irregular due to unavoidable circumstances of my own, hope will be back and continue soon.............. have patients for a while.

Friday, November 30, 2012

আমার মাকে


কোন এক রাতের অন্ধকারে আমার মাকে আমার কিছু না বলা কথা লিখেছিলাম। মা, আমি sacrifice করতে জানি। আমি sacrifice করতে জানি। আমি sacrifice করতে জানি, মা আমি নিজের স্বার্থকে বিসর্জন দিতে জানি। আমি নিজের পছন্দ অন্যকে দিতে জানি, মানুষকে খুশী করতে নিজেরে কাঁদাতে জানি। কেন জানো মা!! জানো না... আমি আর পাঁচজনের মতো না। একটু হলেও আলাদা তবে বিশেষ কিছু নই। আমার বাইরের অবস্থা দেখে কেউ বুঝবে না, হা.. হা.. হা.. মানুষ সবাই স্বার্থপর। সবার ভাবনাই নিজেকে নিয়ে আমার ভাবনাও তাই। আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনের মূল্যবান অনেক কিছুই sacrifice করেছি। নিজের হাসি আনন্দ, সুখ ঐশ্বর্য, ভালো বা মঙ্গল, সবকিছু থেকে নিজেকে বঞ্চিত রেখে sacrifice করে যাচ্ছি প্রতিমুহূর্তে। মা, জানো এই sacrifice করে কি হয়েছে?? যার জন্যে করেছি সে সুখে আছে, আর আমি নীরবে রাতে সবার অগোচরে এই কথাগুলো লিখেছি। আবার নিকষ আঁধারে বিছানায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছি আর অতীত হাতড়াচ্ছি। কিন্তু জানো মা, আজব হলেও সত্যি আমার চোখ থেকে সবসময় অশ্রু ঝরে না, এক অশ্রুবিহীন কান্না। তবুও মাঝে মাঝে দু’এক ফোঁটা বেরিয়ে আসতে চায়, কিন্তু আমি চেপে রাখি। তুমি জানো না মা পাথরের কান্না নেই, সব নীরবে সয়ে যায়। আমিও সেই পাথর হয়ে গেছি মা, কোনকিছুতেই কিছু মনে হয় না। মাঝে মাঝে কি মনে হয় জানো? তোমরা যে ঈশ্বরের কথা বলো, ঐ যে ঈশ্বর নামে কে না কে ঐ দুর আকাশে বসে আছে, উনি আমাকে শুধু sacrifice করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। ক্লিনিকে যখন দুইদিন পর জ্ঞান ফিরে আমার পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলেছিলে আমি স্বার্থপর, আমি জানি মা সত্যি আমি স্বার্থপর। তোমার জন্য আমার কোন sacrifice নেই, আমি কখনও তোমাদের জন্য কিছু করতে পারিনি। অন্যের জন্য sacrifice করে নিজের জীবন নষ্ট করে তোমাদের দুঃখই ছাড়া আর কিছুই তো দিতে পারিনি। আমি এতো বোকা কেন মা? নিজের বুঝ কখনও বুঝতে পারলাম না। জানো মা মাঝে মাঝে নিজেকে মানুষ বলতে ইচ্ছে হয় না। মনে হয় আমি ভিন গ্রহের কোন প্রাণী, বা রোবট। অনুভুতি নেই, যেন যন্ত্র দ্বারা চালিত। মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটাকে ধ্বংস করে ফেলি। চারদিকে এতো ব্যর্থতা আর ভালো লাগেনা আমার। কিন্তু তখন মনে হয় তোমাদের কথা, কি নেই আমার! তুমি আছো, বাবা আছে, আমার পরিবার আছে। সবাইতো আমাকে অনেক ভালোবাসে। যখন পরিবার টিকিয়ে রাখতে পারলাম না হাজার চেষ্টা করেও তখন তাকে পেয়ে ভেবেছিলাম এবার তোমাদের সুখী করার, দেখার মানুষ পেয়েছি। যাকে আমি একান্ত আপন মনে করেছিলাম সেও বাইরের মানুষের মতোই আচরন করলো শেষ পর্যন্ত। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে সেই যে ঘুমালাম......। এরপর এখন ভাবি বাইরের কোন কারো জন্য আমি তোমাদের কাঁদাতে পারি না। না মা সেই অধিকার আমার আর নেই। তাই তিলে তিলে শেষ করছি নিজেকে। আমার সবই তো আছে, তারপরেও মনে হয় কি জানি নেই। অনেক সময় সব পরিচিত মানুষের ভিড়েও নিজেকে বড্ড একা আর অচেনা লাগে, এই কি মা সেই আমি! তোমার হয়তো মনে হয় ‘আমি সেই আমি’, কিন্তু আমার কাছে আমি হলাম ‘ আমার হারানো আমি’। আমি sacrifice করতে জানি মা, শুনলে তোমার কি গর্ব হবে মা?? তোমার ছেলে অন্যের মুখের হাসির জন্য নিজের হাসি sacrifice করতে জানে। নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে অন্যকে সুখী করতে পারে। ঘড়ির কাঁটা আড়াইটা পেরিয়ে যাচ্ছে মা, টিক টিক করে সামনে এগিয়ে চলছে। চলতে চলতে মহাকালের দিকে চলে যাবে। এক সময় তুমি থাকবে না, আমিও থাকবো না। ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে না আমার নাম। আমি তো কোন মহৎ কেউ না, নই কোন দিগবিজয়ী। আর হতেও চাই না, আমি চাইনা কেউ আমাকে মনে রাখুক। যার জন্য করেছি সেও যেন ভুলে যায়, হয়তো এখনই ভুলে গেছে। সূর্য যেমন সবাইকে স্বার্থহীন আলো দেয়, আমিও তেমনি সবাইকে সুখী করতে চাই। আমার জম্ম যেমন সূর্য উঠার সাথে সাথে, মৃত্যুও যেন সূর্যাস্তের সাথে সাথে হয়। জীবনে এখনো আমার কোন আশাই পূরণ হয়নি, আর হবেও না। তুমি আশীর্বাদ করো মা আমার এই আশা যেন অন্তত পূরণ হয়, তোমার ভগবানকে বলো আমার এই আশাটা পূরণ করতে। আমি তাঁকে বলবো না মা, উনার সাথে আমি সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছি অনেক আগেই। তুমি বললে উনি শুনবে মা। জানো মা, পরজম্ম বলে যদি কিছু থেকে থাকে তখন আমি পাখি হয়ে জম্মাতে চাই। নীলের বিশালতায় উড়বো, থাকবে না কোন পিছুটান আর ভালোবাসার বন্ধন। শুধু উড়বো আর উড়বো। আর যদি মানুষ হই তাহলে যেন তোমাদের ছেলে হয়ে আবার জম্মাতে পারি। জীবনে অনেক ভুল করেছি, কিছুই হয়তো তুমি জানো না মা। তোমাকে জানতে দেইনি, এই চিঠি লেখার কথাও জানবে না তুমি কোনদিন। তাই এই লেখাটা তোমাকে উৎসর্গ করছি। আমি sacrifice করতে জানি, মা...। তবুও চাই ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

Thursday, November 29, 2012

নিঃস্বতম ব্যক্তি


ভালোবাসা যদি অনর্থ হয় তবে জীবনে বেঁচে থাকার কোন অর্থই নেই। ভালোবাসা যদি অর্থের বিনিময়ে পেতে চায় কেউ তবে সেই পৃথিবীর নিঃস্বতম ব্যক্তি যার এক কানাকড়িও মূল্য নেই। সবটুকু ভালোবাসা তোমায় দিবো বলে নিজেকে ভালবাসতে পারিনি। তোমার কথা ভাবতে ভাবতে নিজের কথা আর ভেবে উঠতে পারিনি। বেশী কিছু চাইনি, আকাশের নীল রঙের মেঘের দেখাদেখি নীল রঙের শাড়ি পরানো দেখতে চেয়েছিলাম। দেখতে চেয়েছিলাম হাত ভর্তি নানা রঙের চুড়ি আর তোমার কপালের আকাশে টিপ আর তোমার ঐ চোখের আঙ্গিনায় কাজল দেয়া। বুঝতে পারছি তুমি খুব সুখে আছো আমাকে দূরে ঠেলে দিয়ে। কিন্তু যখন এই সুখ তোমাকে একদিন অনেক অনেক দূরে সরিয়ে দিবে সেই দিন তুমি বুঝবে কষ্টের যন্ত্রণা কতটা ভয়ানক, কতটা নিঃশব্দভাবে মেনে নিতে হয় কষ্টকে। তখন সইতে না পেরে যদি চোখ ফেটে কান্না বের হয়ে আসতে চায় তবে একলা কেঁদো না। যখনই কান্না আসবে আমাকেও ডেকো, একসাথে বসে কাঁদবো। কষ্টগুলো শুধু আমাকে দিবে আর সুখগুলো শুধুই তোমারি হবে। জীবনের সব শুন্যতা চাইলেও মনে হয় পূরণ করা যায় না। যেমন পৃথিবীর হাজার মানুষও পূরণ করতে পারে নি আমার হারিয়ে যাওয়া মানুষটির জায়গা। যা এখনও শূন্যই রয়ে গেলো। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।  

অনেকগুলো স্মৃতি


নিজের সব ভালোলাগা, ভালোবাসা আর স্বপ্নগুলো আমি তোমাকে উৎসর্গ করেছিলাম। আর নিজের জন্য রেখেছিলাম শুধু ঘুনে খাওয়া এই দেহটুকু। কিন্তু আমার এই ভালোবাসা, স্বপ্ন যদি তুমি অন্য কাউকে দিয়ে দাও, তাহলে নিজের জন্য কি রাখবে তুমি? দেহের পচন তো অনেক আগেই হয়েছে, এখন যদি আত্মার ও পচন ধরে তাহলে আর কিছুই যে থাকবে না তোমার। জানি ভুল করেও আমায় মনে পড়েনা এখন, তোমার চারদিকে এতো মানুষের ভিড়ে আমি তো এক ছারপোকা মাত্র। কিন্তু আমি পুরনো সেই তোমাকে পুজো করি এখনো, তাইতো স্মৃতিগুলোকে হারাতে চাইনা। নতুন এই তোমার কাছে থাকলে পুরনো ভালোবাসার সুখগুলো হারিয়ে যাবে আমার। এই নতুন তোমার যোগ্য আমি নই হয়তো, তাইতো হারিয়ে গেলাম আমি বা তুমি সরিয়ে দিয়েছো আমাকে। তোমাকে ভুলে যাওয়া কখনো আমার পক্ষে সম্ভব না। তোমাকে ভুলে যেতে হলে আমার অনেকগুলো স্মৃতি ভুলে যেতে হবে। স্মৃতিগুলো ভুলে যাওয়া কোন সমস্যা না, সমস্যা হলো আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়। আর সেই সময়ের সবচেয়ে সুন্দর স্মৃতিগুলোর সাথে তুমি জড়িয়ে আছো। কিভাবে তোমাকে ভুলে যাবো আমি বলো?  ভুলে যেতে হলে যে নিজেকে ভুলে যেতে হয় প্রথমে। কিছু কিছু মানুষের সবচেয়ে প্রিয় মিথ্যা হল ‘জান, তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবো না। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।’ পুরানোর প্রতি মোহ কেটে গেলে তাকে দিব্যি ভুলে নতুন একজনকে আবার বলে একই কথা। কিন্তু আমি পারিনি তাদের মতো হতে, আজো আছি সেই আগের মতোই। তাই ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Wednesday, November 28, 2012

