আমি তোমাকে কিভাবে ভুলবো বলো? মোবাইলটা যখনই হাতে নেই তোমার দেওয়া সেই
দুষ্টুমি মাখা মেসেজগুলো চোখে পড়ে, গান শুনতে চাইলে তোমার record করা কথাগুলো play হয়ে যায়, ছবি দেখতে গেলে সেখানেও তুমি, কম্পিউটারের প্রতিটা
ফোল্ডারে তোমার ছবি, ফেসবুকের স্ট্যাটাসে তোমার স্মৃতি, ইনবক্সে পড়ে থাকা তোমার
মেসেজ। আজো সন্ধ্যা হলেই মনে হয় এই বুঝি তুমি ফোন দিবে, মেসেজ দিয়ে বলবে ‘এই সোনু,
কি করছো?’ আমি তোমাকে জিজ্ঞ্যেস করতাম ‘কি করলা আজকে সারাদিন?’ তুমি এক নিঃশ্বাসে
সব বলে দিতে... আমি হা হয়ে শুধুই শুনতাম আর কথা শেষ হলে বলতাম ‘I Love You’। তুমি হাসতে। তোমার সামনে গেলে কথা বলতে পারতাম
না, তোমার দিকে তাকিয়ে হাসতাম শুধুই। আমি ফুল হাতা শার্ট পড়তাম বলে তুমি জিজ্ঞ্যেস
করতে ‘তুমি ফুল শার্ট পড়ো কেন?’ আমি হাসতাম আর ভাবতাম- পাগলি মেয়ে। এতোটাই
ভালোবাসতাম বুঝাতে পারিনি। আমি সহ্য করতে পারতাম না তুমি খুব সহজেই অন্যের সাথে
কথা বলবে, খুব সহজেই তুমি অন্যের ঘনিষ্ঠ হয়ে যাবে। তোমাকে মানুষ এতো অল্প সময়ে
কাছে পাবে যেই তোমাকে আমি একদিন একদিন করে দীর্ঘ দুইবছর পরে অনেক কষ্টে লাভ
করেছিলাম। এগুলো করতাম বলে তুমি শেষবারের মতো কিভাবে যেন বলেই ফেললে আমি তোমার
ভালো চাইনা। সেদিন সবচেয়ে বেশী কষ্ট বুকে নিয়ে নীরবে কেঁদেছিলাম। বুক ফেটে কান্না
পাচ্ছিলো, তুমি বুঝে যাবে বলে অনেক কষ্টে দমিয়ে রেখেছিলাম। এখন কষ্ট নিয়েই বেঁচে
আছি, কতদিন পারবো জানিনা তবে শেষ পর্যন্ত ভালোবেসে যেতেই হবে আমাকে তোমায়। এটা যে আমার প্রতিজ্ঞা আমার ভালোবাসার প্রতি। তোমায়
ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।
irregular due to unavoidable circumstances of my own, hope will be back and continue soon.............. have patients for a while.
Monday, December 31, 2012
Sunday, December 30, 2012
জীবনের পাসওয়ার্ড
‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ কথাটা বলার সময় অনেকে
মিথ্যা বলে। কারণ মানুষ সত্যিই রূপের পাগল। যদি রূপের গুনমুগ্ধ এবং লোভী না হতো
তবে প্রতিদিন এতো হৃদয় ভাঙার গল্প আর বৃষ্টির মতো কান্না দেখতাম না। এতো মানুষ রাত
জেগে প্রিয় মানুষের ফোনের অপেক্ষা করতো না, শুধু ভালোবাসার মানুষটির কণ্ঠ শোনার
জন্য এতো উতলা হতো না। মানুষ স্বার্থপরের মতো ভালোবাসে। আগেরজনের চেয়ে ভালো
কাউকে(মানে সুন্দর কাউকে) পেলে তার মনের ভালোবাসাও সরে যায়। অনেক সময় সে ছেড়ে যায়
তার আপন জনকে, যাকে সে সবচেয়ে বেশী ভালোবেসেছিল, যে মানুষটা তাকে ছাড়া অন্য কাউকে
কল্পনা করে না নিজের অস্তিত্তে। সেই নতুন সুন্দর মানুষের প্রতি এতোটাই মোহিত হয়ে
পড়ে যায় যে সে ভুলে যায় আগেরজনের সাথে কাটানো সেই মধুর মুহূর্তগুলো। তার চাইতে
এটাই অনেক বেশী মঙ্গলজনক দুজনের জন্যই যে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানোর আগে
সুন্দর-অসুন্দর, যোগ্যতা-অযোগ্যতা সব যাচাই, বিচার করে অগ্রসর হওয়া। কারণ
ভালোবাসায় জড়ানো কারও জন্য শখের বিষয় হলেও কারও জন্য টিকে থাকার প্রশ্ন। ‘আমি
তোমাকে ভালোবাসি’ তিন শব্দের এই কথাটি কারো কারো ক্ষেত্রে জীবনের পাসওয়ার্ড। এতো
স্বার্থপরতার মাঝেও ভালোবাসা টিকে আছে, কারণ কিছু মানুষ সত্যিই ভালোবাসে। আর তাই
ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।
এমন একজনকে ভালোবাসি
আমি এমন একজনকে ভালোবাসি যে আমার ভালোবাসা বুঝতে পারেনা। আমি একজনকে
ভালোবাসি যে তার চারপাশের আনন্দ দেখে আমায় ভুলে যায়। আমি এমন একজনকে ভালোবাসি যে
তার সুখের মাঝে আমাকে বিন্দুমাত্রও মনে করে না। আমি এমন একজনকে ভালোবাসি যখন আমার
চারপাশের মানুষ দুঃখ দেয় তখন তাকে মনে করে। আমি এমন একজনকে ভালোবাসি আমার
সুখে-দুঃখে তার জন্য মনটা ব্যাকুল হয়ে থাকে। আমি এমন একজনকে ভালোবাসি যার জন্য
সারা পৃথিবী এক করতেও আমার বিন্দুমাত্র দ্বিধা হয় না। আমি এমন একজনকে ভালোবাসি
যাকে না পেলে সবকিছুই দূরে সরে যায় আমার কাছ থেকে। তাহলে আমি কি শুধুই তাকে একতরফা
ভালবেসেছি? নাকি আমার ভালোবাসা তার জন্য শুধুই খেলনা? যখন তার ইচ্ছে হবে আমাকে
নিয়ে খেলবে, যখন তার ইচ্ছা হবে খেলে আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দিবে? আমার হৃদয়টা কি কোন বন্দর বা স্টেশন? যখন ইচ্ছে হবে আসবে যখন প্রয়োজন ফুরাবে চলে যাবে? তারপরও মেনে নিলাম,
ভালোবাসা বোধহয় এমনই হয়। ভালোবাসা তুমি মেঘ হয়ে ছুঁয়ে দিও তার মনের আকাশ, বৃষ্টি
হয়ে ভিজিয়ে দিও তার মন। ভালোবাসা তুমি জোছনার নীল আলোয় আলোকিত করে দিও তার মনের
আঙ্গিনা। তারা ভরা আকাশ হয়ে টানিয়ে দিও ভালোবাসার সামিয়ানা। ভালোবাসা তুমি সুখ হয়ে
ভরিয়ে দিও তার অন্তর, ফুলের সুবাস হয়ে সুবাসিত করো তার হৃদয়ের প্রান্তর। ভালোবাসা
তুমি ‘ভালোবাসা’ হয়েই থেকো চিরদিন, জীবন থেকে হারিয়ে ‘ঘৃণা’র মাঝে হইওনা কখনো
বিলীন। তাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।
Saturday, December 29, 2012
প্রেমে কেনা ক্রীতদাস
আমি অনেক ভেবে দেখেছি, জীবনের অনেক বন্ধুর পথ হেঁটেছি। অনেকে হাত ধরতে
চেয়েছে, আবার একজন হাত ধরতে গিয়েও ছেড়ে দিয়েছে আমি ধরতে চাইনি বলে। এলোমেলো পথচলা
ছিলো আমার তাই কাউকে জড়াতে চাইনি কখনো। জীবনে নেমে এলো ছোট্ট একটা ঝড়, সে ঝড়ের
অনেকটা সামলে নিয়েছিলাম। আবার এলোমেলো পথ চলা শুরু। চলতে চলতে হটাৎ তুমি দেখা দিলে
আদরি। স্বপ্ন সাজালে নিজের হাতে, স্বপ্ন দেখালে। আবার পাশে থাকবে বলেছিলে, বলেছিলে
আমি তোমাকে নিয়ে আমার জীবনটাকে সাজাতে চাই। নিজেকে অনেকখানি বদলে আর শোধরেও
নিয়েছিলাম। বলেছিলাম আমার উপর রেখো বিশ্বাস। ভুল হলে শোধরে নিও, হাত ছেড়ে দিও না
কখনো। তুমিও বলেছিলে আমার মনের মতো করে সাজিয়ে আর গড়ে নিতে তোমাকে। আমি তোমার
প্রেমে দেবদাস ছিলাম না, আমি তোমার প্রেমে কেনা ক্রীতদাস হয়ে থাকতে চেয়েছিলাম।
তাইতো ভালোবাসি তোমায়। ভালোবাসা চেয়েছিলে ভালোবাসা দিয়েছি অফুরন্ত। তুমি ভুল করতে
গেলে হাত ধরে টান দিয়েছি, একা থাকলে সঙ্গ দিয়েছি আর চোখের জল মুছে দিয়েছি। স্বপ্ন
চেয়েছো বলে রঙিন রঙিন স্বপ্ন দিয়েছি তার প্রতিদানে অন্য কারো হাত ধরতে চেয়েছো, আজ
আমি তাও দিলাম। শুধু জেনে রেখো যেদিন পথ চলতে গিয়ে থমকে দাঁড়াবে সেদিন হয়তো আমি
থাকবো না কিন্তু আমার ছায়া তোমার পাশে থাকবে। সেদিন হয়তো তোমার মলিন মুখখানি দেখে
আর সন্ধ্যা তারা হয়ে জ্বলে উঠতে পারবো না। বলনা তুমি, তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি
আমি দূরে? ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।
Friday, December 28, 2012
ভালোলাগে তার
ভালোলাগে তার মিস কল দেওয়া, ভালোলাগে তার পরিচয় গোপন করে কথা বলা। ভালোলাগে
কলেজে এসে আমার কাছে তার ফোন দেওয়া, ভালোলাগে তার বন্ধুত্তের দাবী নিয়ে কাছে আসা। ভালোলাগে
তার দেখা করতে চাওয়া আমার সাথে, ভালোলাগে তার পাশাপাশি হাঁটা। ভালোলাগে তার মৃদু
ছোঁয়া, ভালোলাগে তার হাতের কোমল পরশ পাওয়া। ভালোলাগে তাকে বলতে- তার হাতটি ধরতে
চাওয়া, ভালোলাগে তার মুখে ‘তোমাকে অনেক ভালোবাসি’ শুনতে। ভালোলাগে তার অভিমানে
মুখে কথা না বলা, ভালোলাগে মনের অজান্তে তার বাহুর একটু পরশ পাওয়া। ভালোলাগে
বিদায়ের ক্ষনে একটি পলক চোখে চোখ রাখা, ভালোলাগে রাত জাগা পাখি হয়ে আগামী ভোরের
স্বপ্ন আঁকতে। ভালোলাগে শুনতে তার বলা ‘কলটা এবার রাখো না প্লিজ’, ভালোলাগে তার
মুখে ‘জাতীয় সঙ্গীতের দ্বিতীয় লাইনটি বলো’ শুনতে। ভালোলাগে আমার কলিজা ধরে টান
দেওয়া তার আদর, ভালোলাগে আদর করে আমাকে বিভিন্ন নামে ডাকা। ভালোলাগে তার আমার মুখ
থেকে তাকে ‘রাঙা বউ’ শোনার আবদার। ভালোলাগে তার অনুভুতি জানিয়ে আমাকে মেসেজ দেওয়া ,ভালোলাগে
কোনকিছু ভুলে গেলে তার মিষ্টি বকা। ভালোলাগে তার মিষ্টি শাসন......, তাই তো ভুল
করতে চায় এই মন বার বার। সেই তাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থাকুক আমার
ভালোবাসা।
Thursday, December 27, 2012
অবিশ্বাসের জম্ম
জীবনটা বড়ই অদ্ভুত। মাঝে মাঝে এমন সব মানুষের সাথে পরিচয় হওয়া লাগে যাকে
আগে থেকেই চেনা। কিন্তু সেই পরিচিতিটা হয় সম্পূর্ণ নতুনভাবে। মানুষ জম্মের পর
অত্যন্ত পবিত্র থাকে। কিন্তু তার বয়স যতো বাড়তে থাকে ততোই তার এই নিষ্পাপ মনটা
পাপী হতে শুরু করে। পারিপার্শ্বিক আবহাওয়া আবার কখনো জীনগত কারনে অথবা ক্রোধের
কারনে মানুষ কতই না পরিবর্তন হয়ে যায়। কিন্তু জম্মের সময় সবাইতো এক রকমই থাকে। কেউ
তো তখন জানে না তার ভবিষ্যতে কি হবে, কি হবে তার আসল পরিচয়। সবাই এখন মুখোশধারী।
মুখোশ পড়ে নিজের আসল রূপটা লুকিয়ে রাখে। কিসের জন্য এমন করে?? মানুষের কাছে ভালো
থাকার জন্য, নাকি নিজের স্বার্থের জন্য? কি লাভ মুখোশ পড়ে থাকার? না হয় মানুষ আসল
পরিচয়টা জেনেই ফেললো, তাতে কি খুব বড়ো ক্ষতি হয়ে যাবে? হয়তো বা হবে, মানুষ মানুষের
প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে। কিন্তু যখন না চাওয়া সত্ত্বেও মানুষের আসল রূপ বাইরে
এসে দাঁড়ায়, তখন কষ্ট পায় সবচেয়ে কাছের মানুষটাই। যে কিনা তার নিজের চাইতেও বেশী
বিশ্বাস করে তাকে। কেন এই লুকোচুরি? লুকোচুরির মাঝেই তো অবিশ্বাসের জম্ম। তবে কেন
এই অহংকার, হিংসা? এর মাঝেই তো ধ্বংসের সৃষ্টি। কেন এই নিষ্ঠুরতা? এর মাঝেই তো
নৃশংস নর পশুর জম্ম। জীবনটা দুই দিনের তাই বলে এমন মুখোশ পড়ে নিজের আত্মা, বিবেকের
সাথে প্রতারনা করে উপভোগ করার মধ্যে প্রকৃত সুখ কতো খানি? তার চাইতে আসল পরিচয়
প্রকাশ করে যদি সারাজীবন কষ্টের মধ্যে দিয়েও অতিবাহিত হয় তার মাঝে আত্মমর্যাদা আর
গর্ব অনুভুত স্পষ্ট হয়ে উঠে। এমন একটি জীবনের প্রত্যাশী......। ভালো থাকুক আমার
ভালোবাসা।
Wednesday, December 26, 2012
স্বপ্নবিলাসী মানুষ
মানুষ অনেক শখ করে খাঁচায় পাখি পোষে, নিজের
সুখ-দুঃখকে পাখির খাঁচার পাশে দাঁড়িয়ে কিছুটা বোঝাতে চায় পাখিকে। নিজের শখের জন্য
পাখিটিকে কখনও উড়ার সুযোগ দেয় না আর আকাশকে সামনে রেখেও পাখি ভুলে যায় তার উড়ার
সমস্ত কৌশল। আবার যখন মানুষ খুব বেশী আনন্দে থাকে তখন পাখিকে তাদের মনের সুখে
বনে-জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসে। কিন্তু পথহারা পাখি অনেক আগেই ডানা থাকা সত্ত্বেও তা
বিসর্জন দিয়েছে। হয়তো কোন বড়ো পাখির আক্রমনে কিংবা ঝড়ের তাণ্ডবে পোষা পাখি প্রান
হারায়। মানুষের জীবনও এই রকমই। যে একা চলতে প্রস্তুত তাকে স্বপ্ন দেখায় একদল স্বপ্নবিলাসী মানুষ। তখন স্বাধীনচেতা মানুষটি নিজের স্বাধীনতা ছেড়ে স্বেচ্ছায়
পরাধীনতার কাছে আত্মসমর্পণ করে। ধীরে ধীরে সে তার সমস্ত শক্তি হারিয়ে ফেলে আর স্বপ্নবিলাসী মানুষটির উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে শুরু করে। নিজের সবকিছু ত্যাগ করে সর্বদা
সেই স্বপ্ন দেখানো স্বপ্নবিলাসী মানুষটির সাথে স্বপ্ন পুরনের স্বপ্নে বিভোর থাকে। আর
এদিকে যখন ঘুমের ঘোর কেটে যায় তখন স্বপ্নের অবসান ঘটে, স্বপ্নবিলাসী মানুষটিও ভুলে
যায় যে সে কাউকে স্বপ্ন দেখাতো। তাই বাস্তবে খুঁজে নেয় এমন কাউকে যে সাদাকালো
স্বপ্নের চেয়েও আরও বেশী রঙিন। স্বপ্নবিলাসী আবার নতুন কাউকে স্বপ্ন দেখানোতে
মশগুল হয়ে পড়ে আর সেই স্বপ্ন দেখা মানুষটি পথ হারিয়ে ফেলে। আর এদিকে পথহারা
মানুষটি বেঁচে থাকার কোন অর্থ খুঁজে পায় না। কেউবা ডাঙ্গায় ঝোলে, কেউবা জলে ভাসে
আবার কেউবা কোন অন্ধকারে হারিয়ে যায়। কিন্তু এখানে দোষ কার বেশী? যে স্বপ্ন দেখে
নাকি যে স্বপ্ন দেখায়? তাই শখ করে কেউ পাখি পোষার মতো কোন খাঁচায় মানুষের মন নামক
পাখিটিকে বন্দী করতে দেওয়া উচিৎ নয়। কারন এমন স্বপ্নবিলাসী মানুষরা কখনও একটি
পথভ্রষ্টতার দায়ভার নেয় না। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।
Tuesday, December 25, 2012
মেহেদি পাতা
অনন্ত, মেহেদি পাতা দেখেছো নিশ্চয়? উপরে
সবুজ, ভেতরে রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত। নিজেকে আজকাল বড়ো বেশী মেহেদি পাতার মতো মনে হয়
কেন? উপরে আমি অথচ ভিতরে কষ্টের যন্ত্রণার এমন সব বড়ো বড়ো গর্ত যে, তার সামনে
দাঁড়াতে নিজেরই ভয় হয়। তুমি কেমন আছো, বিরক্ত হচ্ছ না তো? ভালোবাসা যে মানুষকে
অসহায়ও করে তুলতে পারে, সেদিন তোমায় দেখার আগ পর্যন্ত আমার জানা ছিলো না। তোমার
উদ্দাম ভালোবাসার দূতি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে ফেলেছে আমার ভিতর, আমার বাহির,
আমার হাতে গড়া আমার পৃথিবী। অনন্ত যেই মেয়ে সুখী হবে বলে ভালোবাসার পূর্ণ চন্দ্র গিলে
খেয়ে ভেজা মেঘের মতো উড়তে উড়তে চলে গেলো, আজ শুন্য অনন্তকে আরও শুন্য করে দিয়ে-
তার মুখে এসব কথা মানায় না- আমি জানি। কিন্তু আমি আর এভাবে এমন করে পারছি না, আমার
চারদিকের দেয়াল জুড়ে থই থই করে আমার স্বপ্ন খুনের রক্ত। উদাস দুপুরে বাতাসে শিস
দেয় তোমার সেই ভালোবাসা, পায়ে পায়ে ঘুরে ফেরে ছায়ার মতোন তোমার স্মৃতি। আমি
আগলাতেও পারি না আবার ফেলতেও পারি না। সুখী হতে চেয়ে এখন দাঁড়িয়ে আমি, একলা আমি
কষ্টের তুসার পাহাড়ে। অনন্ত তোমার সামনে দাঁড়ানোর কোন যোগ্যতাই আজ আমার অবশিষ্ট
নেই। তবুও তুমি একদিন বলেছিলে ভেজা মেঘের মতো সবুজ আকাশে উড়তে উড়তে জীবনের সুতোয়
যদি টান পরে কখনো চলে এসো, চলে এসো বুক পেতে দেবো। আকাশ দেবো আর হাসনা হেনা
ফুটাবো। সুতোয় আমার টান পড়েছে অনন্ত তাই আজ আমার সবকিছু, আমার একরোখা জেদ,
তুমিহীনা অনেক স্বপ্ন সব, সবকিছু জলাঞ্জলি দিয়ে তোমার সামনে আমি নতজানু। আমায়
তোমাকে আর একবার ভিক্ষে দাও, কথা দিচ্ছি তোমার অমর্যাদা হবে না কোনোদিন। আমি জানি
এখন তুমি একলা পাষাণ কষ্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াও, প্রচণ্ড এক অভিমানে ক্ষনে ক্ষনে গর্জে
উঠে অগ্নিগিরি। কেউ জানে না কিন্তু আমি জানি কেন তোমার মনের মাঝে মন থাকে না, ঘরের
মাঝে ঘর থাকে না। কেউ জানে না, আমি জানি কেন তুমি এমন করে কষ্ট পেলে সব হারিয়ে
বুকের তলের চিতানলে- কেন তুমি নষ্ট হলে? কার বিহনে চুপি চুপি, ধীরে ধীরে- কেউ জানে
না, আমি জানি- হ্যাঁ আমিই জানি। আমি আসছি তোমার কাছে, আর কিছু না দাও। অন্তত
শাস্তিটুকু দিও। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা। (সংকলিত)
Monday, December 24, 2012
কলঙ্কিত একটি দিন
আজ সেই ২৪শে ডিসেম্বর, আমার জীবনের সবচাইতে
কলঙ্কিত একটি দিন। আজ আমি হারালাম আমার জীবনের সবচাইতে সেরা অর্জন। আমার দীর্ঘ আট
বছরের তিল তিল করে গড়া উঠা সম্পর্ক হারিয়েছি, একইসাথে আমার দীর্ঘ এগারো বছরের
অন্ধকারমুক্ত জীবনের পরিসমাপ্তি। আজ এইদিনে সে জানায় আমাকে দূরে ঠেলে দিতে এমনকি
সম্পর্ক ভাঙতেও রাজি কিন্তু নতুনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করা তার পক্ষে অসম্ভব।
শুনলাম পরপর কয়েকবার বলা তার সেই 'হ্যাঁ, তুমি সরে যাও' কথাটি। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না নিজের শোনার যন্ত্র আমার এই কান দুটিকে। রক্তক্ষরণ শুরু হলো যেন এই হৃদয়ে। নিমিষেই ঘটে গেলো সব, কার দোষে হোল, কেন হোল কিছুই বুঝলাম না,
বুঝলাম না কেন এই রুক্ষ আচরণ আমার প্রতি। না, কাউকেই আমার বলার কিছু নাই, কার কাছে
চাইব কৈফিয়ত?? যে আমার সাথে প্রতারণা করে সব অর্জন ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে তার কাছে!!
যে খুব সহজেই অন্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নিজেকে বিক্রি করে দেয় তার কাছে!! যাই হোক
আজ প্রথম বছর পূর্তি, এই উপলক্ষ্যে আমারও উচিৎ উদযাপন করা এই মহান(!) দিনটি। যেমনিভাবে করেছিলো সে গতবছর আমার হৃদয়ের রক্তে রঞ্জিত লাল টুকটুকে শাড়ি পড়ে। হ্যাঁ, গতবছরের ন্যায় এবারো এই দিনটিতে আমি আবারো থাকবো সেই ছাদে সারারাত। সাথে
আছে আমার সেই......। এতে আমার কি হলো বা হলোনা তাতে কারো কিছু যায় আসে না। যেমনি
আসেনি গতবছর, সে নতুনের প্রতি এমনই বিভোর ছিল যে আমার কোনকিছুতেই তার বিন্দুমাত্রও
ভ্রুক্ষেপ ছিল না। অনেক চেষ্টা করেছিলাম তাকে ফেরাতে, কিন্তু অনর্গল মিথ্যা
প্রয়োগের মাধ্যমে সে তার নতুন যাত্রা অব্যাহত রেখেছিলো সেই কুখ্যাত বোনদের
মনোতুষ্টির লক্ষ্যে। সে ঐ বছরের সেপ্টেম্বরে যখন ঢাকা যায় তার মন জুড়ে ছিলাম আমি, আর
ফিরে আসে আরেকজনের ছায়া ধারন করে। যা তার প্রতিটি আচরনের মাধ্যমে আমি টের
পেয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বুঝতে দেইনি, স্বাভাবিক সব কিছু বজায় রেখেছিলাম। যাই হোক
যা হবার হয়ে গেছে। আজো ভুলতে পারিনি কিছুই, বিশেষ করে শেষের দিনগুলো। তবু পারিনি
আজো তার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে, হৃদয়ের প্রতিটি ভাঙ্গা টুকরো নিয়ে আজো ভালোবেসে
যাচ্ছি তাকেই। তাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।
Sunday, December 23, 2012
বসন্তের উষ্ণতায়
খুব ঠাণ্ডা পড়ছে এখন। অনেক মানুষ কাবু হয়ে
যাচ্ছে ঠাণ্ডায়। জানিনা এই ঠাণ্ডায় তুমি কেমন আছো? জানিনা ঠিকমতো শীতের কাপড়
ব্যবহার করো কিনা? তোমাকে তো বাইরে যেতে হয় কাজের তাগিদে। খুব দুশ্চিন্তা হয় আমার
তোমার জন্য, শরীর সুস্থ আছে কিনা তোমার? তোমার সেই সমস্যা এখনও কি আছে? রেগে গেলে
তোমার শরীরে যে কাপুনি হতো সেটা দূর হয়েছে নাকি। তুমি তো আবার ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারো
না মোটেও, একটু ঠাণ্ডায়ও তোমাকে ঘরে প্রতিরক্ষা নিতে হয় শীতের বিরুদ্ধে। খুব নরম
শরীর তোমার, যেটা কোন একটুও এদিক সেদিক সইতে পারে না। সেই শরীরের যত্ন তুমি
সত্যিকার অর্থে কতোটুকু নিচ্ছ কিছুই জানিনা। নাকি অবহেলা করছো আমার উপর রাগ করে।
যদি তাই হয়, তাহলে বলো কেন তুমি আমার উপর রাগ করবে অযথা? আমি কি তেমন মানুষ যে কেউ
আমার উপর রাগ করার অধিকার খাটাবে। তোমার সাথে আমার কোন যোগাযোগ বা সম্পর্ক নেই
সত্যি, তবে তাই বলে কি তোমার জন্য আমার দুশ্চিন্তা হবেনা? নাকি আমি করতে পারবো না?
তুমি না চাইলেও বা নিষেধ করলেও আমাকে যে করতেই হবে। আর যদিও আমি করতে না চাই
তাহলেও কি আমার এই মন না করে পারবে। তার কারন একটাই, তোমাকে আজও ভালোবেসে যাচ্ছে
আমার এই পোড়া মন। যে মানেনা কোন বাধা, কোন নিষেধ। তুমি নাহয় আমার এই মন আঁধার করে
অন্য মন আলোকিত করার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েছিলে, কিন্তু তাই বলে কি এই মন তোমার
জন্যে ছটফট করা ছেড়ে দিবে! নাইবা হল তার আলোতে থাকা, নাইবা হল আলোর ঝলমলতে তার
দুলে উঠা। যদিও আমি এই তোমার ফিরে আসার প্রত্যাশা করিনা, তবু চাইবো তুমি নিজেকে
সবসময় সুস্থ রাখার জন্য যতটুকু করার দরকার করবে, এতোটুকু অবহেলা করো না আমার সেই
পরম আদরের শরীরটাকে। তোমার কিছুই আমি পাবো না আর জানি তবু তোমার সুস্থ থাকাটাই আমি
কামনা করি সবসময়। আশা করি অন্তত আমার এই চাওয়াটা তুমি পূর্ণ করবে। এই শীতেও বসন্তের উষ্ণতায় কাটুক তোমার দিনগুলো, স্মৃতিতে নয় অনুভবে থেকো। তোমায় ছেড়ে কেমন
করে থাকি আমি দূরে, ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।
Saturday, December 22, 2012
একদম কেঁদো না
যেদিন আমাকে বলেছিলে আমার সাথে কথা বলতেও
তোমার নাকি ঘৃণা হয়, সেদিন থেকে তোমাকে আরও বেশী ভালবাসতে শিখেছি। কেননা সেদিন
থেকেই তো জানতে পারলাম, আমার জন্য অন্তত কিছু অনুভুতি তো তোমার মনের বাগানে রয়েছে।
হোক না সেটি negetive sense, তবুও কিছুতো একটা বাসো। একসময় যেটা ছিলো আমার প্রতি ভালোবাসা
সেটা এখন আরেকজনের জন্য, আর আমার জন্য তা আজ ঘৃণা। তাতে কি? একজনকে ভালোবাসা
অবস্থায় যদি আরেকজনকে ভালোবাসা যায় তাহলে সেটাকে তো ভালোবাসা বলেনা, সেটা হচ্ছে
ভালোবাসার নামে মিথ্যা মোহ। যেটা দিতে গিয়ে সর্বস্ব বিসর্জন দেয় ভুল করে। আমার এই
মনের দ্বারা সম্ভব না আবার আরেক মনের খোঁজে ছুটে চলা। তাইতো আমি বারবার আসি ফিরে
প্রহর ফুরোবার আগে শুধু জানিয়ে দিতে, এই আমি অন্য কারো হতে পারি না। নির্ঘুম রাত
পার হয়ে যাচ্ছিলো অনায়াসে। তখন ছিল অপেক্ষা তোমাকে কাছে পাবার। পেয়েছি দীর্ঘ দীর্ঘ
সময় পর। সেদিন বিচে বৃষ্টি শেষের বিকেলে তোমাকে দুহাতে ছুঁয়ে দেবার ইচ্ছাটা আমাকে
খুন করেছিলো। তারপর দীর্ঘ সময় পেরুল........., অবশেষে তুমি বললে তোমার সেই শেষকথা।
যেটা শুনে আমি হয়ে পড়েছিলাম ভাবলেশহীন। এখন আমি নির্ঘুম রাত কাটাই তোমার স্মৃতিগুলো
নিয়ে অসহ্য বেদনায়, সীমাহীন কষ্টের উত্তাল সাগরে। যদি কোনদিন মনে হয় আমাকে
সারাজীবন ভালোবেসে আমার পাশে থাকা তোমার উচিৎ ছিল তবে সেদিন একদম কেঁদো না। তুমি
কাঁদলে যে আমি ভালো থাকি না। কিন্তু তোমাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো
থেকো আমার ভালোবাসা।
Friday, December 21, 2012
দুই প্রজাপতি
দুই প্রজাপতি একজন আরেকজনকে খুব ভালোবাসতো।
তাদের মাঝে প্রায়ই তর্ক হতো যে কে কাকে বেশী ভালোবাসে। একদিন তারা দুজনে একটা বাজি
ধরলো, শর্ত ছিল তারা যেই বাগানে থাকে সেই বাগানের সবচেয়ে সুন্দর ফুলটার উপর একদম
সকালে যে আগে বসতে পারবে সেই অন্যজনকে বেশী ভালোবাসে। মেয়ে প্রজাপতিটা রাতে আর
ঘুমালো না। সে শুধু ভাবতে লাগলো, ঘুমিয়ে পড়লে যদি ছেলে প্রজাপতিটা আগে চলে যায়!
খুব সকালে মেয়ে প্রজাপতিটা তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বের হয়ে উড়তে উড়তে সবচেয়ে সুন্দর
ফুলটার কাছে গেলো। তখন ছিলো একদম ভোরবেলা, চারিপাশে আলোও ফুটেনি। সে গিয়ে অপেক্ষা
করতে লাগলো কখন সকাল হবে আর সূর্যের আলো পড়লেই সে ফুলটার উপরে গিয়ে বসবে। সকাল হল,
সূর্যের প্রথম কিরণ সেই বাগানের সবচেয়ে সুন্দর ফুলটার উপর পড়লো। আর মেয়ে
প্রজাপতিটা গভীর বিস্ময়ে দেখলঃ ছেলে প্রজাপতিটা সেই ফুলের মধ্যে বসে আছে, তার দেহে
প্রান নেই। মেয়ে প্রজাপতিটা ফুলকে জিজ্ঞ্যেস করে জানলো, আসলে মেয়ে প্রজাপতিকে সকাল
বেলা চমকে দেবার জন্য সে গত রাত থেকেই ফুলটার উপরে বসে থাকে। রাতে যখন ঠাণ্ডা খুব
বেড়ে যায় তখন সে ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে মারা যায়। মরে সে ফুলের মধ্যেই থাকে, নিজের
প্রিয়তমাকে চমকে দিতে। মেয়ে প্রজাপতিটি এই দৃশ্য সহ্য করতে পারেনা। সেও আগুনে ঝাঁপ
দিয়ে আত্মহত্যা করে। ভালোবাসা আসলে এমনই। আমাদের যেমন বাঁচতে শেখায় তেমনি মাঝে মাঝে
অনেক বেশী দুর্বল করে ফেলে। কেউ কেউ এই দুর্বলতাকে কাউকে ধ্বংস করার মোক্ষম অস্ত্র
মনে করে ব্যবহার করে অনায়াসে। কিন্তু প্রকৃত ভালোবাসা তো কোন ধ্বংস জানেনা, শুধুই গড়ে দিতে জানে। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।
Thursday, December 20, 2012
নিষ্ঠুর ভবিষ্যৎ
- আমাকে কখনো কষ্ট দিবে না তো?
- কষ্ট! আর তোমাকে! তোমাকে কষ্ট দেওয়ার মতো
সাহস এখনো আমার হয়ে উঠেনি।
- তাই বুঝি! আমাকে ভয় পাও?
- উহু, ভালোবাসি।
- তাই! কতোটা ভালোবাসো?
- যতটুকু ভালোবাসা যায়, তার চেয়ে একটু বেশী।
- ..................
- আর তুমি?
- তোমার চেয়ে একটু বেশী।
- আচ্ছা ?
- হুমম।
- না, আমি।
- আচ্ছা, ভবিষ্যতই বলে দেবে.........
নিষ্ঠুর ভবিষ্যৎ......
ভবিষ্যতের বিশ্বাস ঘাতকতায় হারিয়ে গেলো
সে......
কিন্তু, তাকে ভুলতে পারি নি।
ভবিষ্যতেরি পরিহাসে, একদিন দেখা হয়ে গেলো
তার সাথে............
অন্যের হাত জড়িয়ে সে দাঁড়িয়ে আছে.........
আমাকে হয়তো খেয়াল করেনি।
করলেও হয়তো গ্রাহ্য করেনি।
ক্ষনিকের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেলাম
আমি.........
ভাবলাম, আসলেই কি তুমি আমায় ভালবেসেছিলে??
ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।
সেই নোংরা ষড়যন্ত্র
হারানো কিছু স্মৃতি নিয়ে চলার শেষ শক্তিটুকু নিয়ে কিছু লিখতে বসেছি। সেই
কবে অপেক্ষার প্রহর আরম্ভ হয়েছে, দিন গুনছি কবে শেষ হবে এই নিথর সময়ের। দিন দিন অসাড়
হয়ে পড়ছি, চলার শেষ শক্তিটুকুও হারিয়ে ফেলেছি বোধ করি। জানিনা এই পথে কতোটুকু
বাধা, কতোটুকু অমসৃণ এই পথ। পাড়ি দিতে হবে এই পথ তাই ক্ষীণ আশা নিয়ে, বিন্দু
পরিমান সাহস ও একমুঠো ভালোবাসা আর হাজারো কষ্ট নিয়ে চলেছি আমি। চোখের জলও যেন শুকিয়ে
গেছে, কাঁদতে পারি না আর আমি। বুকের পাঁজরগুলো সঙ্কুচিত হয়ে আসছে ক্রমেই, মনে হয়
ভেঙ্গে যাবে এখনি। এক প্রকার চাপা কষ্ট চেপে ধরে রেখেছে আমাকে। বড়ো শুন্য মনে হয়
নিজেকে, তাই আঁকড়ে আছি পরম ভাবে এই শুন্যকেই। অনেকটা ভালোবাসি তোমায়। হয়তো তোমার
থেকে একটু বেশী অথবা একটু কম তবে আমার জীবনের চেয়ে অনেক অনেক বেশী। হটাৎ বিনা মেঘে
বজ্রপাতের মতো আমার আকাশে বজ্রপাত হলো। ঝড় শুরু হলো রুপকথার দানবের মতো। যে ঝড়ের
ষড়যন্ত্রে তোমারও প্রত্যক্ষ ইন্ধন ছিলো। বারবার শুধু জানতে ইচ্ছে করে এইভাবে চলে
গিয়ে আসলেই কতোটা সুখ এসেছে তোমার? আর লাভ? আদৌ কি হয়েছে তোমার? আদৌ কি পেরেছো সব
মন থেকে ফেলে দিতে? যদি এইসব প্রশ্নের উত্তর ‘না’ হয় তবে কেন সেই নোংরা ষড়যন্ত্রে নিজেকে
অবগাহন করিয়েছিলে তুমি? কেন আবারো সেই নিজের সব গোপন করে আবারো নতুনের সাথে পরিচিত
হওয়া? তোমার প্রস্থান যেন ঠিক এ রকমই...... ‘যে চলে যেতে চায় তাকে যেতে দাও, সে
যদি কখনো ফিরে আসে বুঝবে সে তোমার আর যদি ফিরে না আসে বুঝবে সে কখনোই তোমার ছিলো
না’। তুমিও এমন করে বলতে আমায়, মনে পড়ে তোমার? যে কথা তুমি আমায় শুনাতে সেই কথাই
তুমি আজ বাস্তবায়ন করে গেলে। কিন্তু তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে, ভালো থেকো
আমার ভালোবাসা।
Tuesday, December 18, 2012
জ্বালাময় যন্ত্রণা
এই বুকের ভিতর প্রাণটা আমার খুব কষ্টে আছে,
আমি আর সহ্য করতে পারছি না সেই কষ্ট। সেই কষ্টের সৃষ্টে আমি এই দুনিয়াতেই নরক ভোগ করছি।
সেই কষ্ট আমার হাড় মাংসে, মজ্জায়, রক্তের কনায় কনায় মিশে গেছে। অসহ্য হয়ে তাই
মৃত্যু কামনা করছি। এখন এই জীবন খুব দুর্বিষহ লাগছে, একটি শ্বাসও স্বস্থির নিতে
পারছি না। বোধ করছি বুকটার ভিতর আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে, সেখানে মন-প্রাণ পুড়ছে,
জ্বালাময় যন্ত্রণা ভোগ করছে। তুমি একবার এসে আমার গলায় ছুরি চালাও, আমি এই জীবন
থেকে মুক্তি পেতে চাই। আমি যেতে চাই অন্য কোন ভিন গ্রহে, এই গ্রহে আমি এতো বৎসরেও একজন
মানুষ খুঁজে পাইনি। সবাই মুখোশ পড়া মানুষ, মুখোশ খোলার পর দেখি সবাই স্বার্থপর।
তারা নিজের সুখের জন্য আপনজনকে বলি করছে। বিশ্বাসীর মনে বিশ্বাস ঘাতক যে আগুন দেয়
সেই আগুনে বিশ্বাসী আমৃত্যু পুড়ে, জ্বলে, আর তা দেখে বিশ্বাসঘাতক উল্লাস করে। এই
অকৃতজ্ঞদের দেখে দেখে আমি ক্লান্ত হয়ে আছি, এদের সাথে আমি বাস করছি এক যুগেরও
বেশী। এরাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভয়ঙ্কর প্রাণী। এরা নিমক হারামি, এদেরও সঙ্গীরাও তেমন।
এরা যারটা খেয়ে পরে জীবন ধারন করে, নিজ সুখে তাদেরই মুখের উপর এরা কালিমা ছাপে।
এমনকি তাদের এরা খুনও করে। আবার এরা অজ্ঞানতা বশত দম্ভভরে বিচরন করে সমাজে আর
অপরাধ ঢাকার জন্য তারা আপনজনের সাথে রুক্ষ আচরণ করে। এদের করাঘাতে আপনজন প্রতি
মুহূর্তে অসহ্য নরক যন্ত্রণা ভোগে। আর নীরবে বিশ্বাসী অশ্রুজলে ভাসে, দীর্ঘশ্বাস
ছেড়ে বলে- ‘মানি, এই দুর্বিষহ জীবন আমারই সৃষ্টি, আমারই ভালোবাসার দান’। ভালো
থাকুক আমার ভালোবাসা।
খুব অবাক হই
খুব অবাক হই ভেবে, কিভাবে একসময় তুমি আমার কাছে কাছে থাকতে আর কিভাবে এখন
তুমি একেবারে আমাকে ছেড়ে থাকছো। আমি কি বোকা ছিলাম? নাকি এটাই পৃথিবীর নিয়ম, যে
সময় সবাইকে বদলে দেবে? সবাই বদলাক, তোমার বদলে যাওয়াটা কি জরুরী ছিল? আমি কেন
এতোটুকুও অনুভব করলাম না যে তোমার কথাগুলো তুমি নিজেই একসময় ভুলে যাবে? আমি কেন
বুঝতে পারলাম না যে তুমি আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ কিন্তু ছোট্ট একটি অধ্যায় হয়ে এসেছো?
আমি কি সত্যিই অতিরিক্ত প্রত্যাশা করে ফেলেছিলাম? আমি তো কখনো তোমাকে চাওয়ার সাহস
দেখাতে পারিনি, আমিতো সবসময়ই ভেবেছি আমি তোমার যোগ্য নই। হয়তো মনে মনে পছন্দ
করেছি, কিন্তু নিজেকেই সেটা বুঝতে দেইনি। স্বপ্ন দেখার শুরুটা যে দুজনে মিলেই
করেছিলাম। এখানে কেবল তুমি আর আমি বলে কোন কথা ছিলো না, আমাদের দুজনেরই ছিলো সব স্বপ্ন।
অথচ আজ আমার কোন কথাই আর তোমার কান পর্যন্ত পৌঁছায় না। শেষের দিকে আমার কথাগুলো কি
সুন্দরভাবে এড়িয়ে গিয়েছো তুমি, আমার কথাগুলো তোমার মনে কোন দাগই কাটেনি। এতোটাই
সম্মোহিত হয়ে পড়েছিলে নতুনের প্রতি যে আমার ভালোবাসা বিন্দুমাত্র তোমাকে নাড়া
দেয়নি। একসময় তুমিই বারবার বলতে, একদিন নাকি তুমি আমার কাছে পুরনো হয়ে যাবে আর আমি
তোমাকে ততোটা ভালোবাসবো না। আর আজ তুমিই আমাকে ভালোবাসো না, অথচ আমি তবুও তোমাকে
ভালোবেসে যাই। তাহলে কি আমার অনুভূতিটাই ঠিক ছিলো? তুমি মিথ্যে বলেছো এটাও যে মানতে
পারি না। তুমিও যে আমায় ভালোবাসতে সে নিয়ে আমার এতোটুকু সন্দেহ আজও আমার নেই। কেবল
একগাদা প্রশ্নের মাঝে প্রতিটি দিন কাটাই। আর সেই সঙ্গে থাকে অন্তহীন বেদনা। তোমাকে
ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে, ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।
Monday, December 17, 2012
তখনো তোমায়
ভালোবাসি, সত্যি তোমায় অনেক ভালোবাসি। তোমাকে যখন পচা মেয়ে বলে রাগাই তখনো
তোমায় ভালোবাসি, যখন মিষ্টি মেয়ে বলে হাসাই তখনো তোমায় ভালোবাসি। যখন আইসক্রিম
খেয়ে ঠাণ্ডা লাগাইছো কেন বলে বকা দেই তখনো তোমায় ভালোবাসি। যখন তোমার একটু হাসির
জন্য তুমি যা শাস্তি দাও তা নিশ্চুপভাবে মেনে নেই তখনো তোমায় ভালোবাসি। যখন
বাস্তবতা মেনে নিয়ে তোমার সাথে রাতে কথা হয় না তখনো তোমায় ভালোবাসি। আবার যখন সব
বাঁধা ভুলে অনর্গল কথা বলতে তখনো তোমায় ভালোবাসি। যখন তুমি আমার থেকে একটু দূরে
যাও তখনো তোমায় ভালোবাসি। যখন তুমি আমার একটু কেয়ার নাও তখনো তোমায় ভালোবাসি। যখন
একটুতেই তুমি অনেক খুশী হও তখনো তোমায় ভালোবাসি। আবার যখন তুমি, কেন খাইনি বলে
রেগে যাও তখনো তোমায় ভালোবাসি। যখন তোমার সাথে একটু হাঁটতে চাই তখনো তোমায়
ভালোবাসি, আবার যখন তুমি আমার সাথে রিক্সায় ঘুরতে চাও তখনো তোমায় ভালোবাসি। যখন
তোমার কোলে মাথা রেখে একটু ঘুমাতে চাই তখনো তোমায় ভালোবাসি। যখন তুমি আমার সাথে
ঝগড়া করো তখনো তোমায় ভালোবাসি, আবার যখন তুমি আমায় আদর করো তখন তোমায় ভালোবাসি।
যখন তুমি গান শুনাও তখনো তোমায় ভালোবাসি। যখন তুমি জানালা খুলে বৃষ্টিতে দুহাত
ভেজাও তখনো তোমায় ভালোবাসি, আবার যখন পূর্ণিমার চাঁদ দেখে মুগ্ধ হয়ে যাও তখনো
তোমায় ভালোবাসি। যখন তুমি খুব কাছে আসো তখনো তোমায় ভালোবাসি, আবার যখন আমায় ছেড়ে
দূরে চলে গেলে আজও তোমায় ভালোবাসি। তুমি চাইলেও তোমায় ভালোবাসি, তুমি না চাইলেও
তোমায় ভালোবাসি। সত্যি বলছি, তোমায় অনেক ভালোবাসি। আমার জীবনের চেয়েও বেশী
ভালোবাসি তোমায়, আমি বুঝি একটু বেশীই ভালোবাসি। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।
Sunday, December 16, 2012
দৃঢ় আত্মবিশ্বাস
কোন একটা সম্পর্কের সুস্থ পরিনতি দেখতে অনেক
ভালোই লাগে। যখন দেখি কোন মানুষ হাসি-খুশি কারো জন্য, তখন কিছু সময়ের জন্যে হলেও
ভুলে যাই আমি একা। ভুলে যাই নিজের পরিনতি। আমি তো আছি তাদের ওই হাসির মাঝে, ওইটা
হয়েই থাকতে চাই। জীবন চলার পথে এক অচেনা পথিক আমি এখন। হাঁটি হাঁটি পা পা করে অনেক
দূর পৌঁছে যাই। মাঝে মাঝে পিছন ফিরে তাকাই, কিছু সুখ কিছু দুঃখ আর স্মরণীয় কিছু
ছোট ছোট মুহূর্ত মনের জানালায় উঁকি দেয়। স্মৃতিগুলো সুযোগ পেলেই আমার সাথে ঠাট্টা
করে, আর আমি নিরুপায় হয়ে স্মৃতিগুলোর দিকে তাকিয়ে বেহায়ার মতো হাসতে থাকি। এ ছাড়া
আর কিই বা করার আছে আমার? নিষ্ঠুর বাস্তবতার দোহাইয়ের কাছে আমি অসহায়, হাত-পা বেঁধে
তুমি বাধ্য করেছো আমাকে জীবন সাগর পাড়ি দিতে। আমার এই অকুল সমুদ্র সাঁতরানোর সব
উপাদান কেড়ে নিয়েছো সেই তুমি, যাকে আমি সবকিছু উজাড় করে দিয়ে ভালোবাসতাম। আমি
কতবার পরাজিত হয়েছি পুরনো স্মৃতিগুলোর কাছে তা শুধুই আমারই জানা। প্রতিটা স্মৃতির
নির্মম অত্যাচারের কাছে নিষ্পেষিত হয়ে বার বার অশ্রুসিক্ত হয়েছে আমার এই দুচোখ,
তীব্র আর্তনাদ করেছে আমার এই মন। অসহ্য বেদনায় বুকের পাঁজর ভেঙ্গে যেতে চায়। এতকিছুর
পরও চোখ বন্ধ করলে আমি তোমায় দেখি, চোখ খুললে আমার চোখ তোমাকে দেখতে চায়। আমি সব
জায়গায়, সবসময় আমার সবকিছুতে তোমাকেই অনুভব করি। তোমাকে আমি আবারো বলতে চাই,
অনেকেই ভালোবাসতে পারে কিন্তু কেউ তোমাকে আমার মতো করে ভালোবাসতে পারবে না। কারন
তোমাকে তারা ভালোবাসার জন্য পাবে না। আর এটা আমার দৃঢ় আত্মবিশ্বাস। এই তোমাকে ফিরে
পাবার আকুতি আমি করিনা, তবে সেই তোমাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো
আমার ভালোবাসা।
Saturday, December 15, 2012
ভালোবাসা ও দ্বীপ
আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীতে একদা একটি দ্বীপ
ছিল যেখানে বাস করতো সকল ধরণের অনুভুতি। প্রাচুর্য, সুখ, দুঃখ, দেমাগ, জ্ঞান এবং
ভালোবাসাসহ সকল অনুভুতির বাস ছিল দ্বীপটিতে। একদিন অনুভুতিদেরকে জানিয়ে দেয়া হলো
খুব শীঘ্রই এই দ্বীপটি ডুবে যাবে। এ সংবাদ পাওয়া মাত্রই সবাই জাহাজ তৈরি শুরু করলো
এবং একে একে দ্বীপ ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকলো। কিন্তু ভালোবাসা দ্বীপটি
ছেড়ে যেতে চাইছিল না। ভালবাসা ঠিক করলো সে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। আর এ কারণে
ভালোবাসা কোন নৌকা বা জাহাজ তৈরি করলো না। একদিন সত্যি সত্যি যখন সেই ক্ষণ এসে
উপস্থিত হলো তখন ভালোবাসা ঠিক করলো সে অন্য কারও জাহাজে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য
সাহায্য চাইবে। ভালোবাসা দেখল একটি বড়ো জাহাজ নিয়ে যাচ্ছে- প্রাচুর্য। ভালোবাসা
প্রাচুর্যকে বলল ‘তুমি কি আমাকে একটু তোমার জাহাজে নেবে’? জবাবে প্রাচুর্য বলল ‘আমার
জাহাজে অনেক সোনা-রুপা রয়েছে, এখানে তোমাকে নেওয়ার মতো কোন জায়গা নেই’। কিছুক্ষণ পরে
ভালোবাসার পাশ দিয়ে নৌকায় করে যাচ্ছিলো- দুঃখ। ভালোবাসা তাকে সাহায্য করার জন্য
অনুরোধ জানালো। দুঃখ উত্তর দিলো ‘আমি খুবই দুঃখিত। আমার এখন একা থাকার প্রয়োজন,
আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারবো না’। এরপর ভালোবাসা দেখল, খুব চমৎকার একটি জাহাজে
করে অহমিকা/দেমাগ যাচ্ছে। ভালোবাসা দেমাগের কাছেও তাকে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালো।
দেমাগ বলল, ‘তুমি সম্পূর্ণ ভিজে গিয়েছ। আমার এই সুন্দর জাহাজটিতে তোমাকে নিলে তুমি
একে নোংরা করে ফেলবে’। দেমাগের পরপরই ভালোবাসার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো সুখ। ভালোবাসা
কয়েকবার সুখকে ডাক দেওয়ার চেষ্টা করলো। কিন্তু সুখ এতোই সুখে ছিল যে সে কারও কথাই
শুনতে পাচ্ছিলো না। সুখ কোন ভ্রুক্ষেপ না করে চলেই গেলো। এভাবে একে একে সবাই যখন
চলে যাচ্ছে তখন হটাৎ ভালোবাসা একটি কণ্ঠ শুনতে পেলো। একজন প্রবীণ তাকে বলল, ‘ভালোবাসা
তুমি আমার সাথে এসো। আমি তোমাকে সাহায্য করছি’। ভালোবাসা এতোই খুশী হলো যে সে
জানতেও চাইলো না এই প্রবীণ আসলে কে। একটি শুকনো ভূখণ্ডে ভালোবাসাকে নামিয়ে দিয়ে
প্রবীণ চলে গেলো। এমন সময় ভালোবাসার জানতে ইচ্ছে করলো কে তাকে এই বিপদে সাহায্য
করলো। ভালোবাসা তার পাশে থাকা আর এক প্রবীণ- জ্ঞানকে প্রশ্ন করলো, ‘জ্ঞান, যে মহৎ
হৃদয় প্রবীণ আমাকে এখানে নামিয়ে দিয়ে গেলো তিনি কে’? জ্ঞান বলল ‘সময়। সময় তোমাকে
এখানে নামিয়ে দিয়ে গেছে’। ‘সময়! কিন্তু সময় কেন আমাকে সাহায্য করলো, যখন সবাই আমাকে
ফেলে চলে যাচ্ছিলো’? ভালোবাসা আবারো জ্ঞানের নিকট জানতে চাইলো। আবার জ্ঞান গভীর
প্রজ্ঞার হাসি হেসে উত্তর দিলো, ‘কারণ একমাত্র সময়ই জানে ভালোবাসা কতো মূল্যবান’!!
ভালো থাকুক আমার সেই ভালোবাসা।
বিকট আর্তনাদ
গভীর রাতে শুধুমাত্র ঘড়ির
কাঁটার একটি ছন্দিত শব্দ শোনা যায়। যেটা শোনা যায়না তা হলো এতো রাতেও জেগে থাকা
নির্ঘুম চোখের এক কোনে বেয়ে আসা জলের শব্দ। মনে জেগে উঠা হাজারো স্মৃতির এই বিকট
আর্তনাদ, যা আমাকে অতীতে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করে। আজও তোমার পাঠানো সব মেসেজ আমার
কাছে সুরক্ষিত আছে, খুব যত্ন করে রেখেছি সেই মেসেজগুলো। যদি মোবাইল ফরম্যাট হলে বা
হারিয়ে গেলে, তাই রেখেছি আমার কম্পিউটারে আর আমার অন্তরে। আমি মরে গেলেও যেমন আছে
তেমনই থাকবে, পারবেনা কেউ সেগুলো ডিলিট করতে। আমি অধিকাংশ সময় চেষ্টা করি তোমাকে ঐ
মেসেজগুলোর মধ্যে খুঁজে পেতে। আদরি, আমার মুখ থেকে হয়তো বা বন্ধ করতে পেরেছো “আমি
তোমাকে অনেক ভালোবাসি জান” কথাটা। কিন্তু আমার প্রতিটি নিঃশ্বাস ডুকরে ডুকরে যখন
কেঁদে উঠে, আর আমার মনের ভিতর থেকে চিৎকার করে ভেসে আসে “আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি”
পারবে কি আমার মনটাকে মেরে ফেলতে? আমার সুখ তোমার পছন্দ নয় সেজন্য নতুন সুখের আশায়
আমায় ছেড়ে চলে গেলে, তাই তো? যাও তোমাকে ছেড়ে দিলাম, থাকো সুখে থাকো নতুন ভালোবাসায়।
আমিও আর ধরে রাখতে চাইবো না তোমায়, বলবো না কষ্টে আছি তুমি হীনা। বলবো না, আগামী
রাতগুলো কাটবে তুমি ছাড়া। বলবো না, সত্যি বলবো না আমি। তুমি হীনা এ দুচোখ আর
স্বপ্ন কারো দেখবে না। তুমি হীনা নতুন সুখে, নিজেকে আর আমি ভাসাবো না। যাও, ছেড়ে
দিলাম তোমায় থাকো সুখে, নতুন ভালোবাসায়......। ধন্যবাদ তোমাকে, এমন অনাকাঙ্ক্ষিত
একটি হাহাকার জীবন উপহার দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ, এই কোমল হৃদয়টাকে ক্ষত বিক্ষত করে
দেওয়ার জন্য। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।
Friday, December 14, 2012
ভুলে গিয়েছিলাম
আমার পথ চলাটা একটু ধীর গতির। বুঝে শুনে যে চলি তা বলা যাবেনা- আমি চলি
মন্থর গতিতে। জীবন পরিক্রমায় আমার মধ্যে পরিবর্তন ঘটে। মায়া-মমতা, প্রেম ভালোবাসা জীবন
থেকে ছুটি নিয়েছিলো আমার স্বইচ্ছায়। আবেগ অনুভুতি হয়ে গিয়েছিলাম যেন। বহমান
সময়গুলো নিজের মতো চলছিলো। তার সাথে আমিও চলছিলাম, বেঁচে থাকার দায় সারানো আর কি।
তোমার সাথে পরিচয় অনেকদিন হলো। আমার আরেকটা অভ্যাস হুট করে কারোর সাথে মিশতে
পারিনা আবার যার সাথে মিশি, সম্পর্ক সহজে ছেদও করতে পারি না। ধীরে ধীরে তোমাকে
জানা হলো। জানার সুত্র ধরে...। তোমার মাঝে এমন একজনকে পেয়েছিলাম যাকে সুখ-দুঃখ হাসি-কান্নার কথাগুলো শেয়ার করা যায়। মনে হয়েছিলো নতুন করে সত্যিকার
একজন মানুষ পেলাম যার উপর ভরসা বা বিশ্বাস করা যায়, যাকে ভালোবাসা যায় প্রানভরে।
জীবনের কিছু দুঃসহ সময় ছিল আমার, সে সময়ে ছায়ার মতো ঘিরে রাখতে আমায় তুমি।
প্রতিনিয়ত খবর নিতে, কেমন আছি কিভাবে আছি সারাক্ষণ যেন ভাবনা কাজ করতো তোমার মনে।
মাঝে মাঝে তুমি কি যেন বলতে চাইতে, তোমার কথায় আমি আনমনা হয়ে যেতাম। প্রশ্ন করতে
কি ভাবছি? উত্তরে বলতাম ভাবছি আমাদের ভবিষ্যৎ কি, এই সম্পর্কের পরিনতিই বা কি?
তুমি বলতে পরিনতি দু’জনার এক সাথে মিশে যাওয়া। তখন তোমার মতো এতো সহজভাবে আমি
জীবনকে দেখতে পারিনি, আমার কাছে বেশ জটিল মনে হতো। তাই সময় যাচ্ছিলো পেরিয়ে। একসময়
সিন্ধান্ত নিই আমিও... কিন্তু কি নির্মম পরিহাস! তুমি চলে গেলে দূরে আমায় একা
ফেলে। আমি হাসি আনন্দে মত্ত থাকতে পারিনা এখন, কেননা আমার সুখের সময়গুলো বড়ো বেশী
সংক্ষিপ্ত হয়। যখনই কোন আনন্দে লিপ্ত হতে চাই মনের কোনে একটি কথা বারবার ধ্বনিত হয়
এই ক্ষণটা ক্ষনিকের, এসব আমার জন্য নয়। কিন্তু তোমার বেলায় ভুলে গিয়েছিলাম আমার
পেছনের ইতিহাস। ভুলে গিয়েছিলাম “আমার কাউকে ভালবাসতে নেই”! ভুলে গিয়েছিলাম আমার
ভালোবাসা মানায় না, সে দূরে যাবেই। তোমাকে ভালবেসেছিলাম, তাই তুমিও চললে...। এটাই
বুঝি আমার নিয়তি! ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।
Thursday, December 13, 2012
চুপ থেকো না
অনেক মেয়ের ভিড়ে
তোমার মায়াভরা চোখ দুটি আমি ঠিকই চিনেছিলাম। ওই চোখ দুটি যেন বারবার বলছিলো তুমি
শুধুই আমার......, আর কারো নও। আমি কোন ভুল
করিনি সেদিন তোমায় চিনে নিতে এতো মেয়ের মাঝেও। হৃদয়ের পদ্মাসনে তোমার পায়চারি
বেশ ভালভাবেই অনুভব করেছিলাম। নিজেকে পরিচয় দিতে পারিনি নার্ভাসনেস এর কারণে।
কারণ তোমার চোখেই আমি একপলকে দেখতে পেয়েছিলাম আমার এতোদিনের কঠিন অবস্থানের
সর্বনাশ। তোমার পদচারনায় মুখরিত ছিলো আমার মনের সেই আঙ্গিনা। আমি তা ভুলিনি,
কখনোই ভুলতেও পারবো না। কারণ তোমার পদচিহ্ন তো এ হৃদয়ে মুছে
যাবার জন্য আঁকতে দেইনি তোমায়। তুমিও কথা দিয়েছিলে সারাজীবন এই পোড়া হৃদয়ে
দাপটের সাথে পদচারনা থাকবে তোমার। তবে আজ কেন ভুলে যেতে হবে তোমার চোখের চাহনিতে
আমার হৃদয়ে যে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে তার কথা? কেন ভুলে
যেতে হবে তোমার চোখের ভাষা যা বারবার বলছিলো তোমায় অকৃপণভাবে
ভালোবাসতে? কেন ভুলে যেতে হবে তোমার পদচারনার স্মৃতি
যা বারবার বলছিলো তোমার একান্ত কাছে আসতে? না আমি তা
পারবো না, পারবো না। আমি তো তোমাকে ভোলার জন্য নিজেকে
ভুলিনি, তোমাকে হারানোর জন্য নিজেকে হারাইনি। তবে আজ
কেন...... সেই তোমার জন্য আমাকে সইতে হবে এতো বেদনা?? জবাব
দাও... চুপ থেকো না... উত্তর দাও... আমি তোমার উত্তর চাই। নইলে যখন তুমি উত্তর
দিতে চাইবে, তখন হয়তো শোনার মতো কেউ থাকবে না। তোমাকে
ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে, ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।
সেই ক্ষত দাগটা
একজন মানুষ ছোট বেলায় যখন কথা বলতে পারতো না,
হাঁটতে পারতো না তখন মা-বাবা তাকে যত্ন সহকারে কথা বলা আর হাঁটতে শেখায়। এই হাঁটতে
গিয়ে অনেক সময় পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়ে কান্না করে। মা-বাবা পরম স্নেহ আর ভালোবাসায়
কোলে তুলে আদরে করে সেই ব্যাথা ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। সবার শরীরে ছোট বেলার একটা
ক্ষত দাগ এখনও রয়েছে যা চিরদিন শরীরে থেকে যায়। যখন নিজে নিজে হাঁটতে শেখে তখন যদি
পড়ে গিয়ে ব্যাথাও পায়, তখন আর কান্না করে না। তেমনি মানুষের জীবনে যখন ভালোবাসা
আসে, তখন সে এক সুখের অধরায় তাকে নিয়ে পথ চলতে শুরু করে। আর এই পথ চলতে গিয়ে তার
ভালোবাসার মানুষটি যখন নতুনের হাত ধরে অন্য পথের সন্ধানে চলে যায়, তখন তার মনের
সুখের অধরায় আঁধার নেমে আসে। যেখানে তার ভালোবাসার মানুষটি তাকে ছেড়ে চলে যায়,
সেখানেই মনে আঘাত পেয়ে অনেক কান্না করে। তখন তাকে পরম আদর ও মমত্ব দিয়ে সান্ত্বনা
দেওয়ার কেউ থাকে না, সে ভাবে তাকে ছাড়া পথ চলতে পারবে না। চরম অসহায়ত্ব আর
বিষণ্ণতা ঘিরে ধরে থাকে, চারদিকের সবকিছুই ক্রমশ বিষময় হয়ে উঠে তার কাছে। কেউ কেউ
জীবনের কাছে করুনভাবে আত্মসমর্পণ করে শেষ সময়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে
থাকে। কিন্তু একটা কথা আছে, জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না। তাই সেখান থেকে সে একা
পথ চলতে শুরু করে, আস্তে আস্তে একা একা পথ চলতে শিখে যায়। প্রায়ই সেই ক্ষত দাগটা
তাকে অনেক যন্ত্রণা দেয়, কিন্তু আর কাঁদে না। কেউ তাকে আঘাত দেওয়ার চেষ্টা করলেও
সে আর আঘাত পায় না। কিন্তু সেই ক্ষত দাগটা রয়ে যায় চিরজীবন, যা দেখা যায় না কিন্তু
অনুভব করে যায় মুহূর্তে মুহূর্তে। আর যারা সেই আঘাত দেয় তারাই অন্যকে নিয়ে পথ চলতে
গিয়ে নিজেকে গর্বিত আর সুখী মনে করে সময়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়। একবারও তারা ভাবার
প্রয়োজন মনে করেনা যাকে এতো বড়ো আঘাত দিয়ে আসলো সে কি বিভীষিকাময় জীবন যাপন করছে
তাকে ছাড়া। ভাবে না তারাই একসময় সুন্দর সুন্দর বুলি আউরিয়ে চিরদিন পাশে থেকে সব
ভাগ করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি আর নিশ্চয়তা দিয়েছিল তাকে। বড়ো আজব এইসব মানুষ আর আজব
তাদের ভালোবাসা। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।
Wednesday, December 12, 2012
যদি একটা ছেলে
যদি একটা ছেলে,
একটা মেয়ের জন্য
কাঁদে তবে তার মানে এই নয়
যে ছেলেটা
বোকা.........
যদি একটা ছেলে,
একটি মেয়ের কাছে
প্রতারিত হবার পরও তাকে ভালবাসে তার মানে
এই নয় যে সে একগুঁয়ে......
যদি একটা ছেলে,
একটি মেয়ের জন্য বিষণ্ণ থাকে তার মানে
এই নয় যে সে অভাগা......
যদি একটা ছেলে,
সর্বদা একটি
মেয়েকে নিয়েই স্বপ্ন দেখে তার মানে এই নয়
যে সে তার প্রতি
নেশাগ্রস্ত......
যদি একটা ছেলে,
তার ভালোবাসার মানুষটির জন্য পাগলামি করে
তার মানে এই নয়
যে তার মস্তিস্ক খারাপ হয়েছে......
যদি একটা ছেলে,
একটি মেয়ের জন্য সব হাসি, আনন্দ, সুখ, ঐশ্বর্য
বিসর্জন দেয় বা
ত্যাগ করে তার মানে এই নয়
যে সে একজন
ভিখারি......
কিন্তু অধিকাংশ
ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছেলেটির এসব দেখে মেয়েরা নিজেকে অনেক বড়ো এবং দামী কিছু
ভেবে আত্মগরিমা বা অহমিকা বোধে ভুগে। ছেলেটির কাছ থেকে চরম ভালোবাসা পাওয়ার পরও
নতুন অনুভূতি লাভের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। একসময় তার মনের খোলস ছাড়িয়ে আসল নগ্ন
চেহারাকেই মেয়েটি প্রকাশ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না। আর তাই সেই ছেলের কাছে
অধিক গুরুত্ব বা প্রাধান্য পাওয়ার পরও আরেকজনের কাছে গিয়ে নিতান্তই ক্রীড়নক
হিসাবে থাকতে হয়। চরম অবহেলা, উপেক্ষা আর অবজ্ঞা সহ্য করে তার কাছে পড়ে থেকে
সারাজীবন কাটিয়ে দেয়া ছাড়া উপায় থাকে না। এবং এটাকেই তারা ভাগ্য বলে মেনে নিতে
বাধ্য হয় নীরবে। সবার জীবনে তো আর সত্যিকার ভালোবাসা সয় না।
একটি বিশেষ দিন
আমার অসীম প্রেম, ভালোবাসার এক অসমাপ্ত ও অপ্রকাশিত চিঠি। আমার আদরের পাগলি,
আজ নাকি সবার জন্য একটি বিশেষ দিন মানে ১২-১২-১২ , আমার জন্যও কি তাই? জানি না... হয়তো তুমিই ভালো জানো, আজ কি তুমি ফিরে আসবে? আবার আমার হাত ধরে বসে থাকবে খোলা
চুলে? আবার কি আমার কাছে এসে হাসবে সেই মন ভুলানো হাসি তোমার? আবার কি আমায় জড়িয়ে
ধরার জন্য তোমার দুহাত বাড়িয়ে দিবে? আবার কি তুমি আমায় বকা দিবে আমার অনিয়মের
জন্য? আবার কি তুমি তাড়া দিবে বাসায় যাওয়ার? আবার কি তুমি কেউ দেখে ফেলার ভয় পাবে?
আবার কি তুমি যাওয়ার সময় আমায় জড়িয়ে আদর করে দিবে? আমি জানি না কোন কিছু, কিন্তু
মাঝে মাঝে তোমার গলা জড়িয়ে ধরে অনেক কাঁদতে ইচ্ছে করে। তোমার হাতে হাত রাখতে ইচ্ছে
হয়, তোমাকে প্রানভরে দেখতে ইচ্ছে হয়। খুব ইচ্ছে হয় তোমাকে জড়িয়ে ধরে আবার বলি অনেক
ভালোবাসি তোমায়। কিন্তু জানি না তুমি ফিরবে কিনা, তবুও মনের ভেতর থেকে কে যেন
কামনা করে তোমার ফিরে আসার। আজও জানি না কি অপরাধ করেছিলাম আমি? আরও অনেক ভালবাসতে
ইচ্ছে হয় তোমায়। আজ কি সত্যিই হবে আমার জীবনের কোন বিশেষ দিন, কোন শুভ দিন? জানি
না... আজ তোমাকে কিছু বলার নেই শুধু... যদি তুমি দূরে রাখো আমায় আমি দূরে থেকে মনের
আয়না দিয়ে দেখবো তোমায়, ভুলে যেতে পারবে কি তুমি আমাদের পুরনো সেই সময়? প্রসঙ্গতঃ এই
সব একান্তই আমার অবুঝ মনের ভাবনা, ভালো করেই জানি এসবের কিছুই বাস্তব হবে না। তবে আমার
না হয় নাই হলো, অন্তত তোমার জীবনে যেন এই দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকার মতো কিছু ঘটে
যায় সেই কামনা করি। হয়তো তুমি নিজেও পরিকল্পনা করেছো তোমার মতো করে এই দিনটিকে স্মরণীয় করার। ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।
আজ ১২-১২-১২
আজ ১২-১২-১২ , অনেকেই এই দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বিশেষ কিছু করার
পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু আমার কিছুই করার ইচ্ছা নেই। আমি শুধু উড়াল দিতে চাই না
ফেরার দেশে। অন্তত নিজের জন্য না হোক কারো জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে দিনটা। আজ
বিধাতাকে বড্ড বেশী মনে পড়ছে, আমাকে কি শুধুই ব্যর্থ হবার জন্য তিনি ধরনিতে
পাঠিয়েছেন? না হতে পারলাম কারো আদর্শ সন্তান, না গাইতে পারলাম বিধাতার জয়গান। না
দিতে পারলাম কারো ভালোবাসার আদর্শ পরিনতি। আমার উড়াল দেওয়ার সংবাদ যারা জানবে তারা
যেন তাকে(আদরি) বলে দেয় আমি আর তাকে দেখতে চাইনি। বলে দেয় যে, আমার জীবনের আর কোন
মানে ছিলো না। আরও জানিয়ে দেয় যে আমি তাকে সারাক্ষণ ভালবেসেছি, তার সব ঘৃনাকে
ভালোবেসে তাকেই ধারন করেছি এই বুকে। তাকে যেন বলে দেয় তার বিশ্বাসঘাতকতা আজ আমার
এই হাল করেছে। আমি কান্না করিনি, মানুষ আমায় দেখে কান্না করেছে। এটাও জানিয়ে দেয়
যে আমি তাকে আর মিস করিনি। তবে একটা অনুরোধ ছিল, এসব বলার সময় যে আমার চোখে জল ছিল
তা তাকে যেন না বলে। কখনো নিজেকে অতোটা বিশ্বাস করিনি যতোটা বিশ্বাস করেছিলাম তাকে,
এতো অপেক্ষা তো নিজের নিঃশ্বাসের জন্যও করিনি যতটা তার জন্য করেছিলাম। আমি তাকে
অনেক ভালবেসেছিলাম আর তাই তার প্রতি আমার দুর্বলতাও ছিল অনেক, সেই দুর্বলতার
সদ্ব্যবহারই করেছে সে। ঐভাবে যদি কোন শত্রুকে ভালোবাসতাম তাহলে আজ সেই শত্রুও আমার
সাথে সারা জীবন কাটানোর জন্য রাজি হয়ে যেতো কিন্তু সে হলো না আমার সাথে সারা জীবন
থাকতে রাজি। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।
Tuesday, December 11, 2012
পাগল আর পাগলি
সোনু, মনে কি পড়ে? একটা সময় তুমি আমার প্রতিটা মিনিট, প্রতিটা সেকেন্ডের
খোঁজ নিতে চাইতে। পাগল হয়ে যেতে কি কি করলাম আমি সারাদিন, তা জানার জন্যে। তখন আমি
মুচকি হেসে শুধু বলতাম, পাগলি একটা। জানো? তোমার এই পাগলামির জন্যই আমার মন জয় করে
নিয়েছিলে তুমি। অবশ্য তোমার একটাই কথা ছিল, একটাই যুক্তি... পাগলি তো পাগলরেই
ভালবাসবে। তুমি বলতে আমার মধ্যেও নাকি যথেষ্ট পরিমানে পাগলামি করার বাতিক ছিল।
স্বতঃস্ফূর্ত খেয়ালিপনায় ভরে ছিল আমাদের অন্তর সারাক্ষণ। হটাৎ কি হল... তুমি বদলে
যেতে শুরু করলে, যে তুমি আমায় জিজ্ঞ্যেস করতে ‘তুমি বদলে যাবে নাতো কখনো? আমার কি
হবে যদি তুমি বদলে যাও!’ একটু ঝগড়া হলেই তুমি শঙ্কিত হয়ে জিজ্ঞ্যেস করতে আমি সত্যি
বদলে থাকতে পারবো কিনা। সেই তুমি আজ নিজেই বদলে গেছো, একবারও ভেবে দেখোনি তোমার এই
পাগলটার কি হবে তোমাকে ছাড়া। শুধু তোমার জন্য বদলাতে চাইনি নিজেকে, শুধুই তোমার
জন্য। কিন্তু আজ তো তুমি পরোয়াই করো না আমায়, আমি বদলালাম কি নাইবা বদলালাম তাতে
তোমার কিছুই যায় আসে না আর। তাই নিজেকে বদলাতে চাই আমি...... কিন্তু পারি না তো।
যদিও প্রানপনে চেষ্টা করে যাচ্ছি তবু পারি না নিজেকে বদলে ফেলতে, কি করে বদলাই
বলো? আমি তো নিজেকে নিজেরই মনে করিনা, আমি তো তোমারই সেই পাগল। যদি কখনো ফিরে আসো,
তোমার সেই পাগলটাকে আর পাবে কিনা জানি না। মাঝে মাঝে খুব ভয় করে, এসে যদি দেখো আমি
বদলে গেছি... তুমি কষ্ট পাবে না তো? কষ্ট দিতে চাই না তোমায় তবু চেষ্টায় থাকবো
নিজেকে বদলে ফেলার। কারন আমি চাইনা আমাকে আর কেউ ‘পাগল’ বলে ডাকুক তোমারই মতো করে।
তোমার বিকল্প হিসাবে চাইনা কাউকে আমি। তোমায় ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে, ভালো
থেকো আমার ভালোবাসা।
Monday, December 10, 2012
রাতের কষ্টগুলো
Sunday, December 9, 2012
ভালোবাসার আকুলতায়
এই সোনু তুমি কি জানো, আমি এবং তুমি আমরা দুজন দুজনকে দূরে থেকেও স্পর্শ
করি সারাক্ষণ! কিভাবে? এই দেখো, তুমি এতো বোকা! আরে পাগলী যে বাতাস তোমার গায়ে
লাগে, তার সাথে আমার নিঃশ্বাস মিশে থাকে। আর যে বাতাস আমার গায়ে লাগে তাতেও তেমনি
করে তোমার নিঃশ্বাস মিশে রয়। দুরে গিয়েও তুমি নিজের অজান্তে আজও আমার মাঝে আছো।
হ্যাঁ, আমার মাঝেই আছো তুমি। ভালোবাসার যথার্থ মূল্য দিতে শেখনি তুমি, তাই
বাস্তবিকভাবেই হেরে গেছো তুমি। মানছি তোমার খুব ভালো কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবী আর
শুভাকাঙ্ক্ষী আছে, কিন্তু হয়তো একটা সময় দেখবে হাত বাড়ালে চারদিকটা কতো ফাঁকা।
কষ্টের সীসারা জমতে জমতে শিলা হয়ে যাবে, অব্যক্ত যন্ত্রণায় তখন ছটফট করতে থাকবে
তুমি আমার মতো। নিঃসন্দেহে বলতে পারি প্রচণ্ড আবেগে তখন আমায় তুমি, ভালোবাসার
আকুলতায় ঝাপটাতে থাকবে। তখন কে আমার অভাব পূরণ করবে? নিঃসন্দেহে বলতে পারি আমি কেউ
আসবে না, আর আসলেই বা আসুক। জানো সবাই ভালবাসতে জানে না। আমি আবারো পুনরুক্তি করছি
অনেক গর্বের সাথে যে আমার মতো কেউ তোমাকে এতোটা ভালবাসবে না, পারবে না ভালবাসতে। আমি
এমন ভালোবাসা চেয়েছিলাম লোকে আমাদের দুজনকে দেখে বলবে না ‘দেখো এদের কি সুন্দর
মানিয়েছে’ বরং আমাদের দেখে বলবে ‘দেখো এদের দুজনকে অনেক সুখী মনে হয়’। কিন্তু
আমি চাইলেই তো আর হবেনা, হয়তো তুমি চাওনি। তোমার ইচ্ছে শেষের প্রশংসাটা নয় প্রথমটাই। আর তাইতো
তুমি হেরে গেছো বড়ো করুনভাবে। কারন তুমি দূরে যেতে চেয়ে, আমাকে দূরে সরিয়ে দিতে
গিয়ে তুমি ব্যর্থ হয়েছো তোমার উদ্দ্যেশ্য পূরণে। রাগ করো না প্লিজ লক্ষ্মীটি।
তোমাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে বলো? ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।
Saturday, December 8, 2012
প্রথম ভালোবাসা
আমার প্রথম ভালোবাসা, আমি এখনও তোমায় চুপি চুপি দেখতে আসি কিন্তু তোমাকে
জানতে দেই না। আমার প্রথম ভালোবাসা, আমি এখন তোমাকে আগের থেকেও অনেক বেশি ভালোবাসি
কিন্তু তোমাকে বলতে পারি না। আমার প্রথম ভালোবাসা, এখনও তোমার দেওয়া মেসেজগুলো
প্রায় প্রতি রাতেই পড়ি কিন্তু তোমাকে জানতে দেই না। আমি এখনও সেই মোবাইল ব্যবহার
করি যার মাধ্যমে তোমার সেই মিষ্টি কথা শুনতাম, যার স্ক্রিনে আজো তোমার ছবিগুলো রয়ে
গেছে। আজো সেই মোবাইলের মাধ্যমেই তোমার সেই কলিজা ধরে টান দেওয়া আদর পাই মনে হয়
যেটা আমি রেকর্ড করে রেখেছিলাম। আমার প্রথম ভালোবাসা, সবাই কেমন যেন বদলে গেছে,
সেই সাথে তুমিও ব্যতিক্রম না। অথচ আমি এখনও একটু বদলাতে পারলাম না, পারলাম না বদলে
নিতে তোমার প্রতি আমার সেই অনুভূতিগুলো। কারো সাথে আবেগ, ভালো লাগা, ইচ্ছা কিছুই
ভাগাভাগি করে নিতে আর সায় দিলো না আমার এই মন। তেমনি করে ভাবতে গেলে নিজেকে কেন
জানি জঘন্য পতিত মনে হয় আমার। তাই সবকিছু আমার ভিতরেই রয়ে গেলো যা কিছু পূর্ণ বা
অপূর্ণ। আমার প্রথম ভালোবাসা, তোমার দেওয়া কষ্টগুলো তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে
নিয়ে যাচ্ছে তারপরও তোমাকে ভুলতে পারি না। আমার প্রথম ভালোবাসা, অনেক কাঁদতে ইচ্ছে
করে একা একা কিন্তু চোখের পানিও যেন কমে গেছে, তেমন করে পারিনা। আমার প্রথম
ভালোবাসা, একদিন তুমি জানবে তোমাকে কতো ভালোবাসতাম কিন্তু তখন যে আমি আর থাকবো না।
আমার প্রথম ভালোবাসা, তোমাকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে। ভালো থেকো আমার
ভালোবাসা।
Friday, December 7, 2012
না বলা কথা
কখনো কখনো এই মনের মাঝে কিছু না বলা কথা জমা
হয়ে যায়, যা তোমাকে বলতে গিয়েও আমি বলতে পারিনি। সেই কথাগুলো বলার আগেই তুমি এই হৃদয়
টাকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে চলে গেছো নিজের কিছু স্বপ্ন নিয়ে। যে স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন
করার জন্য হয়তো তোমার খুব তাড়া ছিলো বা হয়তো অত্যধিক চাপ আসছিলো তোমার উপর। আর এখন
আমার এই না বলা কথাগুলো এক একটা নির্ঘুম রাতের চাপা কান্না। এই না বলা কথাগুলোই
হৃদয়ের গহীনের এক অসহ্য যন্ত্রণা, যা আমাকে প্রায় প্রতিদিনই খুব যত্ন করে কাঁদাতে চায়। আমাকে
বারবার মনে করিয়ে দেয় প্রতারিত এক ভালোবাসাকে। মনে করিয়ে দেয় এমন একজনকে যে চোখের
পলকে বদলে নিতে পারে নিজেকে, যে চোখের পলকে ভুলে যেতে পারে তার সাজানো
স্বপ্নগুলোকে। সত্যিই আমাকে মনে করিয়ে দেয় এমন একজনকে যে কারো ভালোবাসা নিয়ে খেলা
করে, আমাকে মনে করিয়ে দেয় এমন একজনকে যে তিলতিল করে দেখা স্বপ্নগুলোকে ভেঙ্গে
আনন্দ পায়। মনে করিয়ে দেয় এমন একজনকে যে আমার ভালোবাসার ফলাফল উপভোগ করে আরেকজনকে
সাথে নিয়ে। তোমাকে দেওয়ার মতো কোন উপমাই নেই আমার কাছে, তোমাকে বলার মতো ভাষাও আজ
আমি হারিয়ে ফেলেছি। শুধু কিছু নীরবতা আর নিঃসঙ্গতাই যেন আমার না বলা সব কথা, কাউকে
মন থেকে ভালোবাসার এক প্রাপ্যতা। তবুও চাই কোন কষ্ট তোমায় স্পর্শ না করুক, তুমি
সইতে পারবে না এই কষ্ট। তবুও চাই কোন কিছু হারানোর যন্ত্রণা তোমাকে নির্বাক না
করুক। তবুও চাই ভালো থাকো যতটা ভালো তুমি থাকতে চেয়েছো তার চেয়েও বেশী। ভালো থাকুক
আমার ভালোবাসা।
Thursday, December 6, 2012
ভুলতে পারবে কি
সোনু, কেন আমাদের কথা হয়েছিলো ফোনে? মাঝখানে
কিছুদিন বিরতির পর আবার কেন আমাদের পরিচয় হয়েছিলো? কেন আমরা জেনেছিলাম একে অপরকে?
কেন আমাদের দেখা হয়েছিলো? কেন তোমায় এতো ভালো লেগেছিলো? কেন মনে হয়েছিলো আমার মনের
মতো একজনকে খুঁজে পেয়েছি আমি এতোদিনে, যাকে আরো আগে পাওয়া উচিৎ ছিলো। কেনই বা সেদিন আমার
হাত ধরেছিলে? হয়তো আজ তুমি অনেক দূরে অন্য কারো হাত ধরেছো, কিন্তু ভুলতে পারবে কি
তুমি এসব? পেরেছো কি ভুলতে সেই বর্ণিল দিনগুলো? তোমার মিষ্টি হাসি আর লুকোচুরি
তাকানো আমার দিকে, আমি কি পারবো ভুলতে? তোমার আনমনা চোখের ভাষা ভুলতে পারবো! পারবো
না কোনদিন ভুলতে তোমায়। হয়তো জীবনের শেষ আছে কিন্তু তোমায় ভালোবাসা আমার কভু শেষ
হবে না। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে, ঠিক সময়ে চলে যাবো পৃথিবী ছেড়ে কিন্তু ভালোবাসা?
সে তো অমর, কখনও শেষ হয় না। এমন কি মৃত্যুর পরও না। বুঝতে পারো না তুমি আমার কথা?
শুধু তোমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে যেতো দিন। আর স্বপ্ন আমার? সে তো তোমার হাসি নিয়েই দেখা,
জানো না তুমি? ভালোবাসি তোমায় আমি, বুঝো নাকি তুমি? কেন বলো না তুমি আমার, কেন বলো
না তুমি? আমায় ভালোবাসো, কেন কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছো, আমাকেও কষ্ট দিচ্ছ? তোমার আমার
তো একই কষ্ট একই দুঃখ, তবু আমরা কেন দূরে ছিটকে পড়লাম বলতে পারো তুমি? তোমাকে ছেড়ে
বলো কেমন করে থাকি আমি দূরে? ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।
Wednesday, December 5, 2012
ভালোবাসার মর্মার্থ
তোকে অনেক বেশী ভালোবাসিরে, তুই বুঝিস আর
নাই বুঝিস। তোকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছি, হৃদয়ে আপন ও করে নিয়েছি। কে জানতো যে,
এই ভালোবাসাটাই কাল হবে আমাদের জীবনে। একটা সময় ছিল তখন, তোকে নিয়ে ভাবতে ভাবতেই
কখন যে কোথায় চলে যেতাম বুঝতাম না নিজেও। তখন কি কোন মোহে ছিলাম নাকি ভালোবাসার
মর্মার্থ বুঝিনি? আজো এই প্রশ্নের উত্তর খুজি, খুঁজে ফিরি সারাক্ষণ। তুই কি আমার
ভালোবাসা বুঝবি না, দূরে গিয়েও কি তোর অবকাশ মেলে না? আমাকে একটু বোঝ, বুঝার
চেষ্টা কর। আমি তোকে বুঝিরে, কিন্তু তুই যেটা বুঝিস সেটা তো আমার ভালোবাসা নয়।
তোকে আমি যে এতোটা বছর ধরে ভালোবাসা শেখালাম, কিছুই কি শিখিস নি তুই? হয়তো আমার
কাছে থেকে শিখে ভালোবাসিস আরেকজন কে, আর কষ্ট পাই আমি। আজো প্রতিটা মুহূর্ত কাটে
শুধুই তোকে ভেবে। ভেবে রাগ করি, অভিমান করি। কিন্তু ভালোবাসি যে শুধু তোকেই। আর
কাউকে মন দেবো... সেটা ভাবতেও পারি না। তুই কি বুঝবি না রে, কোনদিন কি বুঝবি না
আমার ভালোবাসা! হয়তো তুইও ভালোবাসিস আমায় কিন্তু কি লাভ এই ভালোবাসায়, যদি তুই
সুখী হতে না পারিস। সব মানুষ তো সুখ পেতেই ভালোবাসে। তোকে খুব মনে পড়ছে, প্রতিটা
প্রেমের গান মনে করিয়ে দেয় তোকে বারেবার। হয়তো তুই ও আমার কথাই ভাবিস, তবে কেন এমন
করিস কেন এমন ভাবিস? নিজেকে রাহুমুক্ত করে তোর বর্তমান অসুস্থ অবস্থান থেকে সুস্থ
ভালোবাসায় ফিরে আয়, অনুভব করতে শিখে নে। ভাবিস না এই কলুষিত তোকে পাওয়ার জন্য আমি
আকুতি করছি। তবে অনেক অনেক অনেক ভালোবাসা এখনও জমা আছে তোরই জন্যে, আর থাকবে
আজীবন। তোকে ছেড়ে কেমন করে থাকি আমি দূরে, ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।
Tuesday, December 4, 2012
সত্যিই আজব
Monday, December 3, 2012
খুব ভালো আছি
তোমায় ছাড়া একা খুব ভালো আছি একদিক থেকে।
শুধু ঘুমহীন রাতগুলো খুব মিস করি। কতো রাত ভোর করেছি, তবু কথার ঝুরি যেন ফুরাতোই
না। এখন খুব ভালো আছি। দেখেছো কতো ভালো আছি তোমায় ছাড়া। রাতে সোফায় চুপচাপ বসে
থাকি, মনে পড়ে অনেক কিছুই। মনে পড়ে তোমার হাসি, দুষ্টুমি, সেই জোড়া ভ্রু’র দিকে
আমার অপলক তাকিয়ে থাকা। মনে পড়ে রেগে গেলে বা অভিমান করলে তুমি আমাকে কেমন করে কথা
বলতে, কেমন করে আমার উপর অধিকার খাটাতে তুমি। আমি সত্যি খুব উপভোগ করতাম তোমার সেই
অধিকার খাটানো দেখে। গর্ব অনুভব হতো মনে মনে এই ভেবে যে অন্তত একজন আছে আমার
খবরদারী করার, আমার খুঁটিনাটি সব কেয়ার করার। কিন্তু আজ কিছুই নেই আমার তোমাকে
ঘিরে শুধু সেই স্মৃতিগুলো ছাড়া। জানো তবু মনে হয় খুব ভালো আছি। শুধু অনেকদিন
দুপুরে বা রাতে খেতে ভুলে যাই। কারন কেউতো এখন ঝারি দিয়ে বলেনা ‘এই ভাত খেতে যাও
নইলে কথা বন্ধ’ বা ‘আমিও খাবো না’। আমি চাইও না আর কেউ বলুক। সত্যি খুব শান্তিতে
আছি মনে হয় তোমাকে ছাড়া। অন্তত কেউতো আর আমার সামান্য সর্দিতে হাউকাউ করে বলবে না ‘কতো
করে মানা করেছি ঠাণ্ডা লাগানোর জন্য, আমার কথা কি কারো কান দিয়ে যায়’। এমন শীতের
দিনে কেউ আর বলবে না ‘এই তুমি কিন্তু শীতের কাপড় নিয়ে বের হবে’। নিয়ে বের না হলে
কারো কণ্ঠে শুনা যাবে না ‘যাও আমি তোমাকে আদর করবো না, আমি তোমার কে’। আমি চাইনা
এমন করে অন্য কেউ বলুক আমাকে। আমি চাইনা অন্য কেউ আমার শার্টের হাতা ধরে টানাটানি
করুক, আইসক্রিম বা ফুস্কা খাওয়ার জন্য বায়না ধরুক। শুধু একবার তোমার হাতটা ধরার
লোভ আমি কতো আগেই ছেড়ে দিয়েছি। তবু জানো আদরি, শুধু শুধু মন খারাপ করি, খারাপ হয়ে
যায় নিজেরই অজান্তে। জানিই তো আর আসবে না তুমি। তবু ভালো থেকো আমার ভালোবাসা।
Sunday, December 2, 2012
অফুরন্ত ভালোবাসা
কেন বার বার ভুল বুঝো তুমি আমায়? তোমার ভুলের মাঝে আমার কষ্টটা কি চোখে পড়ে
না? সময়ের দীর্ঘ নিঃশ্বাসকে সাক্ষী করেই তো ভালবেসেছিলে আমাকে, তবে কেন চলে যাবার
জন্য এতোটা ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলে? এখন তো আর আমার জন্য তোমার সময় নেই। তোমার
সামান্য হাসিতে যে মনটা ছুঁয়ে যায় সেই মনটাকে ক্ষত বিক্ষত করতে কেন কষ্টের ছুরি
দিয়ে আঘাত করো প্রতিনিয়ত! তুমি কি আমাকে ভয় পাও, নাকি ঘৃণা করো? ভালো যে বাসো না
সেটা তুমি আগেই বুঝিয়ে দিয়েছো আমায়। তবে কি আমার জন্য তোমার ভালোবাসা ফুরিয়ে গেছে
সত্যি সত্যি...! তাই কি রক্তের কান্নায় ভিজিয়ে দিচ্ছ আমায়? ভেজা কাকের উপমা হয়ে আজ
আমি তোমার পাশে বসে আছি। আগে তুমি কতো কথা বলতে, কথাগুলোর মাঝে মিষ্টি হাসিটা একবার
দেখার জন্যে তোমার মুখের দিকে চেয়ে থাকতাম। তুমি জিজ্ঞ্যেস করতে কি দেখছি অমন করে,
আমি হেসে বলতাম- না কিছু না সোনা। তোমার চুড়ির শব্দ আজ খুব শুনতে ইচ্ছে করছে। এসব
কথা আগে তোমায় বললে কতো খুশী না হতে তুমি! আর আজ এগুলো শুধুই বাহুল্য তোমার কাছে।
যেদিন বুঝতে পেরেছিলাম তুমি চলে যেতে চাইছো, হয়তো আমার মাঝে ভালোবাসার মতো কিছু
খুঁজে পাচ্ছিলে না আর। কিন্তু আমিতো তোমার কাছে চেয়েছিলাম অফুরন্ত ভালোবাসা, যার
আবেগ এই নশ্বর পৃথিবীর সকল বাঁধা করবে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন। দিতে চেয়েছিলাম তোমায়
অনুরুপ ভালোবাসা- যার আকুলতা দেখে পৃথিবীর সমস্ত পাগল মন যেন হয় নতজানু। যেন এমন অবাস্তব ভালোবাসা পৃথিবীর কোথাও নেই, আছে শুধু মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা হাজার রকম
দীর্ঘশ্বাস। তুমি চলে গিয়ে কিছু কি পেয়েছো? নাকি আমার মতো হারিয়ে বসে কাঁদছো? আজ
যেন আমার চোখের জল শুকিয়ে গেছে, শুকনো রক্ত যেন লেপ্টে দিয়েছে চোখে জল। তবু ভালো
থেকো আমার ভালোবাসা।
Saturday, December 1, 2012
এটাই জীবন
একটা সম্পর্ক ভাঙতে যতটা কম সময় লাগে ঠিক একটা সম্পর্ক গড়তে যদি এতোটা কম
সময় লাগতো তাহলে মনে হয় এতোটা কষ্ট পেতাম না সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে। কিন্তু তা হয়নি
আমার, ভালোবাসার সম্পর্কে আমি তিল তিল করে কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম যা ভেঙ্গে গিয়ে
এখন সাংঘাতিক কষ্ট হয় এখন। আর মন ভাঙ্গার কষ্টগুলোই মনে সব চেয়ে বেশী যন্ত্রণা দেয় এই
আমাকে। কি অদ্ভুত আর বিচিত্র মনের মানুষ যাকে মন থেকে বলে ভালোবাসি, যার জন্য
অনন্তকাল বেঁচে থাকতে চায় সেই মানুষটাকেই কষ্ট দেয়। জানিনা এই মানুষগুলো কি পায় এই
মন ভাঙ্গার খেলা খেলে। কিন্তু এই খেলাতে হাজারো মানুষ নিজেকে চিরতরে হারিয়ে ফেলে
এক অন্ধকার জীবনে। আজকাল অনেক ভালোবাসা হয় নেট বা মোবাইলে যা আইডি বা সিম
পরিবর্তনের সাথে সাথে relation স্ট্যাটাস change হয়ে যায়। ভালোবাসি তোমায়, তোমাকে ছাড়া জীবন চালিয়ে নেয়া
অনেক কঠিন হয়ে পড়বে, তুমি চিরকাল শুধু আমারই থাকবে, আমি শুধুই তোমারি...... এসব
কথা শুধু মুখেই বলা যায়। কিন্তু বাস্তব জীবনে কয়জন এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে? যে
মানুষ করতে পারে তারাই তো সত্যিকারের ভালবাসতে জানে। এখনতো দীর্ঘদিন সম্পর্কে জড়িয়ে
থাকার পরও কেউ নিজের ইচ্ছায় সম্পর্ক ভাঙ্গে আবার কেউ আপন গণ্ডির প্রভাবে পড়ে
সম্পর্ক ভেঙ্গে দিয়ে সব দিক দিয়ে নতুন স্বাদ নিতে নতুনের কাছে ঝুলে পড়ার পক্ষে স্বতঃস্ফূর্ত অবস্থান নেয়। এমনকি
সফলভাবে সেই ভাঙ্গার খেলায় সফলকাম হয়ে কেউ কেউ উৎসবও করে। অথচ জীবনে এমন কেউ
থাকা- যে অন্ধের মতো ভালবাসবে, যে কিনা ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে অনেক কষ্ট
পাওয়ার পরও হাত ধরে বলে ‘আমি তোমারই ছিলাম তোমারই আছি এবং সবসময় তোমারই থাকবো’।
এটাই ভালোবাসা, এটাই জীবন। ভালো থাকুক আমার ভালোবাসা।
Subscribe to:
Posts (Atom)