে অথবা ঘুম থেকে উঠে মরিচা পড়া স্মৃতিগুলোকে খুঁজি......। তোমাকে সবচাইতে বেশী মনে পড়ে, যখন পৃথিবীটাকে কঠিন আর জটিল মনে হয়। একদিন এই কঠিন পৃথিবীতে তোমাকেই শেষ আশ্রয় মেনেছিলাম। কিন্তু সেই তুমি আমার শেষ আশ্রয়টুকু নিয়ে চলে গেলে! তুমি একদিন বলেছিলে “আমাকে ছাড়া একা থাকতে পারবে, আমি যদি চলে যাই?” সেদিন আমি তোমার মুখ চেপে ধরেছিলাম, আর আজ......?? যেটা আমি কল্পনায়ও ভাবিনি সেটাই আজ মেনে নিতে হচ্ছে। তোমাকে ছেড়ে যেখানে এক মুহূর্তঅসম্ভব ছিলো, আজ সেখানে আমি বাকিটা জীবন একাই চলার প্রস্তুতি নিচ্ছি, আশ্চর্য না আদরি?? জানো, তোমার প্রতি মাঝে মাঝে অনেক রাগ হয়, কেন তুমি আমাকে একা চলতে শিখাওনি? এখন যে একা চলতে অনেক কষ্ট হয়......। আমি কাকে বলবো সেকথা? আমারতো তুমি ছাড়া কেউ ছিলো না, সেই তুমি আমাকে ছেড়ে গেলে এমন সময় যেটা আমার জন্য বিনা মেঘে বজ্রপাতের চেয়েও বেশী। অনেক কেঁদেছি, পৃথিবীতে কান্নার কোন দাম নেই, কোন লাভ হয়নি। আমি জানিনা ভালোবাসা কি, আমি এখনো বুঝিনা। তবে মনে হয় তোমাকে ছাড়া আমার অস্তিত্ব সত্যি নয়, কোন যে মোহ তুমি আমি বুঝিনা...। তোমাকে নিয়ে যখন যা করতে ইচ্ছে করেছে তাই করেছি, যা বলতে ইচ্ছে করেছে তাই বলেছি, যা চাইতে ইচ্ছে করেছে তাই চেয়েছি। কাউকে অনুকরণ বা অনুসরন করে কিছু করিনি কোনসময়। অথচ পৃথিবীতে যার কাছ থেকে সবচাইতে বেশী কষ্ট পেয়েছি তাকেই ভালোবাসি সবচাইতে বেশী, আর সেই তুমিই আছো আমার অস্তিত্তে আজো। আমি আধুনিক, স্মার্ট হতে চাইনা, পান থেকে চুন খসলেই আমি ইমোশন পরিবর্তন করতে পারবো না। আমি সেকেলে, আমি নিরামিষ সব মানি। অফিস, সাইট বাসা সব মিলিয়ে অনেক ব্যস্ত আমি, তারপরেও সবসময় তোমার কথা ভাবি, তোমাকে খুঁজি। আজ আমার জম্মদিন, দুজনেরই আনন্দের যে দিনটার জন্য অপেক্ষা করতে তুমি, যে দিনে আমাকে খুশী রাখার জন্য তুমি কি না করতে, আজ সেই দিনে আমি মোবাইল নিয়ে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। সবার আগে না করো, সবার শেষেও কি ফোন করবে না? আমাকে উইশ করবে না? বলবে না ‘ভালোবাসি’??? তাহলে কেন অভ্যস্ত করিয়েছিলে? কেন এতো আপন করেছিলে? তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।
irregular due to unavoidable circumstances of my own, hope will be back and continue soon.............. have patients for a while.