বেদনার ভয়াবহতা


হৃদয়ের হাজারো না বলা কথা তোমাকে আর বলা হবে না। তোমার হাতটি ধরে কল্পনার নীল দিগন্তে আর হারানো হবে না আমার। সপ্নারজিত কিছু কষ্ট রয়ে যাবে এই মনের গহীনে যা আমাকে কাঁদাবে সবসময়। কাঁদতে দিয়েছি আমি এই চোখকে, ভালোবেসে অর্জন করেছি এই অশ্রুগুলো তাই নিমিষে হারাতে চাই না। আজ তুমি নেই তাতে কি? প্রতি ফোঁটা অশ্রু মনে করিয়ে দেয় আমাকে তুমি একদিন ছিলে আমার জীবনে। কি ছিলে, কি আছো শুধু আমার এই মন জানে, আর কেউ না জানুক। জীবন বদলের এক নতুন খেলাতে আমরা থেকে আমি হয়ে গেছি আজ। হ্যাঁ হারিয়ে ফেলেছি তোমাকে, চাইনি হারাতে তবুও ভাগ্য নামের অজানা ভবিষ্যতের কাছে পরাজিত হয়ে গেছি আমি। তাই রঙিন স্বপ্নগুলো আজ কেমন জানি বর্ণহীন লাগে আমার কাছে। এখনও মাঝে মাঝে কোন এক অজানা টানে ঘুম ভেঙ্গে যায় হটাৎ করে, জেগে দেখি তুমি নেই আমার পাশে। মনটা ডুকরে তখন কেঁদে উঠে। চঞ্চল মনটাকে তখন বোঝানো ভীষণ দায়, তুমি যে আমার আর নেই। অশ্রু ভেজা চোখে উতলা মনটাকে ঘুম পাড়ানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা চলতে থাকে অবিরত। জানি না আর কতদিন আমার এই চোখ তোমাকে ভেবে ভেবে অশ্রু সিক্ত হবে। আর কতদিন পরাজিত হবো এই অশ্রুতে এসে। কিন্তু এই অশ্রু যেন তোমাকে কোনভাবেই স্পর্শ করতে না পারে। কারণ এই অশ্রু ঝরার বেদনার ভয়াবহতা আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা। 

নিঃশ্বাসের মাঝে


আমি যে শুধু তাকেই ভালোবাসি। তাকেই চাই আমি, তার চেহারা দেখে আমি বলিনি ভালোবাসি। আমি যে মন দিয়ে তাকে চিনেছিলাম, আমার জীবনের সবটুকু পাওয়া আমি তার মাঝে পেয়েছি। সে আমাকে শতবার ফিরে যেতে বললেও আমি যাবো না, তবে এভাবেই ভালোবেসে যাবো সবসময়। তার সেই মিষ্টি হাসিই আমাকে সত্যি নতুন করে চিনিয়েছে যে আমি বোধহয় ভালবাসতে জানি। সব উজাড় করে ভালবেসে, ছিলাম আমি নিঃস্ব। আমার প্রানবায়ু আর সকল সুখের উৎস ছিল সে। তাকে ভালবাসি বলতে গিয়ে যেদিন আত্মহারা আমি, ভেবেছিলাম কে আছে আর তার আমি ছাড়া? হটাৎ একদিন তার দৃষ্টিতে ভালোবাসার মায়া দেখতে গিয়ে লক্ষ্য করি অন্য কারো ছায়া তার চোখে। সেদিন থেকে আমার মন খারাপের রাত শুরু, বুঝে নিলাম আর রাখবে না সে তার হাত আমার হাতে। আমি তাকে সেই অর্থে যদিও না পাই তবু ভেবে নিবো কারো কাছে আমার দেয়া সেই উষ্ণ ভালোবাসা আজো আছে। আমি জানি সে আর আমার নয়, আমি সত্যটা মেনে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। খুব কষ্ট হচ্ছে তবু চেষ্টা করে যাচ্ছি একবুক আঘাত নিয়ে। কিন্তু তাই বলে ক্ষান্ত হতে পারিনি, আশা ছাড়তে পারিনি। আর আমি নই, আমার মন, ইচ্ছাশক্তি এবং সহজাত প্রবৃত্তিই আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে আমি হয়তো কোনদিন হাসি খুশী থাকতে পারবো। কিন্তু আমি এই আশা ছাড়তে পারবো না যে সে একদিন আমার কাছে ফিরে আসবে। সে আমার চোখের আড়াল হয়ে হয়েছে জয়ী তবে সে আমার মনের আড়াল হতে পারেনি। আর সেখানেই তার পরাজয়। তাকে বলতে চাই, তুমি ভয় পেও না লক্ষ্মী। আমি সবসময়ই আছি তোমার পাশে, খুব কাছে, তোমার নিঃশ্বাসের মাঝে মিশে...। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।  

Tuesday, November 27, 2012

এক অমানুষ


মানুষের ভিড়ে আমি এক অমানুষ। দুটা হাত, দুটা পা, দুটা চোখ আর একটা চলমান হৃদপিণ্ড থাকলেই কি মানুষ হওয়া যায়?? আমার ঠিক জানা নেই। তবে আমার চারপাশ এমন প্রাণীগুলোকে সবাই মানুষ বলে। আমারো দুটা হাত, দুটা পা, একজোড়া চোখ আর পাঁজরের ভেতর চলমান একটা হৃদপিণ্ড আছে। তাই হয়তো আমিও মানুষ, তবু কেন যেন নিজেকে মানুষ বলে ভাবতে পারি না। নিজেকে বরং আকাশ ভাবতে ভালোই লাগে। আকাশের মতোই আমার ভেতরে সবাই থাকতে পারে কিন্তু কারো পাঁজরেই আমার জায়গা হয় না। আমি হয়তো আকাশ হয়ে গেছি অথবা গাছ! নিজেকে আজকাল গাছ ভাবতে মন্দ লাগে না। গাছের মতো নির্বাক সবকিছু তাকিয়ে দেখি। দেখি, মানুষগুলো কতো সহজেই ভেতরের জন্তুটাকে মুখোশ পরিয়ে রাখে। দেখি তাঁদের মন ভোলানো অভিনয়। হয়তো বোবা গাছের মতো আমিও বোবা হয়ে সব দেখার জন্য জম্ম নিয়েছি, তাই নিজেকে গাছ ভেবে সান্ত্বনা পাই। কারণ এদের কর্মকাণ্ডের সামান্য প্রতিবাদ করলেই তারা নোংরা প্রতিক্রিয়া দেখায়। তাই আজকাল নিজেকে মানুষ ছাড়া আর সবকিছু ভাবতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। এককালে মানুষ হতে চাইতাম, কিন্তু মানুষগুলো মানুষ হওয়ার মানে টাই পাল্টে দিলো। এখন আমি আর মানুষ হতে চাই না, নিজেকে অমানুষ ভেবেই আনন্দ পাই। তাই মানুষের ভিড়ে আমি অমানুষ। এমন অমানুষরা ভালোবাসা পায় একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। তবু ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

Monday, November 26, 2012

আমার ক্ষমতা


জানিনা কেন তোমাকে দেখতে খুব মন চাইছে। কেন এতো পাগল আমি তোমার জন্য এতো কিছুর পরও? কেন এতো কষ্ট লাগে তোমার জন্য? তোমাকে দেখলে আমার মন প্রান ভরে যেতো আনন্দে। মনে হতো সমস্ত পৃথিবীটাই আমার কাছে নতজানু, সব আমার হাতের মুঠোয়। এই যে এতো আনন্দ লাগে তোমাকে দেখলে তা তুমি কি জানো না, বুঝতে পারো না? তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে যেন নিজেকে নতুন করে খুঁজে পেয়েছিলাম, যার অনুভুতি আমি বোঝাতে পারবো না। তুমি সব কিছু জেনে শুনেও কেন দূরে চলে গেলে বুঝি না। এখন বুঝতে পারো কি তুমি আমার মনটা পোড়ে সর্বক্ষণ অজানা এক ব্যাথায়, কতোটা কষ্ট দিয়েছো তুমি? তবু তো ভুলতে পারলাম না তোমায়। কেউ যদি আত্মার সাথে মিশে যায় তাকে কি ভুলা যায়? তাহলে আমার দোষ কি বলো আমি যদি তোমাকে ভুলতে না পারি। তুমি সাংঘাতিক জেদি আর অহংকারী, আর আমি? নীরবে নিঃশব্দে তোমাকে ভালোবেসে হয়েছি বড্ড অভিমানী। বুকের ভিতর জমানো কষ্টগুলো যদি কোনভাবে তোমাকে একবার দেখাতে পারতাম, সত্যি বলছি তুমি তা দেখেই বেহুশ হয়ে পড়তে। কিন্তু আফসোস! ঈশ্বর আমাকে সেই ক্ষমতা দেয়নি। মনের গহীনে লুকায়িত ইচ্ছেগুলো যদি তোমার অনুভবে একবার ছড়িয়ে দিতে পারতাম, সত্যি বলছি সে ভার তুমি সহ্য করতে না পেরে ভাষা শুন্য হয়ে পড়তে। কিন্তু হায়! বিধাতা আমাকে সেই ক্ষমতা দেয়নি। আমার ক্ষমতা শুধুই অপরিসীম ভালোবাসায়, তাই ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Sunday, November 25, 2012

অপয়া বাস্তবতা


ভীষণ ক্লান্ত আমি, জীবনের দৌড়ে পিছিয়ে গেছি অনেক, ভালোবাসা নামক জুয়ার দানে হেরে বসেছি। ভীষণ ক্লান্ত আমি, হাজারো মিথ্যে বলে বলে অন্ধকারে হোঁচট খেয়ে। ঘরে বাইরে যুদ্ধ করতে করতে ভীষণ দুর্বল হয়ে গেছি মানিসিকভাবে, সত্যের সামনে দাঁড়াতে পারছি না আমি। পারছি না কঠিন প্যাঁচ খুলতে, দিনে দিনে যেটা ক্রমশ জট পাকিয়ে গেছে। ভীষণ সংকোচ প্রবন হয়ে গেছি ক্রমাগত নিজেকে গুটিয়ে নিতে নিতে। অনেক দূরে ছিটকে পড়েছি জীবন থেকে, কোন কিছুই আমাকে টানে না এখন আর। কোথাও কেউ নেই একটুখানি মুক্তি দেওয়ার মতো, অপয়া বাস্তবতা আঁকড়ে ধরছে আমায় ছুটতে চাচ্ছি যতো। আমার হাসি আমি সেই কবেই হারিয়ে ফেলেছি, সবার কাছ থেকে নিজেকে অবাঞ্চিত করে এনেছি। আমার ভিতরটাকে করে রেখেছি একা, শুন্য। শুনেছি ভালোবাসা নাকি মানুষকে সাহসী করে তুলে, কিন্তু আমাকে করেছে তার উল্টো। ভালোবাসা আমাকে ভীতু বানিয়েছে, আমার ভিতরে জম্ম দিয়েছে এক অজানা ভয়। যা আমার ছায়ার মতো সবসময় এখন আমার সাথে থাকে। আমি ভয় পাই কারো চোখে চোখ রেখে কথা বলতে, ভয় পাই নতুন করে বাঁচতে। সত্যিই অনেক ভয় পাই এই ভালোবাসা নামক অনুভূতিটাকে। ভালোবেসে কেউ হাসে, কেউ কাঁদে। কেউ আবার নতুন করে ভালোবাসে কেউ পুরনোকেই আঁকড়ে ধরে বাঁচে। তাই ভালোবাসা তুমি আমায় ক্ষমা করো, নতুন করে বাজি ধরার সম্বল আমার নেই। তবু ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

