জীবনটা বড়ই অদ্ভুত। মাঝে মাঝে এমন সব মানুষের সাথে পরিচয় হওয়া লাগে যাকে
আগে থেকেই চেনা। কিন্তু সেই পরিচিতিটা হয় সম্পূর্ণ নতুনভাবে। মানুষ জম্মের পর
অত্যন্ত পবিত্র থাকে। কিন্তু তার বয়স যতো বাড়তে থাকে ততোই তার এই নিষ্পাপ মনটা
পাপী হতে শুরু করে। পারিপার্শ্বিক আবহাওয়া আবার কখনো জীনগত কারনে অথবা ক্রোধের
কারনে মানুষ কতই না পরিবর্তন হয়ে যায়। কিন্তু জম্মের সময় সবাইতো এক রকমই থাকে। কেউ
তো তখন জানে না তার ভবিষ্যতে কি হবে, কি হবে তার আসল পরিচয়। সবাই এখন মুখোশধারী।
মুখোশ পড়ে নিজের আসল রূপটা লুকিয়ে রাখে। কিসের জন্য এমন করে?? মানুষের কাছে ভালো
থাকার জন্য, নাকি নিজের স্বার্থের জন্য? কি লাভ মুখোশ পড়ে থাকার? না হয় মানুষ আসল
পরিচয়টা জেনেই ফেললো, তাতে কি খুব বড়ো ক্ষতি হয়ে যাবে? হয়তো বা হবে, মানুষ মানুষের
প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে। কিন্তু যখন না চাওয়া সত্ত্বেও মানুষের আসল রূপ বাইরে
এসে দাঁড়ায়, তখন কষ্ট পায় সবচেয়ে কাছের মানুষটাই। যে কিনা তার নিজের চাইতেও বেশী
বিশ্বাস করে তাকে। কেন এই লুকোচুরি? লুকোচুরির মাঝেই তো অবিশ্বাসের জম্ম। তবে কেন
এই অহংকার, হিংসা? এর মাঝেই তো ধ্বংসের সৃষ্টি। কেন এই নিষ্ঠুরতা? এর মাঝেই তো
নৃশংস নর পশুর জম্ম। জীবনটা দুই দিনের তাই বলে এমন মুখোশ পড়ে নিজের আত্মা, বিবেকের
সাথে প্রতারনা করে উপভোগ করার মধ্যে প্রকৃত সুখ কতো খানি? তার চাইতে আসল পরিচয়
প্রকাশ করে যদি সারাজীবন কষ্টের মধ্যে দিয়েও অতিবাহিত হয় তার মাঝে আত্মমর্যাদা আর
গর্ব অনুভুত স্পষ্ট হয়ে উঠে। এমন একটি জীবনের প্রত্যাশী......। ভালো থাকুক আমার
ভালোবাসা।
No comments:
Post a Comment