Friday, August 16, 2013
আমার জম্মদিন
ঘড়িতে রাত ১২টা, সবার মতো আমারও জম্মদিন শুরু হয়, তার অনেক আগে থেকেই তাকিয়ে আছি মোবাইলের দিকে। অনেক ফোন আসে, মেসেজ আসে... কিন্তু বেরসিক ফোনে কেবল তোমার কণ্ঠস্বরটাই ভাসে না, আসেনা তোমার কোন মেসেজও। আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসলেই বুকটা ধক করে ওঠে- এই বুঝি তুমি সেই চির পরিচিত ‘হ্যালো’ বলবে...। নাহ... তুমি বলো না, বলে অন্য কেউ। কিন্তু আমিতো তোমাকেই খুঁজি, তোমাকেই প্রত্যাশা করি......। তবু তোমার কল আসে না। তুমি এতো নিষ্ঠুর হও কিভাবে? যদিও জানি এসবের কিছুই করবেনা তুমি, কারণ তুমি এখন এক হুকুমদাসী আধুনিকা যার নিজস্বতা বলতে কিছুই নেই। জানো, আগে প্রতিদিন তোমার জন্য অপেক্ষা করতাম, ভাবতাম তুমি এই বুঝি ফোন দিবে, দিতে না। রাগ করতাম, আবার নিজেকে বোঝাতাম, তুমি হয়তো অনেক ব্যস্ত, একটু ফ্রি হলেই ফোন দিবে, আমার সে আশায় গুড়েবালি......। দেখতে দেখতে অপেক্ষার অনেকগুলো মাস, বছর পার করে ফেললাম। না তোমার ব্যস্ততা এখনো কমেনি, আমাকে ফোন করার এখনো সময় হয়নি তোমার। অথচ আগে এমন দিনে আগেই বলে রাখতে ঠিক বারোটায় যেন তোমার ফোন রিসিভ করি, তার আগে যেন কোন ফোন না ধরি। আর একদিন ফোন দিতে দেরি হলে তুমি অস্থির হয়ে যেতে, এখন কি আগের মতো অস্থিরতা আছে তোমার?? আমার জন্য না হোক কারো জন্য?? খুব জানতে ইচ্ছে করে......। তোমাকে দেখে দেখে আমিও ব্যস্ত হয়ে গেছি, এখন আর ততোটা অপেক্ষা করিনা তোমার জন্য। হয়তো রাতে ঘুমানোর আগে অথবা ঘুম থেকে উঠে মরিচা পড়া স্মৃতিগুলোকে খুঁজি......। তোমাকে সবচাইতে বেশী মনে পড়ে, যখন পৃথিবীটাকে কঠিন আর জটিল মনে হয়। একদিন এই কঠিন পৃথিবীতে তোমাকেই শেষ আশ্রয় মেনেছিলাম। কিন্তু সেই তুমি আমার শেষ আশ্রয়টুকু নিয়ে চলে গেলে! তুমি একদিন বলেছিলে “আমাকে ছাড়া একা থাকতে পারবে, আমি যদি চলে যাই?” সেদিন আমি তোমার মুখ চেপে ধরেছিলাম, আর আজ......?? যেটা আমি কল্পনায়ও ভাবিনি সেটাই আজ মেনে নিতে হচ্ছে। তোমাকে ছেড়ে যেখানে এক মুহূর্তঅসম্ভব ছিলো, আজ সেখানে আমি বাকিটা জীবন একাই চলার প্রস্তুতি নিচ্ছি, আশ্চর্য না আদরি?? জানো, তোমার প্রতি মাঝে মাঝে অনেক রাগ হয়, কেন তুমি আমাকে একা চলতে শিখাওনি? এখন যে একা চলতে অনেক কষ্ট হয়......। আমি কাকে বলবো সেকথা? আমারতো তুমি ছাড়া কেউ ছিলো না, সেই তুমি আমাকে ছেড়ে গেলে এমন সময় যেটা আমার জন্য বিনা মেঘে বজ্রপাতের চেয়েও বেশী। অনেক কেঁদেছি, পৃথিবীতে কান্নার কোন দাম নেই, কোন লাভ হয়নি। আমি জানিনা ভালোবাসা কি, আমি এখনো বুঝিনা। তবে মনে হয় তোমাকে ছাড়া আমার অস্তিত্ব সত্যি নয়, কোন যে মোহ তুমি আমি বুঝিনা...। তোমাকে নিয়ে যখন যা করতে ইচ্ছে করেছে তাই করেছি, যা বলতে ইচ্ছে করেছে তাই বলেছি, যা চাইতে ইচ্ছে করেছে তাই চেয়েছি। কাউকে অনুকরণ বা অনুসরন করে কিছু করিনি কোনসময়। অথচ পৃথিবীতে যার কাছ থেকে সবচাইতে বেশী কষ্ট পেয়েছি তাকেই ভালোবাসি সবচাইতে বেশী, আর সেই তুমিই আছো আমার অস্তিত্তে আজো। আমি আধুনিক, স্মার্ট হতে চাইনা, পান থেকে চুন খসলেই আমি ইমোশন পরিবর্তন করতে পারবো না। আমি সেকেলে, আমি নিরামিষ সব মানি। অফিস, সাইট বাসা সব মিলিয়ে অনেক ব্যস্ত আমি, তারপরেও সবসময় তোমার কথা ভাবি, তোমাকে খুঁজি। আজ আমার জম্মদিন, দুজনেরই আনন্দের যে দিনটার জন্য অপেক্ষা করতে তুমি, যে দিনে আমাকে খুশী রাখার জন্য তুমি কি না করতে, আজ সেই দিনে আমি মোবাইল নিয়ে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। সবার আগে না করো, সবার শেষেও কি ফোন করবে না? আমাকে উইশ করবে না? বলবে না ‘ভালোবাসি’??? তাহলে কেন অভ্যস্ত করিয়েছিলে? কেন এতো আপন করেছিলে? তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment