irregular due to unavoidable circumstances of my own, hope will be back and continue soon.............. have patients for a while.

Wednesday, July 31, 2013

ছোট ছোট কথায়

তুমি জানো না তোমার ছোট ছোট কথায়
কতবার যে তোমায় নতুন করে ভালবেসেছি।
ভালোবাসো, কথাটি শোনার জন্য কতোটা রাত অপেক্ষা করেছি
কানকে সজাগ রেখেছি ভালোবাসো শোনার জন্য
তুমি বোঝোনি তোমার অবহেলাতেও আমি ভালোবাসা খুঁজেছি
দিনের পর দিন অপেক্ষা করেছি তুমি অবহেলা বুঝবে বলে
শুনেছি বেশী সুখের আশায় আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর
তুমি নাকি খুবই কষ্টে আছো।
আমি কিন্তু কষ্টে নেই, শুধু তোমার মুখের ছায়া
কেপে উঠলে বুক জুড়ে রাতটা জেগেই কাটাই
বেশ লাগে, সম্ভবত বিশটির মতো সিগারেট বেশী খাই।
আমার নিঃসঙ্গতায় তুমি আমার একমাত্র সাথী ছিলে,
আমার সাড়া পৃথিবী জুড়ে শুধু তুমি ছিলে
এখনো আছো এবং থাকবে শেষ নিঃশ্বাস অবধি।
তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে,
ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

একজনকে খুন

আমার ইচ্ছে করে একজনকে খুন করতে, ঠাণ্ডা মাথায় খুন। খুন করার পর মনে হওয়া চলবে না যে- খুনটা না করাই বোধহয় ভালো ছিলো। বরং কাজটা করার পর মনে যেন শান্তি শান্তি ভাব হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। খুনটা করার জন্য নিউমার্কেট থেকে কালো বাটওয়ালা তীক্ষ্ণ ফলার একটা ছুরিও কেনা হয়েছে, আপেল কাটার ছুরি। রাতে ছুরিটা বালিশের নিচেই রেখে শোয়া হয়, ঘুম আসতে চায় না। তখন বালিশের নিচ থেকে ছুরিটা বের করে দেখি। জানালা দিয়ে আসা চাঁদের আলোয় ছুরিটাকে বেশ জীবন্ত মনে হয়। আজ রাতে ছুরিটা হাতে নিয়ে আয়নার সামনে এসে দাঁড়িয়েছি। আমার জন্যে অন্য একটা জগৎ অপেক্ষা করছে। সেই জগৎটা আয়নার স্বচ্ছ কাঁচের ওপাশে। সেই জগতে আমার একটা অন্য ‘আমি’ বাস করে। অবশ্য সেই জগতে আমার নিজের কোনও ক্ষমতা নেই। আমি দেখলাম হুবহু আমার মতোন সেই ‘আমি’টা একটা কালো বাটওয়ালা ছুরি হাতে প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে। আপেল কাটার ছুরি, সেই ছুরির তীক্ষ্ণ ফলাটায় রক্ত লেগে আছে। আমি রক্তের ঘ্রান পেলাম, ঘ্রাণটা খুবই পরিচিত। আয়নার ভেতর থেকে অপার্থিব সুরে অট্টহাসি আর চিৎকার ভেসে আসছে-“হা হা হা হা হা!! খুন করেছি! আমি খুন করেছি!! তোর সুগভীর হৃদয়টাকে আমার ছুরির ফলাটা একেবারে এফোঁড় ওফোঁড় করে দিয়েছে। এই দেখ, তোর চেনা রক্ত! শুকে দেখ, ঘ্রাণটা কি চিনতে পারছিস না??” আমি কিছুই বলিনা, মুচকি হেসে আয়নাটা পর্দা দিয়ে আবার ঢেকে দিই। খুন করা হয়ে গেছে। এবার আমি ঘুমাবো, আমার খুব ঘুম পাচ্ছে......। আহঃ শান্তির ঘুম......।

Tuesday, July 30, 2013

তোমার হাতটি

তোমার হাতটি ধরে দীর্ঘ পথ চলতে চেয়েছি,
তুমি হাত ছাড়িয়ে নিলে।
তোমার কোলে মাথা রেখে কাঁদতে চেয়েছি,
দৃঢ় হাতে সরিয়ে দিলে।
তোমার চোখে চোখ চেয়ে আশ্বাস পেতে চেয়েছি,
তুমি চোখে ফিরিয়ে নিলে।
তোমার মনে বাস করতে চেয়েছি আজীবন
তুমি রিপ্লেস করে নিলে।
তোমাকেই দিতে চেয়েছি আমার সব ভালোবাসা
তুমি সেই ভালোবাসা বিকিয়ে দিলে।
তোমার উপর রাখতে চেয়েছি সবটুকু বিশ্বাস,
তুমি ভেঙ্গে দিলে নগ্নতায়।
জানিনা তোমার পদধ্বনি আজ
কোন পথে বেজে চলে।
ওহ বোধদয় তুমি তো সে আসাই আসলে,
তবে বড্ড দেরি করে এলে।
গন্ধহীন, রূপহীন কাঁটা ভরা
শুভ্র এক ফুল করতলে।
ভালো সবাইকে বাসা যায় না আর কাউকে ভালবাসলে
তার কাছ থেকে দূরে সরে থাকা যায়না......।
দূরে গেলেও মনের দিক থেকে সবসময়
কাছাকাছি থেকে যেতে হয়।
তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে,
ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

Saturday, July 27, 2013

নৈঃশব্দের বেদনা


আমি যখন হারিয়ে যাবো, শুন্যে যখন আমার অদৃশ্য কথামালা উড়ে বেড়াবে তখনও তুই কেবলই অস্পষ্টতায় হাবুডুবু খাবি। বৈকালিক অবসাদে ভোঁতা হয়ে যাক আমায় ঘিরে থাকা তোর অনুভুতির ঘোর। আমি যে কেন ছুটে চলি। বৃষ্টি মগ্ন হয়ে ডুবে থাকি অজস্র নিদ্রাচ্ছন্ন পাখিদের ঠোঁটে, তন্দ্রাহত আমি তখনো মৃতদের চোখের স্ফুলিঙ্গ দেখিনি। যেদিন সব ফেলে চলে যাবো, এইসব মায়াহীন অভিমান পিছনে ফেলে তখন আমায় খুঁজে নিস সহস্র প্রাচীন মৃতদের চোখে, তোর বারান্দার ঘাসফুলের শুষ্ক পাতায়, অভিমানী সন্ধ্যার লাল আকাশের ছায়া-ঘেরা সিগ্যালের ঝাঁকে। মহাকালের তন্দ্রাচ্ছন্ন হিমায়িত ডানাভাঙা চিলের দুঃখগাঁথা উড়ে এসে বাসা বাঁধে আমার বাগানের কৃষ্ণচূড়ার ডালে। মেঘ ডাকে, সেই মেঘ, যার ভাঁজে ভাঁজে রেখে এসেছি তোর চোখের বিষণ্ণ কাজলদানী, সেই মেঘ ফিরে আসে আমার কৃষ্ণচূড়ার ডালে। নিঝুম দ্বীপের অরন্যরেখা আমায় ডাকে। সেই অরন্যের পাতায় পাতায় লিখে এসেছি আমার দুঃখগাঁথা, দিকভ্রান্ত জ্যোৎস্না বিলাস। পথভ্রষ্ট কোন শিল্পী হয়ে এঁকে যাবো তোর চোখের বিষণ্ণতা, তোর অনিচ্ছুক খোলা চুলের ঘ্রান আর তোর হাতে এঁকে দিবো মহাদুর্লভ কালো গোলাপ। মাঝরাতের বিষাদ গায়ে মেখে বিষণ্ণ গানের লিরিক্স আর কালো গোলাপের নির্যাস মেশিয়ে রেখে যাবো, তোর দেয়া নৈঃশব্দের বেদনা... রেখে যাবো সুগন্ধি তেজপাতার ঘ্রাণে। তোকেই আমি বুঝিনা, না হয় তুই বুঝতে দিস না, না হয় আমি হয়তো তোকে ভুল বুঝতে ভালোবাসি। তোকে ছেড়ে কেমন করে থাকি দূরে, ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

বিধাতা বিধিলিপিতে

বিধাতা বিধিলিপিতে যে গদ্য রচনা করেছে
সেখানে তো ছন্দের কোন স্থান নেই।
নতুনের আহবানে ষড়যন্ত্রের সাথে আলিঙ্গন করে
আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দিলে খুব সহজেই।
কেটে দিলে আমার সব ডালপালা
পরিনত হলাম ডালপালা হীন এক মহীরুহে।
হয়তো তোমার পার্স আরও একটু পৃথুল হবে
চকচকে টাকার আলিঙ্গনে।
হয়তো তোমার ব্যক্তিগত সংগ্রহশালা
আরও একটু আহংকারিক হবে
ঐ পুরুষ সঙ্গীর দেওয়া কোন মুল্যবান উপহারে।
কিন্তু রাতের শেষে যখন চোখের কোণে
জমবে আরও একটু বিষণ্ণতার কালি
যখন কিছুতেই ঘুম ধরা দিতে চাইবে না
তখন কি ক্ষণ কালের জন্য তোমার মনে হবে না
বৃথাই এই ব্যর্থ জীবন যাপন.........
ঐশ্বর্য আছে অফুরন্ত কিন্তু তৃপ্তি নেই।
এমনভাবে এক মানুষের বেঁচে থাকার
প্রতিটি প্রহরকে রক্তাক্ত করে বিনিময়ে কি পেলে তুমি?
সীমাহীন শুন্যতা ছাড়া, ভেবে দেখো নিভৃতে।
তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে
ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

Friday, July 26, 2013

এমন এক অনুভুতি

তুমি আমাকে এমন এক অনুভুতি শিখিয়েছো
যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
ভালোবাসা......
এমন একটা অনুভুতি যা মুখে বলা সম্ভব নয়
কিন্তু এটা আমার জীবনে পাওয়া সবচেয়ে সেরা অনুভুতি
আবার এটা আমার মৃত্যুরও কারণ.........
কেনো না......
তোমার ভালোবাসা ছাড়া বেঁচে থাকা
আমাকে করে তুলেছে আত্মভোলা আর একাকী
আর একাকী জীবন যাপন আমাকে করে তুলেছে হিংস্র
তারপরেও কেনো আমি তোমাকে ভুলতে পারি না???
এই ভুলতে না পারাটাই আমাকে করে দিচ্ছে নিঃস্ব
এনে দিচ্ছে কঠিন বিষণ্ণতা আর অসহায়ত্ব।
আমার আমিত্তের সাথে চলছে যুদ্ধ অবিরত
হয়তো একদিন আমিত্তের কাছে হেরে যাবো
আর সেদিনই হবে আমার জীবনের শেষ দিন।
তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে,
ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

Wednesday, July 24, 2013

ব্রেক-আপের পর

ব্রেক-আপের পর একটি মেয়ের হাত ধরার মতো হাজার জনকে পাশে পাওয়া যায়.., কিন্তু ছেলেটির পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষের বড়োই অভাব হয় অবাক হলেও সত্যি। (ব্রেক-আপের কারণ যদি সম্পূর্ণ মেয়ের দোষে হয়ে থাকে তবুও) যারা মাইক বাজিয়ে ছরিয়ে বেড়ায় তারা তাও কিছু পায়, অনেকে হয়তো একটু বেশিও পায়। কিন্তু যে সব ছেলেরা কোন কিছুই কারো সাথে শেয়ার করেনা তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও প্রবল। কারণ তারা চায় না তাদের কাছের মানুষটি(তখন না হোক এক সময়তো ছিলো, এখনো আছে কল্পনার রাজ্যে) কারো কাছে ছোট হোক। দেখলে তাদের বেশ ভালো আছে বলেই মনে হয়, কিন্তু ভিতরের খবর কেউ জানেনা। কেমন সর্বনাশা ভাঙ্গন অবিরাম চলতে থাকে তাদের বুকে কেউ টের পায়না। তাদের ভিতরের খবর জানতে চাওয়ার মানুষ কই?? অনেক সময় এমনও দেখা যায় ছেলেটির ফ্রেন্ডরাই মেয়েটির পাশে এগিয়ে যায়। কিন্তু ছেলেটির?? আরে ও তো ভালোই আছে দেখতেছো না...। হ্যাঁ আমরা দেখি , শুনি কিন্তু বুঝতে চাই না......। হতাশার রঙ্গমঞ্চ তাই ছেলেটির সামনে খুব সুন্দর ভাবেই দৃশ্যপটে উম্মুক্ত হয়...। হ্যাঁ তখনও আমরা দেখি না, “ছেলেটিতো ভালোই আছে, ওর তো কোন অভাব নেই”। ...... না আর বাড়াবো না। মেয়েটি তার নিজস্ব গণ্ডিতে সবার কাছ থেকে আরও বেশী কিছু পেয়ে থাকে, বিপরীতে ছেলেটি পুনঃ পুনঃ নিঃসঙ্গ আর শুন্য হতে থাকে। তবু সে ভাবে, তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে, ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

Tuesday, July 23, 2013

পুরনো সুখগুলো

পুরনো সুখগুলো খুঁজে পাই
এখনো তোমার কথা ভেবে।
স্মৃতির পাটাতে রেখেছি তাই
আজো তোমার ছবি এঁকে।
দুঃসহ জীবনের গল্পগুলো
ঢেকে রেখেছি অশ্রুর ডোরে।
হাসির আড়ালে কতো ব্যাথার
অশ্রু ঝরে হৃদয় থেকে।
তবুও প্রান্তর থেকে প্রান্তরে
এখনো খুঁজে বেড়াই তোমাকে।
নিঃস্বার্থ এই ভালোবাসার জালে
বন্দী ছিলাম আমি তোমার কাছে।
পুতুলের মতো খেলেছো আমায় নিয়ে
স্বার্থের অভিলাষে আবার
ছুঁড়ে ফেলে দিলে ডাস্টবিনে।
যেখানে ছিলাম আমি আগে
সেখানেই রয়ে গেলাম বাধ্য হয়ে।
যেখানে যে অবস্থায় রেখে গিয়েছিলে
আজো আছি সেখানেই আমি
তোমারই ভালোবাসা বুকে নিয়ে।
তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে,
ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

Monday, July 22, 2013

কালো মেঘের ঝাপটা

কালো মেঘের কিছু ঝাপটা বাতাস এসে
মনের মাঝে লাগার সাথে সাথে মনে ভিতরের গোলাপি দুঃখগুলো
হুঙ্কার দিয়ে জানায়, “আমরা জমাট বেঁধে আছি”।
রুপালি কাগজের উপর দুঃখের আহাজারি,
আগুনের নৃত্যের তালে তালে কিছু কুৎসিত ধোঁয়ার মাঝে
আকাশের মেঘের গর্জন শোনা আর
শীতল বৃষ্টির ফোঁটা ছোঁয়া আর হলো না আমার।
বৃষ্টি শেষে শরীর আর শীতল হলো না,
উতপ্ত রক্তবিন্দুর নৃত্য তখন দেখে কে!
শুরু হয়ে গেলো দাপাদাপি।
মাথার ভিতরের তারগুলো ঠাশ ঠাশ করে ছিঁড়তে থাকে।
মনকে কোনভাবেই নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না।
বার বার মনে হতে থাকে,
তুমি চাইলেই আমার জীবনে বৃষ্টির শীতলতার অনুভূতিটা রাখতে পারতে।
কিভাবে পারলে তুমি আমার হাতের রেখার
পথ ছেড়ে অন্য পথের যাত্রী হতে!!
জানি, তুমি বিশ্বাস করবে না
আমার হাতের রেখায় তোমার পথ আঁকা ছিলো,
তোমার বিশ্বাস আমার পাঁজরের মাংসে তোমাকে সৃষ্টিকর্তা বানায়নি।
তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে,
ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

কারো অস্তিত্ব নেই

‘আমার মন’ যা পূর্ণ শুধু অন্ধকারে
এখানে শুধুই আমি, আমি ছাড়া কারো অস্তিত্ব নেই,
মাঝে মাঝে কেউ এসে মনের জানালায় উঁকি দেয়,
তখন কিছু আলো এসে পড়ে মনের মেঝেতে,
কেউ হাসে বা কেউ উপহাস করে।
ভুলেও সদর দরজা দিয়ে প্রবেশের সাহস পায় না
আমিও তাদের ডাকি না সেইভাবে।
যখন তাদের মন ভরে যায়,
ছেড়ে চলে যায় জানালাটিকে,
তারপর আবার নেমে আসে গহীন অন্ধকার
এভাবেই হয়তো আমার জীবন চলবে......
জীবনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আমি পারিনা
আমার কেন জানি শুধু মনে হয়
জীবনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চলতে
নিজেই যখন তাল হারিয়ে ফেলে
তখন জীবনের খাতায় শুন্যতা ছাড়া কিছুই থাকে না।
কিন্তু আমার জীবন খাতা শুন্য নয় মোটেও
তোমার অজস্র স্মৃতি আঁকা আছে সেই পাতাগুলো ভরে।
তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে,
ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Sunday, July 21, 2013

যতোই তোমাকে খুঁজি

আমি যতোই তোমাকে খুঁজি
দুঃখ ততোই আমাকে খুঁজে।
এই খোঁজা খুঁজির মাঝে একটা বৃত্ত তৈরি হয়েছে।
আমরা তিনজন একটা সার্কেলে ঘুরছি......
আমি যদি এই বৃত্ত থেকে সরে যাই,
তাহলে দুঃখ আমায় না পেয়ে তোমাকে ছুঁয়ে ফেলবে
যা আমি কখনোই চাই না।
এর হাজারটা কারণ থাকলেও
সব থেকে বড়ো কারণ আমি তোমাকে ভালোবাসি।
আমি তোমাকে ছাড়া জীবনে এমনি ভাবে
বৃত্তের মধ্যে থেকে তোমাকে খুঁজে যাবো,
যাতে দুঃখ তোমাকে আমার মতো আঘাত করতে না পারে......
আমি জানি এই আঘাত কতোটা কষ্টের, কতোটা বেদনার......
যা তুমি কখনো সইতে পারবে না......
তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে,
ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

Thursday, July 18, 2013

অনেক ইচ্ছা করছে

আজ কেন জানি অনেক ইচ্ছা করছে তোমাকে দেখতে,
জানি না তুমি কেমন আছো, হবে হয়তো ভালোই।
কেন জানি সব স্মৃতিগুলো চোখের সামনে ভাসছে, কি করি বলো,
আমি তো চাইনা ঐ স্মৃতিগুলোকে মনে করতে, তবুও পারি না,
আসলে আমাদের মনটা খুব অদ্ভুত, যা মনে রাখতে চাইনা
সেটাই যেন মনের দেয়ালে লেখা হয়ে যায়।
ইচ্ছা ছিলো না তবুও অনেকক্ষণ তোমার ছবিগুলোর দিকে
তাকিয়ে ছিলাম আমি অপলক আজ,
কিছু নোনা পানি জমেছিলো চোখের কোণে।
তবে সত্যি কথা কি জানো.........
আমি আজো তোমার চলে যাওয়াটা কে মেনে নিতে পারিনি।
জানিনা কোনদিন মানতে পারবো কিনা
তবে একটা কথা বলতে পারি
আমি আমার জীবনটাকে অনেক বদলে ফেলেছি
সেই আগের আমি আর নেই,
শুধু পারবোনা এই ভাঙ্গা মন আবার জোড়া লাগাতে,
শুধু পারবোনা আমি মন থেকে
কাউকে বলতে ভালোবাসি তোমায়।
যদিও কোন কিছু হারানোর ভয় এখন আর নেই আমার মাঝে,
কিন্তু আপন করে কাউকে কাছে পাওয়ার ইচ্ছেটাও
আমার মাঝে আর নেই বিন্দুমাত্র,
একাকী আমিকে ভালোবেসে বেঁচে থাকতে চাই এখন।
আমি যে অন্য কারো হতে পারিনা আর,
তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে,
ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

নষ্ট হতে কষ্ট লাগে

নষ্ট হতে কষ্ট লাগে, ভীষণ কষ্ট লাগে,
তবু নষ্ট হতে ইচ্ছে জাগে কষ্টগুলো নিয়ে,
অবহেলায় অনাদরে বৃক্ষ যেমন নষ্ট হতে থাকে।
নষ্ট হওয়ার উপায় আছে জানা,
নষ্ট হওয়ার পথও আছে চেনা,
তবু হাস্নাহেনায় হাসি খুঁজি নষ্ট হওয়ার আগে,
পবিত্রতায় কষ্টরা সব ভাগুক আগে ভাগে।
নষ্ট হতে কষ্ট লাগে, ভীষণ কষ্ট লাগে,
ফুলের কথা ভেবে ভেবে কষ্ট লাগে,
নদীর কথা ভেবে ভেবে কষ্ট লাগে,
নীল পরীদের ডানামেলা, শুভ্র আকাশ ভেবে ভেবে কষ্ট লাগে,
নষ্ট হলে এক জীবনে আর হবে না দেখা,
ভেবে ভেবে কষ্ট লাগে ভীষণ।
পাহাড়ের ডাক, সমুদ্রের সুর কানে বাজে,
তোমার কথা ভেবে ভেবে কষ্ট লাগে,
তোমার চোখের মনি, হাত দুখানি,
মায়াবী চেহারার কথা ভেবে ভেবে কষ্ট লাগে,
নষ্ট হলে এক জীবনে আর হবে না দেখা,
ভেবে ভেবে কাস্ত লাগে, ভীষণ কষ্ট লাগে।
যদি কখন ফিরে আসো ভুল ভেঙ্গে
নষ্ট হলে আমায় পাবে না ভেবে ভেবে কষ্ট লাগে।
তবু নষ্ট হতে ভীষণ ইচ্ছে জাগে কষ্টগুলো নিয়ে,
অবহেলায় অনাদরে বৃক্ষ যেমন নষ্ট হতে থাকে।
ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

Wednesday, July 17, 2013

উড়াল দেওয়া


রাতের কালো অন্ধকার গুলো কেন জানি বার বার কানে চুমো খেয়ে তোমার কথাই বলে যায়। জান??? আমার বুকটা তোমার মাথা ছাড়া একদম ঘুমাতে চায়না। আমার হাতটা তোমার চুলে না দিয়ে একদম ঘুমাতে রাজী হয় না। তাই হাত এখন নিকোটিনের শলা ধরতে অভ্যস্থ হয়ে গেছে। কিন্তু আমি কোথায় পাবো তোমায়?? তুমি তো তোমার ঘোর থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে আমায় বের করে দিলে। কতবার আবার আসতে চাইলাম, প্রতিবারই একটা করে ছুরি মেরে রক্তাক্ত দূরে সরিয়ে দিলে। সব কিছু কেড়ে নিয়ে রাস্তায় ছেড়ে দিলে আমাকে। আমি এখন আমার না বুঝা হাত, বুক আর ঠোঁট গুলোকে কি করি জান? কয়েকটা ট্যাবলেট দিয়ে মাথায় জোরে বারি দিয়ে শান্ত করে দেই। অবশ্য হতচ্ছাড়া গুলো পরদিন রাতে আবার তোমার জন্য কান্না শুরু করে দেয়। কি করি বল তো এই হতচ্ছাড়াগুলোকে নিয়ে। আমি আর পারছি না। একটা কাজ তুমি করতে পারো নাকি দেখো তো আমার হাত, বুক, আর ঠোঁটটা কে তুমি তোমার কাছে নিয়ে যাও তো। আমি আর সামলাতে পারছি না তোমার এই জিনিসগুলোকে। একদম হাঁপিয়ে দিচ্ছে আমাকে। এতো বেশী যন্ত্রণা আমার কিন্তু আর আকাশে উড়াল দেওয়া ছাড়া কোন পথ থাকবে না। তোমাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

Tuesday, July 16, 2013

হৃদয়পুর জংশন


রেলগাড়ি আসবে অনেক দিন পর হৃদয়পুর জংশনে
সেই যে কবে এসেছিলো, তা কি আর মনে আছে?
সেই রেলগাড়িতে হুইসেল ছিলো, পতাকা ছিলো, ছিল সিগন্যাল
ছিলো হুশ হুশ করে রেলগাড়ি চলে যাওয়ার সেই বিদায়ি হর্ন।
জংশনে ছিলো গম গম মানুষের ভিড়, আর প্রানের হাসি-গান।
একদিন সেই জংশনে জং ধরলো,
বলা যায় ইচ্ছে করে ধরানো হলো,
কারণ সেই জংশনে ছিলো ঘাপটি মেরে থাকা দুষ্কৃতকারী
ফলশ্রুতিতে রেল লাইন ভেঙ্গে হলো একাকার,
তারপর রেলগাড়ি আসা বন্ধ হলো একসময়,
প্রাণগুলো হারিয়ে গেলো এক এক করে,
হৃদয়পুর জংশন থেকে ঝাপসা হলো যৌবন আর তার তাপ।
হুইসেল, পতাকা, সিগন্যাল- সব ভুলে বসলো কার কি কাজ।
ভালোবাসা হীন হৃদয়পুর- অলি গলি গেলো সব শুকিয়ে।
রেলগাড়ি আসবে, রেলগাড়ি আসবে............
হুইসেল বাজবে, পতাকা উড়বে............
কিন্তু চলে যাওয়া রেলগাড়ি কি ফিরবে?
রেললাইনের জোড়া কি লাগবে,
ভালোবাসা কি ফিরবে? হৃদয়পুর জংশন।
ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

মোহ আর মোহিত

আমি অনেক সহজ ব্যাপার বুঝতেই অনেক দেরী করে ফেলি। ‘মোহ’ বলতে কি বোঝায় আগে বুঝতাম না, এর সংজ্ঞা কি তাও অজানা ছিল আমার। তার মুখে যেদিন শুনি সে আমার প্রতি এতোটাই ‘মোহিত’ হয়ে পড়েছিলো যে কিছু ভাবার অবকাশ মেলেনি। অথচ পরিচয়ের পর থেকে খুব দীর্ঘ একটা সময় সে পেয়েছিলো ভাবার, মোহ কোনটি, কোনটি নয়। আমি তাকে তো কোন ধরণের দুর্বলতার সুযোগ বা ব্ল্যাকমেইল প্রয়োগের মাধ্যমে সম্পর্কে জড়িত করিনি। তবু ব্রেক-আপের সময় তার মুখ থেকে এই কথাটা শুনে যথেষ্ট আঘাত পেলেও তাকে বুঝতে দেইনি। যাই হোক পরে বুঝেছি ‘মোহ’ ব্যাপারটা এমনই যে একজন মানুষের কাছে একজন দোষী মানুষকে নির্দোষ করে ফেলে, একজন অসুন্দর মানুষকে সুন্দর করে ফেলে, একজন খুতওয়ালা মানুষকে নিখুঁত করে ফেলে। মোট কথা একটা মানুষের কাছে একটা মানুষের সব খারাপ ব্যাপারগুলো আরও সুন্দর করে তোলে। অনেক ভালোবাসাই মোহময় ভালোবাসা হয়ে থাকে। মোহ কেটে গেলে ভালোবাসা আর থাকে না। মোহ কাটানো খুব সহজ না যদিও, তবু আপন গণ্ডিভুক্ত কিছু মানুষের প্রভাবে সেটা কাটানো মোটেও কঠিন নয়। যখন একটা মানুষ বুঝতে শেখে তার ভালোবাসার মানুষটা তার অনুভূতির সাথে খেলা করছে তখন সেই মোহময় ভালোবাসা ঘৃণায় পরিণত হয়। কিন্তু আমিতো আমার আদরির সাথে কোন খেলা করিনি, ছলনার আশ্রয় নেইনি কোন সময়, তার অনুভুতি গুলোকে সবসময় অগ্রাধিকার আর প্রাধান্য দিয়ে এসেছি সর্বাধিক। তবু আমাকে কেন শুনতে তার মুখ থেকে ‘মোহ’ নিয়ে সেই কথাগুলো। আমাকে সে ঘৃণা করে করুক আমি করতে পারবো না কোনদিন, তাকে যে ভালোবেসে যেতেই হবে আমার প্রতিজ্ঞা রক্ষার্থে। তার অবস্থান এখনো আমার বুকে, পিঠে নয়। তাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Sunday, July 14, 2013

সীমাবদ্ধ আকাশ

আমার একলা আকাশ বলতেই কেন জানি সীমাবদ্ধতা আবিস্কার হয়। অথচ আকাশকে কি কখনো সীমা দিয়ে আটকানো যায়? কিন্তু আমার আকাশ মানেই সীমাবদ্ধ এক জগত। মেঘলা হয়ে আসে আমার আকাশ, কখনো বা রোদেলা এক পশলা বৃষ্টি আর কখনো বা ঝড়। অনাবিল প্রশান্তির যে বাতাস এখানে বয়ে যায় তার ছোঁয়া, স্নিগ্ধতা কেমন করে বুঝাই, তবুও কেন যেন আমার আকাশ সীমাবদ্ধ বা গণ্ডিবদ্ধ। যখনই আমার আকাশে মেঘ জমে আমি চোখ বুঝে নিঃশ্বাস নেই, অনুভব করি প্রশান্তির সুখ কতো দূরে, আমার নাগালের কতোটা বাহিরে। আমি সীমাহীনতার সুখ খুঁজে পাই, নতুন করে নিজেকে খুঁজে পাই। তবু কি করে হয় আমার আকাশ সীমাবদ্ধ বুঝে পাই না। বর্ষা চলছে, বর্ষার পানিতে সব পাতা ভিজেছে  তবে কেন জানি তার নুপুরে ছন্দ হয়ে বাজেনি, তার চুড়ির রিনিঝিনি সুরে ঢেউ তুলেনি। আমি শুনতে পাইনি নিবির সুরতান। আষাঢ় ঢলে এবার জাগেনি আমার গীতবিতান। বৃষ্টি নামে এখানে খুব যেন ভেবে চিন্তে, মনে হয় শুধু আমার কারণেই। কি এতো ভাবে সে? আমার আকাশ এতো কৃপণতা ধারণ করে কেন? অধীরতার মানে কি বুঝে না? নাকি আমার সহন সীমা আজ চোখে দেখা শেষ হয় না। নাহ কি এক খেলা যে খেলছে বৃষ্টি কে জানে! অঝোর স্রাবণের প্রতীক্ষা বুঝি শুরু করতেই হবে এখন থেকে। অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকতে হবে স্রাবণের বৃষ্টি কানায় কান্য পূর্ণ করবে আমার আকাশের মেঘ সাজ। মেঘলা আকাশ হাসবে স্রাবণের সাথে এই ভেবেই পাই সান্ত্বনা। আমি আবারো চোখ বুঝি স্রাবণের সাথে সুর বুনি একা একা। আমি জানি আমার ভালোবাসার একাকীত্ব কোনদিন শেষ হবার নয়। তবু ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Friday, July 12, 2013

ছায়াটাই মাধ্যম


মনে আছে তোমার আদরি?? একদিন বুক চাপা অভিমান নিয়ে বলেছিলাম তোমাকে খুন করবো আমি। তুমিও তার বিপরীতে বলেছিলে “তোমার হাতেই খুন হতে চাই আমি”। আদরি তুমি কি নিছক কথার পিঠে সুর মিলিয়ে বলেছিলে কিনা তা জানিনা। তবে তুমি জানোনা তোমার এই কথা শুনে কতোটা অভিভুত হয়েছিলাম তা সেদিনের মতো আজও তোমায় বলে বুঝাতে পারবো না। আমি আর তোমায় খুন করতে পারলাম কোথায়? তোমার ভালোবাসায় তীক্ষ্ণ ধারালো ছুরি দিয়ে তুমিই তো ক্ষত-বিক্ষত করে পিছন থেকে বসিয়ে খুন করলে আমায়। সবকিছুই তোমার চোখে পড়ে, সবকিছুই চোখে পড়ে শুধু পড়ে না আমার হৃদয়ের রক্তকান্না। সে যে খুব যত্ন করে তোমারই জন্য দুকুল ছাপিয়ে তৈরি করেছে এক লোহিত বন্যা। নাকি ধরে নেবো তুমি আজ দেখেও বহুকিছু দেখো না, দেখতে চাও না। নাকি তোমার দেখার পরিসর ছোট হয়ে গেছে কারো প্রভাবে? তুমিতো আবার নিজের নয় অন্যের প্রভাবে প্রভাবিত আর পরিচালিত হতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করো। একটি কথা তোমায় আমি না দেখলেও তোমার প্রায় সব খবরই আমার কানে আসে, যদিও মাধ্যমটা তোমারও কল্পনার অতীত। তোমায় আমি বলেছিলাম তুমি যেখানেই যাওনা কেন আমার ছায়া তোমার সাথে সাথে থাকবে, ধরে নাও সেই ছায়াটাই হচ্ছে আমার মাধ্যম। তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

Wednesday, July 10, 2013

মরণের বিছানায়

খুব অদ্ভুত তুমি, কারণ কক্ষনো ভাবিনি আমার জীবন নিয়ে তোমার ইচ্ছে মতো খেলবে। আমি অবাক হইনি কারণ তুমি সেইজন আমাকে নিয়ে খেলেছো যাকে আমি সবচেয়ে বিশ্বাস করেছি, যাকে আমি সবচাইতে বেশী ভালোবেসেছি। জানিনা কি এমন ক্ষতি করেছি যার কারণে সব স্বপ্ন, ভালোবাসা, সুখ হারাতে হলো আমাকে, তবুও আমার কোন অভিযোগ নেই কারণ তুমি আমার শেষ ভালোবাসা। তোমার দেয়া এসএমএসগুলো দেখছিলাম, খুব সুন্দর করে সাজিয়ে লেখা মন ছুঁয়ে যায়। ভালোবাসার সব সুখগুলো মনে ঐ এসএএস এর মধ্যে, কিন্তু এখন মনে সব মিথ্যে গাঁথা ছিল সেই এসএমএসগুলোর ভিতরে। অভিনয় করেছো আমার অনুভুতি নিয়ে। হটাৎ করে আজ আবার সব মনে পড়ছে একে একে আর বুকের মধ্যে ভাঙ্গছে। অশ্রুঝরছে ঠিকই কিন্তু কাউকে দেখাতে পারছিনা, কষ্ট আজ আমায় কাঁদায়। তোমার স্মৃতিগুলো আমায় পাঠিয়ে দিচ্ছে মরণের বিছানায়। শুধু এটুকু বুঝলাম, তোমার ভালোবাসা মানে মরণের শিখা। তারপরেও বলি, তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।

Saturday, July 6, 2013

আমার ‘প্রমিস’

ভালোবেসে তোমায় চাইবো কেমন করে সেটা হয়তো আমি জানিনা, জানিনা কি করে ভালবাসতে হয়, অনেক বেশী......। কিন্তু শুধু এটাই আমি জানি, ভালোবেসে মরে যাওয়ার কথা মুখে সবাই বলতে পারে, আবার অনেকে ভালোবাসার মানুষকে স্বার্থপরের মতো এই পৃথিবীতে একা রেখেই মরে যায়, কিন্তু আমি? আমি তো তোমায় ভালোবেসে বেঁচে থেকেও মরে গেছি...... তুমি চাইলে বলে। ভালোবাসা অদৃশ্য একটা মিষ্টি অনুভুতি যেটা সবাই অনুভব করতে পারে না। আমি পেরেছি শুধু তোমায় ভালোবাসি তাই, হয়তো তুমি বাসনি তাই অনুভবও করতে পারোনি। হয়তো বুঝোনি খুব বেশী ভালোবাসি তোমাকে, হয়তো আর বেশী ভালোবাসা পাওয়ার জন্য আমায় ছেড়ে চলে গেলে। হয়তো তুমি নিজেও জানোনা ঠিক কতখানি বা কেমন ভালোবাসা তুমি চাও। সারাজীবন তোমায় ভালোবাসতে আর ভালো রাখতে চেয়েছিলাম, দিতে চেয়েছিলাম পৃথিবীর সেরা আর অন্যের কাছে হিংসা জম্মানোর মতো ভালোবাসা ......। কিন্তু এই জায়গাটায় আমি হেরে গেলাম তোমার জন্যে। নিশ্চয় আমার ভালোবাসায় কোন কমতি ছিলো যার জন্য আমার এই হার। হয়তো কাছে থেকে তা করতে পারিনি, কিন্তু দূরে থেকে তোমাকে চিরকাল অনেক অনেক বেশী ভালোবেসে আর ভালো রেখে যাবো। আর তোমার যতো অবহেলা, ঘৃণা, খারাপ সবই আমার কাছে রেখে দিলাম। এটা আমার বুকে তোমার জন্য ভালোবাসার কাছে আমার ‘প্রমিস’। তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে, ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।