Saturday, November 24, 2012

রাতগুলো দুর্বিষহ


খুব দেখতে ইচ্ছে করছিলো  তাকে আজ সারাটা দিন। ছবিতে নয়, বাস্তবে দেখতে ইচ্ছে করছিলো। কিন্তু তাকে নিয়ে আমার অন্যান্য ইচ্ছাগুলোর মতো এই ইচ্ছা টাও পূরণ হবার নয়, সে অনেক কষ্ট করে আমাকে দূরে সরিয়েছে তাই যাই না তার সামনে। ঘড়ির কাঁটা দুই টা ছুঁই ছুঁই করছে, কম্পিউটার নিয়ে বসে আছি, কাজ করতে ইচ্ছে করছে না আজ। সেলিন ডিওনের সেই বিখ্যাত গানটা বাজছে every night in my dream i see you i feel you that is how i know you go on’ আমার চোখের কোনায় আবার সেই অবাধ্য পানি জমে আছে। সে চলে যাবার পর থেকেই এই পানির কোন নিশ্চয়তা নেই কখন যে গড়ায়। আগে আমার রাতগুলো ছিল স্বপ্নময় আর এখনকার রাতগুলো দুর্বিষহ। আগে তার সাথে রাতের বেলা কথা বলে মোবাইল আর কান গরম করে ফেলতাম, অনেকসময় অতিরিক্ত ব্যাটারি লাগিয়ে কথা বলতে হতো। আর এখন মোবাইল কোথায় থাকে খেয়ালই থাকে না, কোন এক জায়গায় পড়ে থাকে হয়তো। প্রতিরাতেই তার কথা ভাবি, কখন কি বলেছে কখন কি করেছে এসব। আমি যখন এসব হারানো দিনগুলো নিয়ে ভাবি তখন হয়তো সে নতুনের সাথে বিনিময় করতে করতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমায়। তার সাথে কাটানো দিনগুলোর কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে গাল বেয়ে অশ্রু ঝরে যায় টের পাই না। কতো যে ভুল করে ফেলি তার কথা ভেবে অন্যমনস্ক হয়ে গিয়ে। সবাই বলে মন থেকে তাকে মুছে ফেলতে। কিন্তু কিভাবে মন থেকে মুছে ফেলবো তাকে?? আমি তো আর রোবট বা কম্পিউটার নই যে চাইলেই তাকে মুছে ফেলতে পারবো বা রিসেট কিংবা ফরম্যাট দিতে পারবো। আমি তো মানুষ। আমি কি পারি এই মনটা ছিঁড়ে ফেলে দিতে, নাকি সম্ভব? এর শেষ পরিনতি তো মৃত্যু দিয়েই হবে। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

Friday, November 23, 2012

ঝামেলা বিহীন


এখন আর নেই কারো জন্য অপেক্ষা করার চিন্তা, নেই কাউকে অপেক্ষায় রাখার চিন্তা। যেমন ইচ্ছা তেমন ভাবেই চলি, নেই কারো রাগ করার ভয়, করতে হয় না কারো মান ভাঙ্গানোর চিন্তা। করতে হয় না কারো জন্য অভিমান। হারানোর ভয়ে যেমন নেই তেমনি কাউকে কাছে পাওয়ার সাধ নেই। নেই সময় চাওয়ার মানুষ নেই সময় দেওয়ার কোন মানুষ। আমার ভুল ধরার কেউ নেই তাই ভুল বুঝারও মানুষ নেই। ধমক দিবে, বকা দিবে, রাগ করে দূরে যাবে, অভিমান ভাঙ্গাবে, আমাকে মনে করে ফোন দিবে, যখন তখন মেসেজ দিবে এমন কেউ নেই আমার এখন। জাতীয় সঙ্গীতের দ্বিতীয় লাইন শোনার কেউ নেই, বলারও নাই কেউ। তাহলে বুঝাই তো যায় আমি কতো ঝামেলা বিহীন একজন মানুষ, আমার মতো সুখী আর কয়জনই বা আছে!! কোন এক অলস দুপুরে আমার কথা ভেবে কখনো আনমনা হয় না কেউ, জ্যোৎস্না ভেজা রাতে কোন মানবী স্বপ্ন আঁকে না আর আমাকে নিয়ে। ভোরের শুদ্ধতায় আমায় দেখবে বলে কেউ অপেক্ষায় কাটায় না এক বিনিদ্র রাত্রি, অথবা আমায় পাবার আশায় চোখের নিচে জমা হয়না একফোঁটা জল। অথচ এসবকিছুই আমাকে ঘিরে রচিত ছিল তার যা এখন আরেকজনের, নিতান্ত সহজলভ্য হিসাবে নিজেকে আবির্ভূত করে প্রেম নিবেদন আর বিলিয়ে যাচ্ছে অকাতরে। নিজেকে ইদানিং কেমন জানি অচেনা লাগে, ঘৃণা লাগে নিজেকে আর বড্ড ছোট মনে হয় এই আমাকে। মাঝে মাঝে খুব ফিরে পেতে ইচ্ছে করে সেই আমিকে যে কিনা বাঁচতে চেয়েছিল দ্বিধাহীনতায়। তবু ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

কিন্তু হলো না


আমার অনেক ভালো করে মনে আছে আমি একটু অসুস্থ হলেই তুমি কেমনটা করতে, পাগলের মতো হয়ে যেতে। এটা করো না ওটা করো না, ঠিকমতো ওষুধ খেয়েছো নাকি। এখন আমি অসুস্থ হলেও কেউ জানতে চায়না আমি কেমন আছি? অনেক মনে পড়ে এসব আমার কিন্তু কোন উপায় নেই। এটা খুব কষ্টকর যখন কিছুর জন্য অপেক্ষা করা হয়, কিন্তু জানি যে সেটা কোনদিন ও আমার হবে না। তবে এর থেকে বেশী কষ্টকর হচ্ছে, একমাত্র জিনিষ বা মানুষ যেটাকে কেবল আমি চেয়েছি সেটাকে ফেলে জীবনে এগিয়ে যাওয়া। তুমি আমাকে গ্রহন করনি ঠিকই তবে সেই দিনগুলোর মতো আজো আমার হৃদয়ে আছো। তুমি কি আমাকে একা মনে করছো? সত্যিই তুমি পারো বটে... আরে আমি কেন একা হতে যাবো? আমি তো তোমাকে সবসময় আমার কাছে রেখেছি। হয়তোবা তোমায় দেখতে পাইনা, স্পর্শ করতে পারি না, তবে তোমাকে অনুভব করতে পারি। অনেক কষ্ট লাগে যখন তোমাকে অনেক অনেক বেশী মনে করি কিন্তু একটা মেসেজ ও দিতে পারি না। এমন একটা সময় ছিলো যখন ইচ্ছে হলেই তোমাকে কল দিতাম আর তুমি সবসময় আমার কল এর অপেক্ষা করতে। আজো বসে থাকো অপেক্ষায় হয়তো সেটা বিদেশ থেকে আসা বা অন্য কারো কল এর। অপেক্ষা করে তাকে মেসেজ পাঠাতে গিয়ে ভুলে আমাকে দিয়ে দিয়েছিলে সেই মেসেজ, যাতে লেখা ছিলো ‘ঘণ্টাখানেক বলতে কয়দিন বুঝায় তা আমি জানি না, আমাকে নতুন করে সময় জানতে হবে’ মনে পড়ে তোমার? কি অভিমান আর কথা বলার আকুলতা ছিলো তার সাথে কথা বলার তোমার আমি আজো ভুলিনি কিছুই। ভুলিনি অফিস থেকে ফিরেই আমাকে কল দেওয়ার বদলে তাকে কল দিতে। অথচ ইচ্ছে ছিলো ভালোবাসি শুধুই তোমাকে যেমন করে এই পৃথিবীর কেউ কখনো পারেনি কাউকে ভালোবাসতে। কিন্তু হলো না আমার কোন ইচ্ছে পূরণ। তবু ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।  

একটি কাহিনী


একটি ছেলে আর একটি মেয়ে রিক্সায় করে ঘুরতে বের হয়েছে......।
ছেলেঃ তোমাকে কিছু কথা বলার ছিল
মেয়েঃ কি কথা জানু?
ছেলেঃ আমি জানি না কথাগুলো তুমি কিভাবে নিবে......
মেয়েঃ আরে বাবা এতো না ভেবে বলো তো কি হয়েছে?
ছেলেঃ আমি আর পারছি না তোমার সাথে মানিয়ে চলতে, অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। তাছাড়া আমি আর একজনকে ভালোবাসি এখন। আমি তোমাকে আর ভালোবাসি না, আমাকে একটু একা থাকতে দিবে?
ছেলেতা একনাগাড়ে সব বলে ফেললো...... মেয়েটি সব শুনে দুই মিনিট চুপ করে রইলো... তারপর ছেলেটার গালে একটা kiss দিয়ে বলল,
মেয়েঃ আমি জানি আমার জন্য এতো ভালোবাসা ত্যাগ করে তুমি অন্য কাউকে ভালবাসতে পারবে না, দুনিয়ার যতো সুন্দরী মেয়েই হোক না কেন, সে তোমাকে যতোই ভালবাসুক না কেন তুমি আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভালোবাসবে না। অন্তত তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে না... কেন শুধু শুধু এগুলো বলে আমায় কাঁদাও, নিজেও কষ্ট পাও?? এই বলে মেয়েটা ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরে...... ছেলেটা কিছু বলতে পারে না শুধু তার চোখ দিয়ে অশ্রু বেয়ে পড়ে মেয়েটির গাল ভিজিয়ে দেয়.........। মেয়েটির কান্না না থামা পর্যন্ত ছেলেটি মেয়েটিকে বুকে জড়িয়ে রাখলো। ছেলেটি জিজ্ঞেস করল,
ছেলেঃ তুমি কাঁদছো কেন?
মেয়েঃ যদি আমার প্রত্যেক ফোঁটা জলের কারনে তুমি আমাকে একবার তোমার বুকে জড়িয়ে ধরো তাহলে আমি চিরকাল কাঁদতে চাই। 
এটাই হচ্ছে ভালোবাসার ধর্ম, অন্ধ বিশ্বাস আর ভরসা যেখানে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে আছে। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

Thursday, November 22, 2012

রিলেশান ব্রেক-আপ


ভালোবাসা কি খেলনা?? ইচ্ছা হলো খেললাম, ইচ্ছা হলো ভেঙ্গে দিলাম?? অনেকেই বলতে শুনি, ওর সাথে ব্রেক-আপ করে ফেলবো, ওর সাথে আর রিলেশান রাখবো না। যেন এইটা একটা শখ, ব্রেক-আপ করতে পেরে এরা গর্ব বোধ করে বুকে। আমার প্রশ্ন, আজ যদি এমন ভাবা হয় তবে রিলেশানে কেনো জড়ানো? কেনো এতোদিন ধরে সেটা বয়ে আনা? আজ বলে আমার এই সমস্যা, ওই সমস্যা... এই কারনে রিলেশান রাখবো না। তাহলে সেদিন কেনো ভাবা হয় নাই, যেদিন মুখ দিয়ে ভালোবাসি কথাটা উচ্চারিত হয়েছিলো? সবকিছু জেনেশুনে সম্পর্কে জড়ানোর পরও মূর্খের মতো বলে বসে এতকিছু আগে বুঝিনাই। না বুঝার কি আছে?? ভালোবাসা তো ঠিকই বুঝে। কেন একটা মানুষের কাছে থেকে এইভাবে তার পৃথিবীটা কেড়ে নেয়া? কেন তাকে আমৃত্যু একটা যন্ত্রণার জীবনে ঠেলে দেয়া? একটা মানুষকে হাসানো অনেক কঠিন কিন্তু কাঁদানো অনেক সহজ, কাঁদানোতে তো কোন মহত্ত্ব নেই। এক একজন তো স্বার্থপরের মতো বলেই বসে আমি সরে গেলে ওর জীবন সুন্দর হবে। আসলে কি তাই হয়?? কখনো কি ভোলা যায় তাকে শত চেষ্টা করে? হ্যাঁ পারে যারা ভালোবাসার নামে দিনের পর দিন অভিনয় করে যায় অথবা নতুন কাউকে তার জীবনে পেয়ে লালায়িত হয় তারাই। কিন্তু ওই মানুষের সাথে সম্পর্কের আগের সময়ে কি তাকে ফিরিয়ে দেওয়া যায়? ভালোবাসায় কোন রিপ্লেসমেণ্ট হয় না, যারা হয় ভাবে তারা ভুল ভাবে। এদের মধ্যে শিক্ষার আলো থাকলেও নৈতিকতা নেই বিন্দুমাত্র। মানুষ ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক, তাই বলে একজন ভুল কিছু করেছে বলে তাকে ছেড়ে চলে যেতে হবে!! ভুলগুলো কি শুধরে দেয়া যায় না? জানি আমার প্রশ্নের কোন উত্তর এদের জানা নাই, কারন এটাই আধুনিকতার ফ্যাশন। কিন্তু আমার কথা হলো, কাউকে ভালবাসলে ভালোবাসার মতোই বাসবো। চিরদিন যদি ভালবাসতে পারি তাহলে ভালবাসবো, তা না হলে ভালোবাসার দরকারই নেই। ভালোবাসা তো আয়না না, একটা ভেঙ্গে গেলো আরেকটা কিনে নিলাম। কি অদ্ভুত মানুষের ভালোবাসা!!! ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

Wednesday, November 21, 2012

গোপন কষ্ট


আমার এই জীবনটাতে আমি খুব বেশী কিছু চাইনি কখনোই। সবসময় unconditional একটা সম্পর্ক চেয়েছিলাম, চাইনি কখনোই material relation মনেপ্রানে। চেয়েছিলাম সে আমার পাশে থাকবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। আমার এই চাওয়াতে কোন ভুল ছিল কিনা আজও আমি জানি না। আমি এখন ক্লান্ত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে খুঁজে। আর আমি এটাও জানি এই প্রশ্নের উত্তর আমাকে কেউ দিবে না, তার দেওয়ার তো অবকাশই নেই। এই ভাবনাগুলো আমার আকাশকে মেঘে ঢেকে দেয়, এই প্রশ্নগুলো আমার সারারাত জাগা গোপন কষ্ট যার এক একটা অশ্রু ফোঁটা যে কি ভয়ঙ্কর তা বলে বোঝাতে পারবো না। আমি জানিনা কেন আজও তাকে মনে করি, জানিনা কেন আজও অশ্রু ঝরাই নির্ঘুম রাত জেগে। কেন আমি পরাজিত হই কিছু অনুভুতির কাছে, কেন আজও মুক্তি নিতে পারিনা তার দেয়া কষ্টগুলো থেকে। সত্যিই আমি জানিনা আমার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর। যারা জানে আমার এই দিকটা সম্পর্কে সবাই বলে আমার মুক্তি পাবার দরকার এই জীবন থেকে, আবার আমার আমি হওয়া জরুরী যেখানে ছিল না কষ্টের এমন ভয়াবহ চিহ্ন। যেখানে যন্ত্রণারা বিদ্রুপ করতো না, যেখানে সব হারানোরা মিলে অট্টহাসি হাসতো না। কিন্তু আমি কি আসলেই পারবো সেই আমিতে ফিরে যেতে? যদি না পারি সে বুঝে নিবে আমার এই হৃদয়ে কতটা চাপা কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি, ইট ভাটার আগুনের মতো দিনরাত আগুনে ছারখার এই অন্তর। সে বুঝে নিবে এখনও বা তখনও আমার বর্তমান অতীতের সেই পরম পাওয়ার সময়ের কাছে বার বার হার মেনে যায়। সে বুঝে নিবে আমার প্রানের স্পন্দনে তখনও সে থাকবে ঠিক যেমনটা ছিলো। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Tuesday, November 20, 2012

স্বার্থ পিয়াসী


এখনো মাঝে মাঝে তার কথা অনেক বেশী ভাবিয়ে তুলে আমাকে। সত্যিই কি, এই পৃথিবীর মানুষ এতোটা নিষ্ঠুর এতোটা স্বার্থ পিয়াসী যে কাউকে কষ্ট দিয়ে নিজের সুখ খুঁজে বেড়ায়। যাকে সে ভালোবাসে যার সাথে একান্তে কাটিয়েছে অনেকগুলো সময়, তাকেই চরম আঘাত করতে এতোটুকু চিন্তা করেনা। কি বিচিত্র এই মানুষের জীবন যাপন! আমি তো অন্য কাউকে জানি না, আমি তার কথা বলতে পারবো। আমি তাকে দেখেছি খুব কাছে থেকে। তার চোখের মাঝে ভালোবাসা দেখেছি আবার সেই তাকেই নিজের চাহিদার কাছে বিক্রি হয়ে যেতে দেখেছি। আমি দেখেছি তার ভালোবাসা নামক বিচিত্র রূপ, দেখেছি তার চলে যাওয়া। সত্যিই আমি যখন এসব ভাবি, কিছুটা সময়ের জন্য নির্বাক হয়ে যাই। নিজেকে বোঝাতে পারিনা জীবনের চাহিদার কাছে মানুষের ভালোবাসার কোন মূল্য নেই, তবে কেন এই মিছে ভালোবাসা? তবে কেন এই হাজারটা স্বপ্ন দেখা কাউকে নিয়ে যা বাস্তবতা থেকে অনেক দূর। যা শুধু কারো কারো কাছে ক্ষণিক অভিনয়। কেন 'আগে এতোটা বুঝি নাই' বলে সব দায় থেকে অব্যাহতি পাওয়ার হীন প্রচেষ্টা? আমি ঘৃণা, অভিশাপ এই শব্দগুলোর সাথে পরিচিত নই তাই হয়তো তাকে ঘৃণা করতে পারবো না, পারবো না অভিশাপ দিতে। কিন্তু শুভ কামনা রইলো, যতটা ভালো থাকার জন্য আমাকে ছেড়ে চলে গেলো তার চেয়েও যেন বেশী ভালো থাকে। তার সেই ভালো থাকাটা দেখে যাওয়ার অভিপ্রায় যে আমার অদম্য। কারন তাকে যে ভালো থাকতেই হবে, নাহলে সে তো আমার কাছে আবার পরাজিত হয়ে যাবে। আমি একা একাই পথ চলতে শিখে নেবো, জীবন নামের রাজপথে যেদিন সে আমাকে একা রেখেই চলে গিয়েছিলো সেইদিন থেকে একাকী পথ চলাকে বাধ্য হয়ে ভালবেসেই আজো বেঁচে আছি। জানি টেনে টেনেই এই পথ চলা চালিয়ে নিতে হবে মৃত্যু পর্যন্ত। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

Monday, November 19, 2012

বিদ্রোহী আমিত্ব


আজ হটাৎ করে আমার বিদ্রোহী আমিত্ব কথা বলতে চাইলো, আমি অনুমতি দিতে না চাইলে সে বড়ো ব্যাকুল হয়ে অনুরোধ করলো যেন একটু কষ্ট করে শুনি। আমি নীরব হয়ে শুনতে থাকি তার কথাগুলো। সে শুধাতে শুরু করলো আমায়। মনের কষ্টগুলো সবার আড়াল রেখে আর কতো নিজেকে লুকাবে? চোখে কি যেন পড়েছে এই বলে আর কতদিন চোখের জল মুছবে? আবার জিজ্ঞেস করে আমি শুনতে পাচ্ছি কিনা? আবার বলা শুরু, শেষ জলবিন্দুটি কি এখনো ঝরেনি!! কতো রাত না ঘুমিয়ে চোখের পানি ফেলবে, না ঘুমিয়ে কতো রাত জেগে কাটিয়েছ আর সকালে উঠে সবার সাথে ছলনা করছো? চোখের নিচে কালি আর কতো আড়াল করার ব্যর্থ চেষ্টা করবে? এই সুন্দর পৃথিবীতে কোটি মানুষের পাশে থেকেও তুমি একা, খুব একা। নির্জনতার আলপনা আর কালমেঘের ছত্রছায়ায় সময় কাটে তোমার। জীবন বোধ হয় তোমার পুরোটাই কষ্টেমাখা, জলে ছোঁয়া, ভিজে মাটির আলপনায় অঙ্কন। হ্যাঁ প্রশ্নগুলো তোমাকেই, অন্য কাউকে নয়, তোমার মনকে। তুমি মানুষ চিনতে পারোনি। এমন কাউকে খুঁজে নিয়েছো তুমি, যার জন্যে তুমি নিজের সাথে ছলনা করেছো প্রতিনিয়ত। আর কতো অভিমান আর ছলনায় ডুবিয়ে রাখবে নিজেকে পানিশূন্য মরুভুমির মধ্যে, যেখানে তুমি সম্পূর্ণই একা। তার বলা শেষ হলে ভাবলাম এ যুগে ভালোবাসা সেতো ভালোবাসা নয়। শুধু চাওয়া পাওয়ার হিসাব মেলানোর অভিনয়। এটা আবেগ নয় বাস্তবতা দিয়েই বলছি আর এসবের উত্তরতো আমার জানা নাই। এমন অসহায়ত্ব নিয়েও চাই ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

নিকোটিনের ধোঁয়া


কষ্টের একটুখানি দাগ, এক বিন্দু চোখের জল, ধুলোবালি মাখা আমার এই মন। আমায় চারিদিকে ঘিরে আছে নিকোটিনের আলোড়ন এখন। একটু টান একটু নেশা মনের মাঝে ঘিরে রাখা, তার না পাওয়া ভালোবাসার অতৃপ্তি। নিকোটিনের নেশায় এখন ভুলতে চাই তার স্মৃতি, ভাবি হয়তো নিকোটিনের ধোঁয়া উড়িয়ে নিবে আমার কষ্টগুলো। হারানোর কষ্টগুলো এই বুকে আঁকড়ে ধরে আমায় থাকতে হচ্ছে কেঁদে কেঁদে। হারিয়ে গেলো সে এই বুক থেকে, তাই নিকোটিনের কালোতে ছেয়ে গেছে বুক আজ। নিকোটিনের জমাট বাঁধা কালোয় ব্যাথা করে বুক কিন্তু তবু এই নিকোটিন ছাড়ে না আমায়, করেনা তার মতো প্রতারনা। অথচ তার আর এই নিকোটিনের মাঝে ছিল চরম সংঘর্ষ, শেষ অবধি নিকোটিনই জয়ী হলো। আজো সবসময় আছে এই মনে তবু মনে হয়ে যেন সে অচেনা মায়াবী। তাকে হারিয়ে চিনেছি আমি আসল এই আমাকে, যাকে ভুলার ক্ষণিক চেষ্টা নিকোটিনের শেষ টানে। কোন একদিন হয়তো নিভে যাওয়া সিগারেটের মতো আমিও নিভে যাবো, চলে যাবো অনেক অনেক দূরে তাকে আর সব ছেড়ে না ফেরার দেশে। ইচ্ছে করলেও কোনদিন আর ফিরে আসতে পারবো না, কিন্তু তার দেওয়া কষ্টগুলো বুকের পাশে সেই আগের মতোই রয়ে যাবে। শত চেষ্টা করেও যেটা ভোলা যায় না আর হয়তো কোনদিন পারবো ও না। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

Sunday, November 18, 2012

সে আর তার চোখ


অনেক বছরের সম্পর্ক আমাদের, কিন্তু এতদিনের মজবুত রিলেশানটা আরো সুদৃঢ় কি হতে পারতোনা? আমি মনে করি অবশ্যই পারতো, শুধু অভাব ছিল ইচ্ছে আর আন্তরিকতার। যার কারণে এমন একটি বিরল সম্পর্কও শেষ পর্যন্ত পথ হারালো নষ্টামির আঁধারে। অথচ এমন হওয়া উচিৎ ছিল যদি সে বলে ‘আমি তোমাকে ভালবাসিনা’ কিন্তু তার চোখ বলবে ‘আমি তোমার জন্য পাগল’। যদি সে বলে ‘আমি তোমাকে ছাড়া সুখে থাকবো’ কিন্তু তার চোখ বলবে ‘আমি তোমাকে ছাড়া কোথাও থাকতে পারবো না’। যদি বলে ‘আমাকে ভালোবাসার জন্য অনেকেই আছে’ আর তার চোখ বলবে ‘কিন্তু তোমার মতো করে কেউ ভালবাসবে না’। সে যদি আমাকে বলে অন্য কাউকে ভালবাসতে, তখন তার চোখ বলবে ‘কখনো আমাকে ছেড়ে যেও না’। যদি সে বলে ‘তুমি শুধুমাত্র একজন ভালো বন্ধু’ কিন্তু তার চোখ বলবে ‘আমি তোমাকে অন্য কারো হতে দেবো না’। যদি বলে ‘দূরে চলে যাও, সরে যাও’ আর তার চোখ বলবে ‘আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তুমি আমার সাথে থেকো’। যদি বলে ‘আমাকে চুমু দিও না’ তার চোখ বলবে ‘আমার কথা মেনে নিও না’। আর যদি সে বলে ‘অপেক্ষা করতে থাকো’ তার চোখ বলবে ‘চলো দুজন দুজনার হয়ে যাই’। এবং যদি সে বলে ‘আমি ঠিক বুঝতে পারছি না তোমাকে ভালোবাসি কিনা’ অথচ তার চোখ সুস্পষ্ট জানিয়ে দিবে ‘আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি’। প্রকৃত ভালোবাসা তো এমনই। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

Saturday, November 17, 2012

সেই কুঠির


আমার বড় ভালোবাসার পাত্রী সে, আমার আদরি, আমার বুকের বাঁ দিক জুড়ে এখনো ঘর বেঁধে আছে। ঠিক একবছর আগে হটাৎ একদিন আমাকে টাটা বাই বাই করে সেই যে আমাকে ফেলে চলে গেলো, ফেরাতে পারলাম না কিছুতেই। বুকের পাঁজরগুলো ভেঙ্গে যেতে চাইলো একে একে অসহ্য বেদনায়। চোখে করুন আকুতি নিয়ে তাকিয়েই ছিলাম শুধু, একবার আদরির ভুল ভাঙ্গানোর জন্য, কিন্তু ফিরেও তাকাল না আমার দিকে। সে আর তার বোন বলল যে আমার আদরি নাকি আর আমার নেই, কি করে বিশ্বাস করি নেই। তার কয়েকদিন আগেও তার সাথে কথা হওয়ার সময় বলেছিল, ‘সিগারেট বেশী খেও না, ঠাণ্ডা যেন না লাগে, তোমার সাইনাসের সমস্যা আছে’। আমি যখন ট্যুরে যেতাম তখন রোজ আমাকে ফোন করে আদরের আওয়াজ দিতো আর মনে করিয়ে দিতো সে আমার, আমি শুধুই তার। মাঝে দুষ্টুমির ইচ্ছে হলে আমাকে বলতো ‘আর কতো জ্বালাবি আমাকে’, কিংবা কথা বলতে একটু দেরি হলেই অভিমানে বকা দিতো আমায়। আজো আমি তার সেই আদরের আওয়াজ শুনি আমার মোবাইলে। মাঝে মাঝে আমি মরা হাসি হেসে ভাবি আমার আদরি আমাকে ফেলে একা একা ঘুরতে চলে গেলো। তাকে ফেরানোর জন্য তার বুকে মাথা রেখে ককিয়ে উঠলাম, আমার দুচোখ দিয়ে তখন অবিরাম ধারায় বয়ে চলেছে কান্না। কতবার বললাম আমি, সোনা আমাকে একা ফেলে যেওনা, আমাকে নিঃস্ব করোনা। আমার চোখ মুছে দিয়ে গেলো ঠিকই, কিন্তু রাখলো না আমার কথা। আজো আমার বুকের মাঝে তার কুঠির বাঁধা, না, তার সেই ভালোবাসার কুঠির আমি ভাঙ্গার চেষ্টা করিনি কখনো। আমি কিছুতেই সেই কুঠির ভাঙতে পারবোনা। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Friday, November 16, 2012

আমি দেখেছি


প্রেম ভালোবাসা আমাকে কখনোই টানতো না, কারো মিষ্টি কথা আমার উপর কোন প্রভাব ফেলতো না। বরাবরই এই ব্যাপারটাকে উপেক্ষা করে আসছিলাম আমি। তারপরও তোমাকে ভালবেসেছিলাম কারন তোমাকে কোন প্রভাব ফেলতো না, তারপরও তোমাকে ভালবেসেছিলাম কারন তোমাকে আর সবার মতো মনে হয় নাই আমার। তোমাকে special একজন মনে করেছিলাম, আলাদা কিছু স্বাতন্ত্র্য লক্ষ্য করেছিলাম তোমার মধ্যে। আমি দেখেছি আমার জন্য তোমার মনে সীমাহীন ভালোবাসা, দয়া, করুনা, মায়া-মমতা। আমার খুশীতে তোমাকে খুশী হতে দেখেছি, আমার কষ্টে তোমাকে কষ্ট পেতে দেখেছি। আমার সমস্যায় তোমাকে বিচলিত হতে দেখেছি, আমার দুঃসময়ে তোমাকে উৎকণ্ঠিত হতে দেখেছি। আমার জন্য অধীর আগ্রহে তোমাকে অপেক্ষা করতে দেখেছি, কাছে পেয়ে তোমার চোখে খুশির ঝলক দেখেছি। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এগুলো সব বিলীন হয়ে যেতেও দেখেছি, আমার প্রতি তোমার নিদারুণ অবহেলা অনুভব করেছি দিনের পর দিন। তোমার কাছে বারবার আকুতি জানিয়েও প্রত্যাখাত হয়েছি। দিনে দিনে তোমার কাছে হয়ে গেছি বোঝা, বেড়েছে আমার দীর্ঘশ্বাস। অনিচ্ছাসত্ত্বেও তোমার কাছে আমি হয়ে উঠলাম পথের কাঁটা। যাকে ভালোবাসি তার কাছে বোঝা হয়ে থাকার চেয়ে বড় pain এই পৃথিবীতে বুঝি আর নেই। তাই কতগুলো অনাখাঙ্কিত ঘটনার পর তোমার জীবন থেকে সরে গিয়ে তোমাকে মুক্তি দিলাম অবশেষে, যার জন্য তুমি ছটফট করছিলে দিনরাত। না আদরি আমি ভালো নেই তুমি ছাড়া, ভালো থাকতে আমি পারিনা। আমার এই অসহ্য কষ্টগুলো তোমাকে বলতেও পারছি না, কিন্তু তোমাকে ফিরে পাওয়ার আকুতিও করি না। কারন এই তোমাকে আমি কোনদিনই আমি চাইনি, তুমি আর কখনো সেই তুমি হতে পারবেনা। জানিনা আমাকে ছাড়া কেমন কাটছে তোমার দিনগুলো, তবে যতটুকু জানি তুমি বেশ ভালোই আছো আমাকে ছাড়া। হয়তো একটু কষ্ট সেইদিন তুমিও পাবে, যেদিন বুঝতে পারবে তুমি এমন একজনকে হারিয়েছো যে তোমাকে সত্যিই অন্তরের গভীর থেকে ভালবেসেছিল। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

Thursday, November 15, 2012

প্রয়োজন মেটাতে


আসছে সেই ২৪শে ডিসেম্বর, আমার জীবনের সবচাইতে কালো দিন। গত বছর এইদিনকে ঘিরে তোমারও এমন মন্তব্য ছিল। খুব সহজ ভাবে বলে ফেলতে পেরেছিলে আমাকে সরে যেতে। মনে পড়ে তোমার? দিনটি খুব সম্ভবত শনিবার ছিল। তার আগের দিন তোমার সাথে আমার তুমুল ঝগড়া হয় তোমার নবগঠিত সম্পর্ক নিয়ে। যদিও তুমি মুখে সব অস্বীকার করেছিলে, তোমার নাম্বার সে জানেনা, তোমার সাথে তার কোনদিন কথা হয়নি। এমনও বলেছিলে তুমি এতোটা নিচে নামোনি যে তুমি তার সাথে যোগাযোগ করবে ফেবু ছাড়া। অথচ তোমার মোবাইলে তুমি তার নাম্বার সেভ করেছিলে খুব সযতনে। কারো বুঝার উপায় নেই তোমার মোবাইল পেলেও। যাইহোক সে সম্পর্কে নতুন করে আমার বলার কিছুই নেই আজ। খুব আশ্চর্য লাগে কিভাবে পারো তোমরা এমন করতে! ঠোঁটে রাখবে একজনকে আবার মনের আঙ্গিনায় খেলতে দিবে আরেকজনকে। আমি জানতাম তুমি একদিন না একদিন আমার সাথে এমন ধংসাত্মক আচরণ করবে। কারণ তোমার মন ব্যভিচারি স্বভাবের, সেটাকে নিয়ন্ত্রন করার কোন ইচ্ছেই তোমার ছিল না। আজ আমার বলতে ইচ্ছে করছে আসলেই তুমি আমার কাছে এসেছিলে তোমার প্রয়োজন মেটাতে, যেটাকে বলা যায় আপদকালিন সময়ের জন্য। হ্যাঁ দিয়েছিলে অনেক আমাকে অস্বীকার করতে পারবো না কখনোই। আবারো বলছি সেই অতীতের মতোই, আমার মতো নষ্ট এক মানুষের যা পাওয়ার কথা ছিলোনা তার সবটুকুই তো বটেই বরং অনেক অনেক বেশী প্রাপ্তি ছিল আমার। আমাকে ঘিরে মেয়েদের ভিড় না থাকলেও তোমাকে ঘিরে পুরুষদের ভিড় সবসময়ই ছিল। তবে আমার একটা দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে তুমি কখনোই এই ভিড়ের প্রলোভনে পড়বে না। কিন্তু না সবই ভুল, সব ভুল প্রমানিত করে আমার এই বিশ্বাস ভাঙতে তোমার একটুও বুক কাপেনি। বরং দিনের পর দিন তুমি আমার সাথে ঝগড়ার মাধ্যমে তোমার বিপরীতমুখী অবস্থান সুদৃঢ় করেছো। আমার কোনকিছুই আটকাতে পারলো না তোমাকে। সব সীমানা অতিক্রম করে রেকর্ড করে দিলে মিথ্যাচারের ইতিহাসে। আমি হারালাম একে একে আমার সব অর্জন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পৃথিবী হারিয়ে গেলো আমার কাছ থেকে। আমার সব চেষ্টা ব্যর্থ করার মাধ্যমে তুমি সফল হয়েছ অবশেষে। আমি আজও মাঝে মাঝে বিশ্বাস করতে পারিনা যে সেই তুমি আমার সাথে এমন নিষ্ঠুর আচরণ করতে পেরেছো। এবার নিশ্চয়ই সেই দিনটি খুব ঘটা করে পালন করবে তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী(!) আর নতুন সাথীদের নিয়ে। তবুও ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

মনের পরিবেশ


মিথ্যে করে নিজের মাঝে সুখ খোঁজা যে কতোটা কষ্টের তা শুধু কৃত্রিমতায় সুখ খোঁজা মানুষগুলোই জানে। আর আমি ঠিক তেমনই নিজের মাঝে কৃত্রিমতার সুখ খুঁজি চলেছি এখন। তবে সেটা নিজেকে সুখী করার জন্য নয় মোটেও, বরং নিজের হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নগুলোকে ভুলে থাকার এক আপ্রাণ চেষ্টা মাত্র। আমি জানি আমার হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন আর ফিরিয়ে দিতে পারবে না কেউ, যেমন হারিয়ে যাওয়া নিঃশ্বাসের মতোই স্বপ্ন আর আশাগুলো হারিয়ে গেছে। হ্যাঁ, চিরতরেই হারিয়ে গেছে। স্বপ্নগুলো আজ বাসি হয়ে আঘাত নামক ডাস্টবিনের পাশে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে, পচা দুর্গন্ধে মনের পরিবেশ নষ্ট করে চলেছে অনবরত। কিন্তু কেন এমন কাউকে বিশ্বাসের মূল্য এভাবে পেতে হয়? কাউকে মন থেকে ভালোবেসে বিনিময়ে এই অর্জন করা যায় শেষ পর্যন্ত? তার চাইতে এটাই ভালো ছিল সবার মতো মিথ্যে ভালোবাসায় জড়িয়ে সব কেড়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া। কি অদ্ভুত যাকে নিয়ে মানুষ রঙিন স্বপ্ন বুনে সেই মানুষটাই স্বপ্নগুলোকে নিজ হাতে ভেঙ্গে দিয়ে কষ্টের সাগরে ভাসিয়ে সরে যায়। আর যদি তার ইচ্ছেমতো সেই চলে যাওয়ায় বিঘ্ন ঘটে তবে নোংরামির চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া করে বসে। যাকে নিয়ে আমার মনের ঘরে সুখের বৃষ্টি হতো কোন এক সময়, আজ তার কথা ভেবেই মনের দেয়াল বেয়ে কিছু কষ্ট ঝরে পড়ে। তবুও যে কেন ঘৃণা করতে পারিনা তাকে, কেন যে আজও এই বেঈমানটার জন্য আমার চোখের কোনে অশ্রু জমে? সেতো আগের মতো নাই, নাম পরিবর্তন করে দ্বারে দ্বারে ভালোবাসা আর সুখের খোঁজে আবারো মাতোয়ারা সে। সে কি আসলেই জানে বা বোঝে কোন ধরণের ভালোবাসা সে চায় বা কতটা সুখ সে চায় আর কেমনই বা হবে তার সেই ভালোবাসা আর সুখের সংজ্ঞা? হয়তো সে নিজেই জানে না। তবু ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা......

Wednesday, November 14, 2012

অবৈধ স্বাধীনতা


আজ তুমি হয়তো অন্য কারো, তার বুকে মাথা রেখে সুখের স্বপ্নের কথা ভাবছো। কাছে না থাকলেও ফোনে সব কিছুই ভাগ করে নিচ্ছ। আর আমি তোমার আর আমার ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নগুলোকে বুকের মাঝে পুষছি কারণ আমি এখনও পারিনি তোমার মতো করে ভুলে যেতে আমাদের স্বপ্নগুলো। পারিনি ভুলে যেতে তুমি নামের সেই অতীতটাকে, জানিনা আদৌ কোনোদিন পারবো নাকি। এখনও তোমার কথা ভাবতে গেলে বুকের মাঝে যন্ত্রণা কাঁটার মতো বিঁধে, এক সীমাহীন অজানা কষ্ট আমাকে কিছুটা সময়ের জন্য নীরব করে দেয়। তবুও চাই শান্তিতে থাকো তুমি তার সাথে যাকে তুমি এতো কিছুর পরেও আঁকড়ে ধরে আছো। যদিও আমি সন্দিহান আসলে ঠিক কতটা দিন পারবে তুমি চালিয়ে যেতে। আমার এই সন্দেহের পিছনে কাদের সক্রিয় ভুমিকা সেটা নিশ্চয়ই তোমার ভালো করেই জানা। তোমার মতো মিথ্যে করে অন্য কাউকে নাইবা বললাম ভালোবাসি তোমায়। আর তোমার এমন করে বলাতো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তাইনা? যেদিন উপর মহল থেকে ইশারা আসবে সেদিনই তো তুমি নিমিশেই চোখ উল্টিয়ে ফেলতে বিন্দুমাত্রও দ্বিধাবোধ করবে না, বরং আবার নবউদ্যমে আর সোৎসাহে লেগে পড়বে তোমাদের কথিত সেই ‘অবৈধ স্বাধীনতা’র ব্যবহারে। তুমিতো সেই উপর মহলের হুকুমের খাঁটি দাসী। তাই আবার নেমে পড়বে আরেক নতুনকে আহ্বানে এবং আবারো সেই ভালোবাসি তোমায় কথাটির অপব্যবহার। তোমার কি আসলেই নৈতিকতা বলতে কিছু বিদ্যমান আছে? থাকলেও এগুলো বিসর্জন দিয়ে নিজেকে নিতান্ত সহজলভ্য করে কারো কাছে বিলিয়ে দিতে তোমার বিবেকে একটুও বাধে না। আর তোমার কাছে এগুলোই তো বাস্তবতা(!)। তবে হয়তো তোমার এমন বাস্তবতার কারণে জনে জনে ঘুরে কেটে যাবে জীবন, স্থায়ী হতে পারবেনা কারোই জীবনে। চাইনা আমি এমন তথাকথিত বাস্তবতা। যে বাস্তবতায় নিজের সবই ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে নিজেকে parvert এর সমতুল্য মনে হয় তবে আমি ঘৃণাভরে তা প্রত্যাখান করি। তার চাইতে এভাবে না পাওয়ার বেদনা নিয়ে পৃথিবী থেকে নিজেকে বঞ্চিত করাই অনেক শ্রেয় মনে করি আমি। ধিক এমন স্বাধীনতা ভরা বাস্তবতা। 

একাকীত্বে ভরপুর


যখন তোমায় নিয়ে ভাবতে বসি তখন আমার পৃথিবীটা যেন সেখানেই থমকে যায়। মনে একটা প্রশ্ন জাগে তুমি কি সেই তুমি যার জন্য আমার অস্তিত্ব বিলীন করে দিতেও দ্বিধা করিনি আমি? ভাবতেই অবাক লাগে কি পেয়েছ তুমি আমায় এভাবে অবিরাম কষ্টের সাগরে ভাসিয়ে? হয়তো অনেক কিছুই নয়তো কিছুই নয়। আচ্ছা আদরি, বলতো তুমি কি পারবে অন্য কাউকে খুশী করতে? মনে হয় পারবে, তা না হলে কি আমার হাতটি ছেড়ে দিলে অন্য হাত ধরবে বলে। তা না হলে কি আমায় বলতে পারলে ‘তুমি আমার জীবন থেকে সরে যাও’, তাও একবার নয় এক সঙ্গে কয়েকবার। জানো তুমি চলে যাওয়ার পর এখন সব কিছুই অচেনা মনে হয়। কাউকেই আর সহজে বিশ্বাস করতে পারি না, হাসতেও পারি না আগের মতো। নীরবতা আর একাকীত্বে ভরপুর আমার এই জীবন। কারো সাথেই কোন ধরণের অনুভুতি শেয়ার করতে পারিনা, পারিনা মনের কথাগুলো প্রকাশ করতে। কে বুঝবে আমার অনুভুতি বলো যেখানে তুমিই বুঝলে না। চারপাশটা এখন শুন্য ভুমি ছাড়া আর কিছুই মনে হয়না। তোমার স্মৃতিগুলো প্রতিনিয়তই আমার মনের কোনে ভিড় করে আমাকে অশ্রুসিক্ত করে দেয়। তবে ভেবো না হয়তো আর বেশীদিন তোমার জন্য কান্না করতে হবেনা। কারণ খুব কাছ থেকেই দেখছি কিভাবে জীবন প্রদীপ নিভে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। সত্যিই খুব মিস করছি, করবো তোমায়। আচ্ছা একটা কথা বলবে কিভাবে এতো তাড়াতাড়ি স্মৃতির পাতা থেকে তোমার অতীতকে মুছে ফেলতে পেরেছো তুমি? এতোটা স্বার্থপর কিভাবে হয়ে গেলে সেই তুমি? ও বিরক্ত হচ্ছ, আচ্ছা বিরক্ত করবো না আর। ভালো থেকো, ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Tuesday, November 13, 2012

আমার আমিটা


আজকাল রাত নামলেই বুকের ভেতর কেবল পাড় ভাঙ্গার শব্দ শুনি, নদীর যেমন পাড় ভাঙ্গে তেমনি অবিরাম ভাঙ্গন এই হৃদয়ে। নিত্যদিন শুধু ভেঙ্গেই চলেছে, নিজেকে খুব ভয় লাগে ইদানিং। আজকাল আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজেকে চিনতে পারিনা, বড্ড অপরিচিত লাগে নিজেকে। যেন এই আমির সাথে আমার আমির কোন কালেই দেখা হয়নি। এই আমি আর আমার আমির মাঝে যে অনেক বেশী তফাৎ। এই আমির সাথে আমার আমিটার প্রতি মুহূর্তে চলছে ভয়ানক যুদ্ধ। এই আমিটা হাসতে জানেনা আর আমার আমিটা বাঁচতে জানতো। এই আমির হার প্রতি পদে পদে আর আমার আমিটা হারতে জানতো না কিছুতেই। এই আমিটার আত্মবিশ্বাসের বড় অভাব আর আমার আমিটার ছিল বিশ্ব জয়ের সাহস। এই আমিটার কিছুই অবশিষ্ট নেই আর আমার আমিটার সব আবর্তিত ছিল শুধু তোমাকে ঘিরেই। এই আমিটা আমার আমির হিংস্র ঘাতক সেজেছে এখন। জীবন থেকে চলে গেছে অনেক বছর। কতো কিছু করার কথা ছিলো, কতো কিছুই করা হয়নি, কতো কিছু করা হবে না আর তার কি ইয়ত্তা আছে। জীবনের অঙ্ক করতে বসলে ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী হবে তা আমি নিশ্চিত, তাই আজ আর সেই হিসাব নাই করলাম। অথচ সব কিছুতে সাফল্য চেয়েছিলাম তোমাকে সাথে নিয়ে। সকল আশা আকাঙ্খা আর বাসনার ঊর্ধ্বে কেবল একটাই প্রার্থনা করি আমার আমিকে যেন আবার ফিরে পাই আমি। যেই আমিটা হারিয়ে গেছে অথবা মারা গেছে। কিছু পিছুটান পিছু ছাড়ছে না তাই আমারও পালিয়ে যাওয়া হয়ে উঠছে না। তবে হারিয়ে যাওয়াটা খুব জরুরী, আমার আমিকে ফিরিয়ে আনার জন্যই আমাকে হারাতে হবে। জরুরী ভিত্তিতে খুব তাড়াতাড়ি.........। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

Sunday, November 11, 2012

নিত্য লেনাদেনা


এখন আমি তোমার ভালোবাসার মানুষটি না থাকতে পারি কিন্তু তোমাকে পাগলের মতো ভালবাসতাম। তোমার প্রতি একটা অন্ধ বিশ্বাস ছিল। সেটা হলো তুমি শুধুই আমাকে ভালোবাসো এবং সারাটা জীবন আমাকেই ভালবাসবে। তুমিও নিজ মুখে তাই বলেছিলে। এমনও বলেছিলে আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠার পিছনে সৃষ্টিকর্তার ইশারা ছিলো। আর এই আমি যদি তোমাকে ছেড়ে দূরে চলে যাই তবে তোমার জীবন চালিয়ে নিতে অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে তোমার পক্ষে। সেই তুমি নিজেই চলে গেছো নতুন একজনকে দালালের মাধ্যমে পেয়ে। খুব সহজেই পার করতে পারছো তোমার আনন্দের দিন গুলো। যাকে ঘিরে এতো ঘটনার উৎপত্তি তার সাথে আরো বেশী ঘনিষ্ঠভাবে নিত্য লেনাদেনা তোমার অকাতরে। দিনের পর দিন প্রতারণা করে গেছো আমার অগোচরে। আজ আমার বিশ্বাস ভালোবাসা এসবের কিছুই নেই। একদিক দিয়ে হিসাব করলে জয়টা আমারই হয়েছে। কারণ আমি একটা বিশ্বাসঘাতককে হারিয়েছি। বোধহয় তুমি আমাকে ভালোবাসোনি কোনদিন, শুধু ভালোবাসার অভিনয় করেছো আমার সাথে তোমার পোশাকি প্রেমের দ্বারা। কারণ তুমি যদি দুইজন মানুষকে ভালবাসো তবে তোমার প্রকৃত ভালোবাসা দ্বিতীয় জনকেই। কেননা তুমি যদি প্রথম জনকে সত্যিকার ভালোবাসতে তবে দ্বিতীয় জনের প্রেমে কোনদিনই পড়তে না। যদি তোমার মানসিকতা তেমন না হয়। তবে তুমি হারিয়েছ এমন একজনকে যে তোমাকে তার জীবনের থেকে বেশী ভালোবেসেছিল এবং তোমাকে সুখী রাখার জন্য নিজের সব হারাতে প্রস্তুত ছিল। আজও সে হারিয়েছে সব তবে তা তুমি চলে যাওয়ার কারণে। তবু সুখটা(?) যেন তোমারই থাকে। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Saturday, November 10, 2012

আমি ভুলে যাই


আদরি, কাউকে কাছে পেয়ে হারানোর কষ্ট কতোটুকু তা শুধু সেই মানুষগুলোই জানে যার জীবন থেকে এমন কেউ হারিয়ে গেছে। আর আমি সেই কষ্টটাকে খুব কাছে থেকে দেখেছি। কিন্তু তুমি জানো আমি সেই কষ্টকে ভুলে যাই, হ্যাঁ তোমার চলে যাওয়ার কষ্টটাকে আমি ভুলে যাই যখন আমার মনে পড়ে যায় তোমার মিথ্যা ভালোবাসার কথাগুলো। যেভাবে মিথ্যাচার আর কলুষিত হয়ে চলে গেছো তাতে আমার নিজেরই গ্লানি লাগে। মানুষ হটাৎ করে এতো নিচুপ্রকৃতির কাজ কিভাবে করে! সত্যিই বলছি নিজেকে বোঝানোর মতো একটি কথাও আমার থাকে না। আমি হতভম্ব হই এইভেবে এমন উচ্চশিক্ষিত মানুষগুলোর এতো দ্রুত অধঃপতন হয় কিভাবে! কিভাবে এরা নিজেকে এতো সস্তা করে তুলতে পারে অল্পসময়ের ব্যবধানে! আমি যেন ভাষা হারিয়ে ফেলি কিছু সময়ের জন্য। শুধু জানতে ইচ্ছে জাগে, কি পেয়েছ তুমি? সেই নতুনের কাছে আসলেই তোমার অবস্থান কতোটুকু? জানতে ইচ্ছে জাগে এই মন ভাঙার খেলাতে কি পাওয়া যায়? আমি চাই না কেউ তোমাকে মিথ্যা অভিনয়ে কষ্ট দিক, কারণ এই কষ্টগুলোকে এখন পর্যন্ত খুব কাছে থেকে দেখছি। এর তীব্রতা যে এতোটা ভয়ঙ্কর তা এখনও তুমি জানো না। তাই চাই না কেউ তোমাকে এমন একটা যন্ত্রণা দিয়ে যাক। তবে তোমার জন্য একটা অনুরোধ কাউকে অভিনয় করে নয় মন থেকে একবার ভালোবেসে দেখো, হয়তো বুঝবে ভালোবাসা কাউকে ঠকানো নয়, কাউকে মিথ্যা আশ্বাস দেয়া নয়। ভালোবাসা কাউকে কিছু উজাড় করে দেয়া, ভালোবাসা কারো মনকে স্পর্শ করে যাওয়া। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা............। 

Thursday, November 8, 2012

নষ্টদের মাঝে


জানি, শুনে অনেক কষ্ট পেয়েছে বাবা-মা, তাঁদের আদরের সন্তান হয়ে আমি ফিরে গেছি একদল নষ্টদের মাঝে। দিনে দিনে বেড়েছে তাঁদের দুঃখ, কষ্ট আর বেদনা। তবে আমি যে একেবারে নষ্ট হয়ে যাইনি এটাই তাঁদের সান্ত্বনা। নিজ চোখে না দেখে আমার বোন কিছুতেই একথা বিশ্বাস করতে পারেনি, তাই দেখার জন্য হাজার হাজার মাইল দূর থেকে ছুটে এসে দেখলো তার অতি প্রিয় আদরের ভাইটির দুর্দশা। সবকিছু জানার পর শুধু একজন সব বিশ্বাস করে। সে আমার কথিত প্রেমিকা, সর্বনাশা এ জীবন বেছে নিতে সবচেয়ে বড়ো ভুমিকা যার। তাকে সব উপহার দিয়েছিলাম যার জন্য আজ জীবনের উপসংহার আমার। তবু তার নাম বলতে পারিনি কাউকে, শুধু যারা তাকে চেনে তারা ছাড়া। আশ্চর্য এক মায়াজালে আমাকে বন্দী করে দিনের পর দিন কি সুন্দর অভিনয় করে গেলো! এখন আবার নতুন নাম ধারন করে আরেকজনের সাথে অভিনয়ে লিপ্ত। যদি তার মনে সত্যিকারের কোন ভালোবাসা নামক অনুভুতির অস্তিত্ব থেকে থাকে তবে একদিন সে বলবে, “তুমি ফিরে আসো আবার আমার মাঝে। আমায় বন্দী করো তোমার বাহুডোরে”। আমি তখন বলবো, তুমি বুঝলে অনেক দেরি করে। সে বলবে, “তুমি ফিরে আসো তোমার এই ঘৃণিত জীবন থেকে নয়তো আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না”। আমি স্পষ্টভাবে বলে দিবো, তা হয়না; তা আর সম্ভব না। আজ আমি নিঃস্ব তোমাকে কিছুই দিতে পারবো না। সে বলবে “আমার শুধু তোমাকেই চাই, আর কিছুই চাইনা”। আমি বলবো, আমার ফিরে আসার ইচ্ছেও নাই। আমি নষ্টদের মাঝেই থেকে যাবো, তাতে আমার কোন অনুতাপ নেই। নষ্টদের মাঝে জীবনটা ভালোই করছি উপভোগ। নষ্টদেরকে আমার খুব ভালো লাগে কারণ তারা কারো উপর প্রতিশোধ নেয় না, প্রয়োজনে নিজেরাই কষ্ট দেয় নিজেদেরকে। তারা তোমাদের মতো ভালোর মুখোশের আড়ালে নষ্টামি করতে জানেনা। তাই আমাকে ফেরানোর চেষ্টা ব্যর্থ হবে। আমি আছি এবং থাকতে চাই এই একদল নষ্টদের মাঝে। এ জীবনে চাইনা আর কোনকিছুই, চাইনা তোমাকে। কারণ আমার সেই ‘তুমি’ মারা গেছে গতবছরের শেষ দিকে, এখন যে আছে সে নতুন নামধারী এক ছলনাময়ী। যার পক্ষে সবই সম্ভব। তাই শুধু একটা অনুরোধ, এই একদল নষ্টদের মাঝে নিজের মতো করে বেঁচে থাকতে দাও আমাকে। যদিও আমি জানি এতো সহজে সে আসবে না, ঘুরেফিরে চরম একটা ধাক্কা না খাওয়া পর্যন্ত তার ভুল ভাঙবে না। তবু ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা। 

এসেছিলো কেন

আমি জীবনে কোনদিন কাউকে ভালবাসিনি, তবে একজনকে ভালোবাসলাম। বলা যায় তার কাছে থেকে অজান্তে ভালোবাসার যে অনুভব বা আবেগ আছে সেই জিনিষকে শিখেছি। কিন্তু সেই আবার আমাকে একা করে দিলো। এমনটাই যখন হবার ছিলো তবে ও আমার জীবনে এসেছিলো কেন? যখন আমাকে এতোই অবিশ্বাস তবে এতো কাছে নিলো কেন? জীবনে বড় হওয়া তার কাছে এখন অনেক বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে, এটা বোধহয় সবারই ইচ্ছা থাকে। সে তার জীবনকে যেভাবে গড়ে তোলা উচিত সেই সব কাজ করছে তাতে আমি অখুশি নই। ও যখন যা চেয়েছে সব পেয়েছে। কিন্তু, আমিতো শুধুই তাকে চেয়েছিলাম সে তাকে না দিয়ে বরং আমায় জীবন্ত লাশ করে গেলো কেন? সে খুব সংগ্রাম করছে, তার জীবনকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করছে। কিন্তু আমি কেন পারছি না? তার সব কথা যে আজো আমার কানে বাজে। সে যেমন আমাকে ভুলে তার নিজের কাজে মন দিতে পারছে, আমি কোন পারছি না? কি করে আমি এক নিমেষে সব আশা হারিয়ে ফেললাম? তার এখন আমার জন্য সময় নেই জানি, হয়তো একদিন ভুলে যাবে আমাকে। আমাকে ভুলার জন্য সে এখন অন্য একজনকে নিয়ে মত্ত। কিন্তু আমি তাকে কিভাবে ভুলবো? তাই তাকে অনুরোধ করে বলতে ইচ্ছে করে, আমাকে তোমার মতো করে দাওনা প্লিজ.........। তবু ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Wednesday, November 7, 2012

একটাই কারণ


রাতকে রাত মনে করিনি, দিনকেও দিন মনে করিনি আমি কখনোই। ২৪টা ঘণ্টাই তোমার ঘোরে জীবন অতিবাহিত করেছি। এতো কিছু করার একটাই মাত্র কারণ ছিল, সে আর কিছু নয় তোমাকে কাছে পাবার আকাঙ্খা। কিন্তু এখন ইচ্ছে করলেও সে আশা করতে পারিনা। কারণ তোমাকে পাবার আশা এখন রূপ নিয়েছে হতাশায়। বিশ্বাস করো যা কিছু হলো আমি এইরকম কিছু চাইনি, চেয়েছিলাম শুধু তোমার ঐ গাল দুটোতে এক চিলতে হাসি। যা বন্ধ না করতে বারবার তোমাকে বলতাম, মনে পড়ে তোমার? তুমি যদি আমার দুঃখগুলোকে হৃদয় দিয়ে স্পর্শ করতে তাহলে বুঝতে কতোটা যন্ত্রণার পাহাড় এই বুকে নিয়ে আমি বেঁচে আছি। সেদিন তোমার বুকে মাথা রেখে আমার কান্নাকে তুমি অগ্রাহ্য করলেও এখন আমার জলে ভেজা চোখে যদি চোখ রাখতে তাহলে নিজের সুখের নিরবচ্ছিন্ন দ্বীপের জলমগ্নতা ভুলে যেতে হয়তো। হয়তো থেমে যেতো তোমার আনন্দ উল্লাস... তুমি নিথর, নিস্তব্ধ হয়ে ভালোবাসার আবেশে এই পাহাড়টাকে জড়িয়ে ধরে রাখতে। হ্যাঁ, আজ আমি যা চেয়েছি তাই হয়েছে। কিন্তু আমার প্রতি তোমার কতোটুকু চাওয়া ছিল তা আজও আমার বোধগম্য নয়। হ্যাঁ তোমাকে আমি নিকৃষ্ট বলছিনা। আমি শুধু জানতে চাই মানুষ এতোটা নিকৃষ্ট হয় কি করে??? তবু ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Tuesday, November 6, 2012

সাগরের কাছে


খুব ইচ্ছে করছিলো একটু সাগরের কাছে থাকি, তবে প্রকৃতির সাথে থাকার মানসে নয়। মনের মতো একটা আস্তানা আর সঙ্গী পাওয়া না গেলে তো পৃথিবীর কোনকিছুই সুন্দর আর আনন্দ লাগেনা। এলাম দুর্নিবার টানে সেই সাগরের এদিকটায় যেখানে তোমার সাথে কোন স্মৃতি নেই। একটু আগেও মনটা কেমন জানি ছিলো, খোলা আকাশ দেখছিলাম। ভালোই লাগছিলো, হটাৎ করেই বর্তমান থেকে কিছু স্মৃতি আমাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেলো সেই অতীতের সময়ে। মেইক আপ করার আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও ব্রেক আপ ঠেকাতে ব্যর্থতা। দিনের পর দিন আমাকে চরম অবহেলা করে দূরে সরিয়ে তোমার আরেকজনকে কাছে টেনে নেয়া।  আমার এতো বিশ্বাস ভাঙার পরেও তোমার অস্বীকার, একে একে সব। চেষ্টা করেও মন ভালো রাখতে পারলাম না আর। ফেরাতে পারিনি চোখের কোণের অশ্রু ফোঁটা, পরাজয় মেনে নিলাম মনের হাজার প্রশ্নের কাছে। তাই কাঁদতে দিলাম, কাঁদলে নাকি মনের বিষণ্ণতা কেটে যায়। কিন্তু আমি মনে করি ভুল, কাটেনি মনের বিষণ্ণতা আমার। আমি কেঁদেছি, সেই পুরনো কিছু স্মৃতি আমাকে কাঁদিয়েছে। কি অদ্ভুত আজ তুমি নেই আমার কাছে, একই শহরে থেকেও আমার থেকে সহস্র মাইল দূরে তুমি, কিন্তু তোমার স্মৃতিগুলো আমাকে অনেক ভালোবেসে কাঁদায়। সত্যিই আজ আমার নিজের কাছেই প্রশ্ন জাগে আর কতবার আমি পরাজিত হবো তোমার স্মৃতিগুলোর কাছে? কেনইবা আমি একা পরাজিত হবো?? তবু চাই ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

Saturday, November 3, 2012

ছেলেরা আর মেয়েরা


ছেলেরা মেয়েদের চাইতেও বেশী আবেগপ্রবণ হয় যদি সে সত্যিকার কাউকে ভালবাসে। একটা ছেলে সারাদিন অনেক মেয়ের সাথে কথা বলতে পারে কিন্তু দিনের শেষে যখন সে ঘুমাতে যায় তখন তার মনের মানুষের কথাই ভাবে। ভালোবাসার মানুষের একটু হাসির জন্য অনেক কিছুই করতে পারে। ছেলেরা সব সময়ই চায় তার ভালোবাসার মানুষ শুধু তার সাথেই সারাক্ষন কথা বলুক। যদি ছেলেটা কখনো তার সমস্যার কথা বলে তার মানে শুধু এটাই যে, সে চায় তার ভালোবাসার মানুষ তার কথা শুনুক। কোন উপদেশ বা অন্য কিছুর জন্য নয়। ছেলেরা আসলেই অনেক বেশী আবেগপ্রবণ যতটা না কেউ ভাবে। শুধুমাত্র মেয়েরাই ছেলেদের একমাত্র দুর্বলতা। ছেলেটি যদি বলে আমাকে একটু একা থাকতে দাও এর মানে হচ্ছে মেয়েটি যেন তাকে ছেড়ে না যায়, কাছেই থাকে। এটা ঠিক ছেলেরা হয়তো নিজের সব ভুল নিজেরা দেখতে পারেনা, হয়তো একটু একগুয়ে হয়। কিন্তু একজনের কাছে সে নিজের সব ভুল মাথা নুইয়ে স্বীকার করে নিবে যাকে সে ভালবাসে। ছেলেরা কখনোই পিছন থেকে ছুরি বসিয়ে দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেনা অন্তত যাকে ভালবাসে তার সাথে। কখনোই আরেকজনের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরেও ভালোবাসার মানুষের সাথে মিথ্যে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রতারনা করে যায় না দিনের পর দিন। যে কারণটির জন্য একজন মানুষের কাছে পুরা পৃথিবীটাই মুহূর্তেই অচেনা আর বিষময় হয়ে উঠে। তারপরেও ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।

তখন বুঝবো আমি


অনেক হাঁটার পর যখন আমি দেখবো আমার পেছনের রাস্তা আর দেখা যাচ্ছেনা তখন বুঝবো আমি পথ অতিক্রম করেছি। অনেক ভালোবাসার পর যখন আমি দেখবো আমার জন্য কারো চোখ থেকে এক বিন্দু অশ্রু ঝরে পড়েছে তখন বুঝবো আমি কাউকে ভালোবাসতে পেরেছি। অনেক বাঁধা পার হওয়ার পর যখন আমি যখন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো তখন বুঝবো আমি সফল হয়েছি, যদিও আমার নিজেরই সন্দেহ হয় এতো স্মৃতির বাঁধা আমি অতিক্রম করতে পারবো কিনা। অনেক জম্মের পর আবার যখন জম্ম নিয়ে আমি তোমাকেই আবার ভালবাসবো তখন বুঝবো আমি তোমাকেই ভালবেসেছি। এটা আমি তোমার কাছে প্রকাশও করেছি যে আবার জম্ম নেওয়ার ইচ্ছে আমার শুধু তোমাকেই ভালোবাসার জন্য, নয়তো আমি আর পুনঃজম্ম চাইনা। কিন্তু তুমি হেসে উড়িয়ে দিতে বড় অবজ্ঞা ভরে আমার এই ইচ্ছেকে। হয়তো আজ নয় আগামীকাল নয়তো পরেরদিন বা কোন একসময় আমার শুন্যতা অনুভব করলেও করতে পারো, তখন কি পড়বে মনে যে নিজের থেকেও তোমাকে কেউ ভালোবেসেছিল। শত অপমান সহ্য করে তোমার কাছেই পড়ে ছিলাম। গতবছর ঠিক এই সময় থেকেই শুরু হয়েছিলো আমার ভালোবাসাকে অবহেলা করার নিষ্ঠুর খেলা তোমার। অনেক কাঁদিয়েছ তুমি তবুও হাসতে চেয়েছি শুধু ভালোবাসি বলে, অনেক ভুল করেছো তুমি তবুও ভুল ভাবিনি শুধু ভালোবাসি বলে। ভালো থাকো আমার ভালোবাসা......

Friday, November 2, 2012

ইচ্ছে হয় না


আজ ঘুমের মধ্যে কাকে যেন অনুভব করলাম। মনে হলো সেটা তুমি, আমার আদরি। তোমার মিষ্টি কণ্ঠ আমার চিরচেনা হয়েও আজ অপরিচিত। স্বেচ্ছায় এসে নিজেই পালিয়ে গেলে। কান্নার মাঝে ছিলাম আমি, সেই কান্নার প্রহরেই ফেলে গেলে আমায়। আমার প্রতি তুমি বিশ্বাস হারিয়েছ, কিন্তু কোন সুনির্দিষ্ট কারণ দেখাতে পারোনি। তুমি যখন বললে, এটা বিশ্বাসের হলে বলতাম। উফ কোনদিন সেই কষ্ট মুছবেনা। হয়তোবা কোনদিন ফিরবে, হয়তোবা ফিরবেনা। তোমার কথা আমি জানিনা, তবে আমি তোমাকে কোনদিন আর গ্রহন করতে পারবোনা হয়তো। যে মানুষের বিশ্বাস একবার ভেঙ্গে যায়, শত চেষ্টায় জোড়া লাগানোর পর তা আবারো ভেঙ্গে যায়। পূর্বে ভাবতাম তুমি আমার জন্য সব করতে পারো, এখন জানি তুমি নিজের জন্য সব করতে পারো। তাই তোমার জন্য আমার যতো কষ্টই হোক তোমাকে ভুল করে একবারের জন্যও ডাকতে ইচ্ছে হয় না। হয়তো দেখলে আমি আবারো তোমাকে ফেরানোর চেষ্টা করবো, নিজেকে ঠিক রাখতে পারবো না। মনের ভিতরে যতো কষ্ট আছে বাইরে এসে আমাকে আঘাত করবে। তোমার যতগুলো স্মৃতি আছে তাতো থেকেই যাবে আমার কাছে। হয়তো সেটাই আমার তোমার কাছ থেকে পাওয়া শেষ অনুপ্রেরণা। আমি বন্ধুত্বের সম্পর্কে কখনোই ফিরে যেতে পারবো না। তাই সেই চিরচেনা সম্পর্কটা অপরিচিতই থেকে যাবে আজীবন। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা। 

Thursday, November 1, 2012

এতো যত্ন করে


যদি কখনো ভুল করে তোমার মনের আঙিনায় ভেসে উঠে আমার স্মৃতি, মনে পড়ে যায় আমায়, চোখ মেলে দেখো ঐ আকাশের পানে। দেখবে এক নিঃসঙ্গ পাখি দলবল সাথী ছেড়ে উড়ে চলেছে আকাশের বুকে। অর্থহীনভাবে তাকিয়ে দেখছে এদিকে ওদিকে আর উড়ছে আনমনে। পাখিটি বসছে না কোথাও, নিচ্ছেনা কোন বিশ্রাম। সেই কবেই হারিয়ে ফেলেছে দুটি পা। হয়তো পাখিটি কখনো এসে যাবে তোমার অতি সন্নিকটে, তোমার আঙিনায়। যখন তুমি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকবে, নিদ্রায় শুনবে পাখিটির আর্ত চিৎকার। হয়তো তুমি জেগে উঠবে সে আর্তনাদে। হয়তো তোমার আঙিনায় নিতে চাইবে বিশ্রাম পাখিটি, কিন্তু সেই ক্ষমতাটুকু নেই। বরং দুএকটা পালক খসে পড়বে তার ভগ্ন ডানা থেকে। তখন তোমার মনে জাগতে পারে ক্ষণিকের মায়া, সেবা দিতে চাইবে পাখিটিকে। কিন্তু পাখিটি উড়ে যাবে দূরে থেকে দূরে, অজানা সীমাহীন গন্তব্যে। কারণ হয়তো তার মনে পড়ে যাবে তুমিই তার পা দুটি ভেঙ্গে দিয়েছিলে পরম যত্নে। তোমার আঙিনায় পড়ে থাকবে শুধু খসা পালকগুলো, শুধু তুমি চেয়ে থাকার জন্য। জানি কখনোই দিতে চাইতেনা সেবা, বরং ঘৃণায় তাড়িয়ে দিতে যদি জানতে এ আমারই বিদেহী আত্মা আর আমিই সে আহত পাখি......। এতো যত্ন করে আমায় দুঃখ দেওয়ার কি খুবই দরকার ছিলো?? বলো, বলোনা তুমি......